২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

ভাইয়ের ভয়ে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে ৩ বোনের পরিবার

-

গাজীপুরের কালিয়াকৈরে আপন ভাইয়ের নানামুখী অত্যাচারে নিজ বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে অসহায় দরিদ্র আয়শা বেগমসহ তার ৩ বোনের পরিবারের লোকজন।
বৃহস্পতিবার সরেজমিনে গেলে আয়শা বেগম জানায়, তার বাবার মৃত্যুর পর ওয়ারিশসুত্রে প্রাপ্ত সম্পত্তিতে তিনি বাড়ি নির্মাণ করে বসবাস করে আসছিলেন। বর্তমানে তার বড় ভাই আব্দুল খালেক তাকে মারপিটসহ রান্নার চুলাসহ রান্নাঘর, বাথরুম, ভাংচুর করে তার জমি জবর দখল করে নেয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে। তিনি উল্লেখ করেন দীর্ঘ ১০বছর রাস্তায় মাটিকাটা শ্রমিকের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছে। বসত ঘরের ডোয়া বাধার জন্য দীর্ঘদিন ধরে কিছু ইট কিনে রেখেছে কিন্তু তার ভাইয়ের অত্যাচারে ঘর মেরামত করতে পারছেনা।

আয়শার অপর বোন শিউলি বেগম জানায়, তার ভাইয়ের অত্যাচারে তার ছোট ভাই মারা গেছে। ভাইয়ের বউ বর্তমানে বাকপ্রতিবন্ধী হয়ে আছে। তার কোন বোন বাদ যায়নি খালেকের নির্যাতনের হাত থেকে। রাতে ঘরের ভিতরে ঘুমাতে গেলে তার ভাই খালেক ও তার ছেলে জাহাঙ্গীর বাড়ির বাইড়ে থেকে ঘরের টিনের চালে ঢিল ছুঁতে থাকে। যাতে তারা ঘরের ভিতরে ঘুমাতে না পারে। এনিয়ে এলাকায় কয়েকবার বিচার সালিশও হয়েছে।

অপর বোন শহরবানু জানায়, তার ভাই খালেক তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলাসহ নানাভাবে অত্যাচার করে আসছে। এলাকার কোন মাতাব্বর বাদ নেই যাদের কাছে বিচার নিয়ে না যাওয়া হয়েছে। কেউ তাদের সমস্য সমাধান করে দিতে পারেনি। বিষয়টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে জানানো হলেও তিনি সমাধানের জন্য কোন ব্যবস্থা গ্রহন করেননি। তিনিও তার ভাইয়ের অত্যাচারের ভয়ে তার বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন বলে জানালেন শহর বানু।
খালেক তাদের প্রাণে মারার হুমকি দিচ্ছে। খালেক ও তার ছেলে জাহাঙ্গীর একত্রে তাদেরকে যে নির্যাতন করেছে ওই চিত্র মোবাইলে ভিডিও করে রাখা হয়েছে এবং মোবাইলে ধারণ করা ভিডিও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে দেখানো হয়েছে।

স্থানীয় মাতাব্বর আহসান উল্লাহ জানায়, আয়শা বেগমরা ৭ বোন ও ৩ ভাই। দুই ভাই মারা গেছে। বর্তমানে এক ভাই খালেক জীবিত রয়েছে। খালেক একজন খারাপ লোক। বোনদের জমি জবর দখল করে রেখেছে। স্থানীয় মাতাব্বরদের কোন কথা শোনেনা। কেউ ভাই-বোনদের বিবাদ মিটানোর জন্য এগিয়ে গেলে খালেক তাদের নামে মামলা করাসহ নানা প্রকার হুমকি প্রদান করে আসছে।

এব্যাপারে আয়শার ভাই খালেকের সাথে কথা বলার জন্য উপজেলার আমদাইর গ্রামের বাড়িতে গেলে তাকে বাড়িতে পাওয়া যায়নি। পরে তার মোবাইল নম্বরেও যোগাযোগ করা হলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।


আরো সংবাদ



premium cement