১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

‘আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা রাজাকারের বাচ্চা’

আওয়ামী লীগ নেতা গোপীনাথ দাস - সংগৃহীত

রাজধানীতে বাসচাপায় দুই শিক্ষার্থী নিহতের প্রতিবাদে নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়ায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা ‘রাজাকারের বাচ্চা’ বলে মন্তব্য করেছেন হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান পরিষদ নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি ও আওয়ামী লীগ নেতা গোপীনাথ দাস। বুধবার দুপুর দেড়টার দিকে চাষাঢ়া রাইফেল ক্লাবের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এসময় শিক্ষার্থীরা তার ওপর চড়ায় হলে একটি দোকানে ঢুকে তিনি সাটার বন্ধ করে দেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বুধবার দুপুরে রাইফেল ক্লাবের সামনে সড়ক অবরোধ করে শিক্ষার্থীরা। ওই পথ দিয়ে রিকশাযোগে চারাগাছ নিয়ে ফিরছিলেন গোপীনাথ দাস। এ সময় গোপীনাথ দাস শিক্ষার্থীদের আন্দোলন নিয়ে কটূক্তি করে বলেন, ‘আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা রাজাকারের বাচ্চা’। এর প্রতিবাদ করলে তিনি শিক্ষার্থীদের ধমক দেন।

আন্দোলনরত কয়েকজন শিক্ষার্থী বলেন, ‘গোপীনাথ দাস আমাদের রাজাকারের বাচ্চা বলে গালি দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, আমরা নাকি ফাও আন্দোলন করতেছি। শাহ্জাহান খান হেসেছেন সেটা নাকি দোষের নয়।’

‘রাজাকারের বাচ্চা’ বলে শিক্ষার্থীদের রোষানলে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান পরিষদ নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি ও আওয়ামী লীগ নেতা গোপীনাথ দাস

এমন মন্তব্যে গোপীনাথ দাসকে ধাওয়া দেয় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। একপর্যায়ে শিক্ষার্থীরা চারদিক থেকে তাকে ঘিরে ধরে মারমুখী হয়ে উঠলে দ্রুত রিকশা থেকে নেমে একটি দোকানের ভেতর ঢুকে শাটার নামিয়ে দেন। পরে উত্তেজিত শিক্ষার্থীরা ওই দোকানের শাটার ভাঙচুর করে। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে শিক্ষার্থীদের একটি অংশ ও আশপাশের লোকজন ছুটে এসে তাকে রক্ষা করে দোকানের ভেতর থেকে বের করে আনে। এ সময় অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন গোপীনাথ দাস।

শিক্ষার্থীরা জানায়, গোপীনাথ দাস শিক্ষার্থীদের আন্দোলন নিয়ে কটূক্তি করেছেন। তিনি আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের রাজাকারের বাচ্চা বলে গালি দিয়েছেন। এর প্রতিবাদ করলে তিনি শিক্ষার্থীদের ধমক দেন। এরপর শিক্ষার্থীরা কমান্ডার গোপীনাথের ওপর চড়াও হয় এবং মারমুখী হয়ে ওঠে। পরে গোপীনাথ তার ভুল স্বীকার করে শিক্ষার্থীদের কাছে ক্ষমা চান। এরপর শিক্ষার্থীরা শান্ত হয়।

এ বিষয়ে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে গোপীনাথ দাস বলেন, আমি একটা অনুষ্ঠান থেকে ফিরছিলাম। আমার হাতে চারাগাছ ছিল। এ সময় ছাত্ররা আমার রিকশা থামিয়ে ভেতরে যেতে বাধা দেয়। আমি তাদের বেশি কিছু বলিনি।

তাহলে শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে দোকানে ঢুকে শাটার লাগিয়ে দিলেন কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি কিছু বলতে চাই না।’


আরো সংবাদ



premium cement