২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

এবার সাড়ে ৪২ মণ ওজনের 'সম্রাট', দাম হাঁকাচ্ছে ২০ লাখ (ভিডিও)

৪২ মণ ওজনের ‌'সম্রাট', দাম হাঁকাচ্ছে ২০ লাখ - নয়া দিগন্ত

ইতিমধ্যে তার নাম ছড়িয়ে পড়েছে আশেপাশের গ্রামে। এক নজর দেখার জন্য সকাল-বিকাল ভিড় করছেন মানুষ। তার সাথে সেলফি তুলছেন। আবার সেই ছবি ফেসবুকে আপ করছেন। কোনো সিনেমার নায়ক নন, নন কোনো বিশিষ্ট ব্যক্তিও। বলছিলাম ধামরাই উপজেলার আমতা ইউনিয়নের নান্দেশ্বরী গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা এম এ কুদ্দুছের একটি ষাঁড়ের কথা। যার বর্তমান ওজন সাড়ে ৪২ মণ।

এম এ কুদ্দুছের বাড়ি ধামরাইয়ের নান্দেশ্বরী গ্রামে। তিনি ষাঁড়টিকে ২ বছর ৬ মাস ধরে লালন-পালন করে বড় করেছেন। নাম রেখেছেন সম্রাট। যেটিকে পবিত্র ঈদুল আজহার হাটে বিক্রি করবেন বলে আশা করছেন।

ষাঁড়টিকে দেখতে প্রতিদিন ভিড় করছেন শ শ মানুষ। সম্রাটের কথা শুনে প্রথমে অনেকেই বিশ্বাস করতে চান না। কিন্তু নিজ চোখে প্রাণিসম্পদ অফিসের ডাক্তারদের ওজন পরিমাপের বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি দেখে বিশ্বাস করতে বাধ্য হন।

এম এ কুদ্দুছের ছেলে সেলিম বলেন, সম্রাটের মা ওর ১৭ দিন বয়সে মারা যায়। খুব কষ্টে আমরা পরিবারের ৪ সদস্য ডাক্তারদের সহযোগিতায় ষাড়টিকে লালন- পালন করতে থাকি। সম্রাটকে ২০১৮ সালের ঈদুল আজহার হাটে বিক্রি করার জন্য ২ বছর আগে সিদ্ধান্ত নিই। সেই সাথে ওকে বিশেষ কায়দায় দেশীয় খাবার খাওয়াতে শুরু করি।

তিনি আরো জানান, দিনে দু'বার ঠাণ্ডা পানির সাথে সেম্পু দিয়ে গোসল করানো হয় সম্রাটকে। প্রচণ্ড গরমে দুটি ফ্যান ব্যবহৃত হয়। বিদ্যুৎ চলে গেলে হাতপাখা দিয়ে বাতাস করা হয়।

এম এ কুদ্দুছের বাড়ি ধামরাই ও সাটুরিয়া উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় হওয়ায় সাটুরিয়া উপজেলার প্রাণিসম্পদ অফিসের ডাক্তারদের পরামর্শ নিয়ে ষাঁড়টিকে বড় করতে থাকেন এর মালিক।

১০ আগস্ট সকালে ওই বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়- সাটুরিয়া উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের ভেটেনারি সার্জন ডা. মো. সেলিম জাহান সম্রাটকে দেখতে এসেছেন। কথা হয় তার সাথে। তিনি বলেন- আমি সাটুরিয়াতে যোগদান করার আগে থেকেই এ ষাঁড়টির ব্যাপারে আমার অফিসের কর্মকর্তারা পরামর্শ দিয়েছেন।

ষাড়টির বর্তমান ওজন সাড়ে ৪২ মণ। ২ বছর ৬ মাসের ষাঁড়টি ৪ দাঁতের। উচ্চতা ৬ ফুট ৪ ইঞ্চি, লম্বা ৮ ফুট ৩ ইঞ্চি। ওজন ১ হাজার ৭ শ ২ কেজি অর্থাৎ সাড়ে ৪২ মণ। ঈদের আগে এর ওজন আরো বাড়বে বলে তিনি জানান।

ডা. মো. সেলিম জাহান বলেন- এম এ কুদ্দুছের ষাঁড়টি ভালো দাম পেলে এলাকার শিক্ষিত বেকার যুবকেরা গরু মোটাতাজাকরণে উৎসাহী হবেন।

ষাড়টি দেখতে প্রতিদিনই ধামরাই, সাটুরিয়া ছাড়াও পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন উপজেলার মানুষ ভিড় করছেন এম এ কুদ্দুছের বাড়িতে। দেখছেন, ছবি তুলছেন, সেইসাথে ফোন দিয়ে স্বজনদের জানাচ্ছেন- সম্রাটকে দেখতে আসার কথা।

পাশের হান্দুলিয়া গ্রাম থেকে এসেছেন ফরহাদ। তিনি বলেন- আগে বিশ্বাস হয়নি, সাড়ে ৪২ মণ ওজনের ষাঁড় থাকতে পারে। তাই দেখতে এলাম। ছবি তুলে আবার ফেসবুকেও আপ করলাম।

কাওলিপাড়া থেকে আসা সাজেদা বেগম বলেন, পোলাডা বলল- ৪২ মণ ওজনের ষাঁড় আছে নান্দেশ্বরী গ্রামে। তাই ভ্যানটলি রিজার্ভ করে দেখতে এলাম।

সাড়ে ৪২ মণ ওজনের ষাঁড়টির দাম হাঁকানো হয়েছে ২০ লাখ টাকা। আগ্রহী ক্রেতারা সরাসরি খামারির ছেলে সেলিমের মোবাইল নাম্বারে (০১৭৪০ ৮২০৮৪৭) যোগাযোগ করতে পারেন।


আরো সংবাদ



premium cement