২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

পদ্মায় তীব্র স্রোতে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া রুটে পারাপার ব্যাহত

পদ্মায় তীব্র স্রোতে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া রুটে পারাপার ব্যাহত - ছবি : সংগৃহীত

পদ্মা নদীতে স্রোত বেড়ে যাওয়ায় ও ফেরি স্বল্পতার কারণে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ও মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া নৌপথে ফেরি পারাপার ব্যাহত হচ্ছে। পদ্মায় পানি বাড়ার সাথে স্রোত বেড়ে যাওয়ায় সময় লাগছে প্রায় দ্বিগুণ।
দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে ২০টি ফেরির মধ্যে তিনটি ফেরি বিকল হয়ে আছে। সেই সঙ্গে আরো দুটি ফেরি প্রত্যাহার করে নেয়ায় গুরুত্বপূর্ণ এ নৌপথে ফেরির তীব্র সঙ্কট সৃষ্টি হয়েছে। এতে পারাপার ব্যাহত হওয়ায় শনিবার সকাল থেকেই দৌলতদিয়া ঘাটে আটকে পড়ে ঢাকাগামী বাস, পণ্যবাহী ট্রাকসহ শত শত গাড়ি। এতে টার্মিনালের পার্কিং ইয়ার্ড উপচে ফেরিঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে দৌলতদিয়া-খুলনা মহাসড়কের বাংলাদেশ হ্যাচারিজ পর্যন্ত চার কিলোমিটার ফোর লেন রাস্তার এক পাশে পণ্যবাহী ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যানের দীর্ঘ সারি সৃষ্টি হয়। দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে শত শত মানুষ।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীন নৌপরিবহন সংস্থা (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া কার্যালয় সূত্র জানায়, গত ঈদুল ফিতরের সময় দেশের গুরুত্বপূর্ণ এই নৌপথে ছোট-বড় মোট ২০টি ফেরি চলাচল করত। কিন্তু ঈদের কয়েক দিন পর যান্ত্রিক ক্রটি দেখা দেয়ায় সংস্কারের জন্য এই রুট থেকে নারায়ণগঞ্জের ডকইয়ার্ডে পাঠানো হয় রোরো ফেরি ‘ভাষা শহীদ বরকত’ ও বীর শ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান। এর কয়েক দিন পরই ডক ইয়ার্ডে পাঠানো হয় ‘কুসুম কলি’ এবং সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার ‘ঢাকা’ নামক আরেকটি ফেরিকে পুর্নবাসনের জন্য ডক ইয়ার্ডে পাঠানো হয়। এছাড়া রোরো ফেরি শাহ জালালকে গত বৃহস্পতিবার মাওয়া-কাওড়াকান্দি নৌপথে পাঠানো হয়। ২০টি ফেরির মধ্যে চারটি অন্যত্র থাকায় এই নৌপথে ফেরি সঙ্কট দেখা দেয়। এমত অবস্থায় বাকি অতিপুরাতন ১৫টি ফেরির মধ্যে মাঝেমধ্যে দুই-তিনটি ফেরি যান্ত্রিক ক্রটিতে বিকল হয়ে পড়ছে। পদ্মা উত্তাল ঢেউ ও তীব্র স্রোত থাকায় ওই ফেরিগুলো ফুল লোডে নদীতে চলতে পারছে না।ফলে বর্ষা ও ঈদ মওসুমে দৌলতদিয়য়া-পাটুরিয়া ঘাটে যানজট হবে এটাই চিরাচরিত নিয়মে পরিণত হয়েছে।

দৌক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে ঢাকার সড়ক যোগাযোগে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া গুরুত্বপূর্ণ একটি নৌপথ। বছরজুড়েই বিভিন্ন সঙ্কটের কারণে উভয় ঘাটে যানজট লেগে থাকে। তবে প্রয়োজনীয় সংখ্যক ফেরি সার্বক্ষণিক সচল থাকায় ঈদের পর থেকে গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত টানা ২৪ দিন যানজটমুক্ত ছিল। এতে উভয় ঘাটের চিত্র অনেকটা পাল্টে গিয়েছিল। কিন্তু চলাচলকারী ওই ফেরিগুলোর মধ্য থেকে তিনটি ফেরি হঠাৎ বিকল হয়ে পড়ায় এবং আরো দুটি ফেরি প্রত্যাহার করে নেয়ায় ফেরির সঙ্কট সৃষ্টি হয়। এতে শুক্রবার দৌলতদিয়া ঘাটে ফেরির টিকিট সিরিয়ালে আটকে পড়ে বাস, ট্রাকসহ শত শত গাড়ি।
বিআইডাব্লিউটিসির দৌলতদিয়া ঘাট ব্যবস্থাপক মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘যাত্রীদুর্ভোগ কমাতে বাস, মাইক্রোবাস ও প্রাইভেট কারগুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পারাপার করায় ঘাটে পণ্যবাহী ট্রাকগুলো আটকে পড়েছে বেশি।’

বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া কার্যালয়ের সহকারী ব্যবস্থাপক রুহুল আমীন বলেন, দফায় দফায় ফেরি বিকল হয়ে পড়ায় গাড়ি পারাপার ব্যাহত হচ্ছে। এছাড়া পদ্মায় পানি বাড়ার সাথে স্রোত বেড়ে যাওয়ায় ফেরি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। আগে যেখানে লাগত ৩০ থেকে ৩৫মিনিট। বর্তমানে সেখানে লাগছে প্রায় ৫০ মিনিট।


আরো সংবাদ



premium cement