২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ঘিওরে নদীর ভাঙ্গনে সংযোগ ব্রীজ নদীগর্ভে বিলীন

-

মানিকগঞ্জের ঘিওরে কালীগঙ্গার তীব্র ভাঙ্গনে ১৫টি গ্রামের চলাচলের সংযোগ ব্রীজসহ অর্ধ-শতাধিক বসত বাড়ী নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। হুমকীর মুখে পড়েছে আরো শতাধিক পরিবার। ভাঙ্গনরোধে স্থায়ী ব্যবস্থা গ্রহনসহ ব্রীজ নির্মানের দাবী জানিয়েছেন একালাবাসী।
উপজেলার বানিয়াজুরী ইউনিয়নের চরকেল্লা,কুমল্লী ও নকীববাড়ী এলাকায় গত কয়েক বছরে কালীগঙ্গা নদীর তীব্র ভাঙ্গনে ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হলেও নেয়া হয়নি ভাঙ্গনরোধে স্থায়ী কোন ব্যবস্থা।

এ কারনে ভাঙ্গন অব্যাহত থাকায় পাশ্ববর্তী ১৫ গ্রামের চলাচলের একমাত্র সংয়োগ ব্রীজটিও গত বুধবার নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ায় ওই অঞ্চলের শিক্ষার্থী কর্মজীবী ও ব্যবসায়ীসহ হাজারো মানুষ হয়ে পড়েছে দিশেহারা।
চরকেল্লা গ্রামের মসজিদের ইমাম শামসুল ইসলাম বলেন, অব্যাহত নদী ভাঙ্গনের কারনে চলাচলের সংযোগ ব্রীজটি নদী গর্ভে চলে যাওয়ায় এখান জনসাধারনে চলাচল মারাত্মক বিঘ্নিত হচ্ছে।দ্রুত এর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষন করেন তিনি।

কুমল্লী গ্রামের কলেজ পড়ুয়া এক শিক্ষার্থী মাফিয়া সুলতানা বলেন,শিক্ষা ক্ষেত্রে সরাকারের ভুমিকা বিরল।তাই ভাঙ্গনরোধসহ এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন বাস্তবায়নে সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করেন।
নকীববাড়ী গ্রামের বৃদ্ধ রফিকুল ইসলাম জানান, নদী ভাঙ্গনের কারনে ব্রীজটি নদী গর্ভে বিলীন হওয়ায় এখানকার যোগাযোগ ব্যবস্থা আরো হুমকীর মুখে পড়েছে। এমতাবস্থা নিরসনে তিনি সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

ওই গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য খোরশেদ আলম বিশ্বাস জানান, নদী ভাঙ্গনের কারনে গত কয়েক বছরে এখানকার শতাধিক পরিবার ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ভাঙ্গনরোধে স্থায়ী ব্যবস্থা গ্রহন না করলে এখানকার আরো শতাধিক পরিবার গৃহহীন হয়ে পড়বে।এ ব্যাপারে আশু ব্যবস্থা গ্রহনের মাধ্যমে অবহেলিত এ অঞ্চলকে পুন:রুদ্ধারে তিনি সরকারের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেন।


আরো সংবাদ



premium cement