২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ফরিদপুরে সদ্য নির্মিত ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট চালু করা যাচ্ছে না

-

পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র না পাওয়ায় নির্মাণ কাজ শেষ হলেও সদ্য নির্মিত ওটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট চালু করা যাচ্ছেনা। ফলে শহরে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ বিলম্বিত হচ্ছে। পরিবেশ অধিদপ্তর বলছে, প্লান্ট নির্মাণের পূর্বে সেখানকার মাটি পরীক্ষা ও এলাকায় বৃষ্টিপাতের অনুপাতে কি পরিমাণ পানি ভূগর্ভে জমা হয় তা পরীক্ষা না করায় এ ছাড়পত্র দেয়া যাচ্ছে না। বিষয়টি নিয়ে একপ্রকার বিপাকেই পড়েছে পৌর কর্তৃপক্ষ।
জানা গেছে, ৩৭ শহর পানি সরবরাহ প্রকল্পের আওতায় প্রায় ১১ কোটি টাকা ২০১৩ সালে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগ শহরের গোয়ালচামট এলাকায় শেখ রাসেল পৌর শিশুপার্কের পাশে এই ওয়াটার প্লান্টটি নির্মাণ করে। ফরিদপুর শহরে দীর্ঘদিনের বিশুদ্ধ পানির সংকট দূর করাই এ প্লান্ট স্থাপনের উদ্দেশ্য।
ফরিদপুর জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শফিকুল জানান, প্লান্টটি চালুর পর ভুগর্ভস্থ পানি উত্তোলন করে তা ছয়টি স্তরে পরিশোধন করে সরবরাহ করা যাবে। তিনি বলেন, এ প্লান্ট থেকে প্রতি ঘন্টায় সাড়ে তিন লাখ গ্যালন বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করা সম্ভব হবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ফরিদপুর পৌর এলাকায় বর্তমানে দৈনিক পানির চাহিদা এক কোটি ৮০ লাখ গ্যালন। সেখানে সরবরাহ হচ্ছে দৈনিক এক কোটি ৩০ লাখ গ্যালন। নতুন এ প্লান্ট চালু হলে বিশুদ্ধ পানির কোন ঘাটতি থাকবে না বলে তারা জানান।
ফরিদপুর পৌর মেয়র শেখ মাহতাব আলী মেথু বলেন, নির্মান কাজ শেষে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর যখন এটি আমাদের নিকট হস্তান্তর করবে তখনই এই জটিলতা। গত মাসে জেলার মাসিক সমন্বয় সভায় বিষয়টি নিয়ে আলোচনাও হয়েছে। ‘এটি তো কোন শিল্প প্রতিষ্ঠান নয়’ উল্লেখ করে মেয়র বলেন, পানির প্লান্ট চালু করতে কেন পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র লাগবে? তারপরও আমরা পরিবেশ অধিদপ্তরে আবেদন করেছি। কিন্তু ছাড়পত্র দিতে গড়িমসি করছে তারা। এজন্য বিদ্যুৎ বিভাগও সংযোগ দিচ্ছে না বলে জানান তিনি।
পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র না পাওয়ায় এই ওয়াটার প্লান্টে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া যাচ্ছে না জানিয়ে ফরিদপুর ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্টিবিউশন কোম্পানী (ওজোপাডিকো) এর নির্বাহী প্রকৌশলী (বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-২) মোঃ মোরশেদ আলম জানান, পরিবেশ আধিদপ্তরের ছাড়পত্র পেলে জনগুরুত্বপূর্ণ বিবেচনা করে যত দ্রুত সম্ভব বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হবে।
ফরিদপুর পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোঃ লুৎফর রহমান বলেন, প্লান্টের পানি জোগান হবে ভূগর্ভস্থ পানি থেকে। এই ভূগর্ভস্থ পানি পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করতে বিরাট ভূমিকা রাখে। প্লান্ট নির্মাণের পূর্বেই সেখানকার মাটি পরীক্ষা ও এলাকায় বৃষ্টিপাতের অনুপাতে কি পরিমাণ পানি ভূগর্ভে জমা হয় তা পরীক্ষা জরুরী ছিলো। সেটি না করায় পরিবেশ অধিদপ্তর ছাড় পত্র দেওয়া থেকে বিরত রয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement