২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

বিয়ের আগেই স্কুলছাত্রীর সন্তান প্রসব, বিয়ে করলেন আ.লীগ নেতার ছেলে

বিয়ের আগেই স্কুলছাত্রীর সন্তান প্রসব, বিয়ে করলেন আ.লীগ নেতার ছেলে - ছবি : সংগৃহীত

টাঙ্গাইলের সখীপুরে কিশোরী এক স্কুলছাত্রীকে সন্তান প্রসবের পর বিয়ের ঘটনা ঘটেছে। পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের জায়েদা মার্কেট এলাকায় বৃহস্পতিবার বিয়ের এ ঘটনাটি ঘটেছে। গত বৃহস্পতিবার থেকে এ ঘটনাটি উপজেলার সর্বত্র ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। কিশোরটি স্থানীয় ছোট মৌশা উচ্চ বিদ্যালয়ে দশম শ্রেণির ছাত্রী। কিশোরীকে সন্তান প্রসবের তিন দিনের মাথায় গ্রাম্য সালিশি বৈঠকের মাধ্যমে বিয়ে পড়ানো হয় একই ওয়ার্ডের বাসিন্দা ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ওয়াহেদ আলীর ছেলে জাহিদ হাসানের সঙ্গে। ওই স্কুলছাত্রীর সঙ্গে আওয়ামী লীগ নেতার ছেলে জাহিদের প্রেমের সম্পর্ক ছিল বলে জানা গেছে।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, জাহিদ হাসানের সঙ্গে ওই স্কুলছাত্রীর দীর্ঘ দিন ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে দৈহিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে। কিশোরীটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে তার স্কুলে যাওয়াও বন্ধ হয়ে যায় কয়েক মাস। এ ঘটনা জানাজানি হলে পরিবারের চাপে গোপন অভিসারের ফসল মেনে নিতে চাননি প্রেমিক জাহিদ। পরে গত মঙ্গলবার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ওই কিশোরীছাত্রী এক কন্যা সন্তানের জন্ম দেন। এ ঘটনায় ওই কিশোরীর পরিবার ও এলাকাবাসী জাহিদের পরিবারের প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন। সন্তান প্রসবের পর এলাকাবাসীর চাপে ও মামলার ভয়ে ওই কিশোরীছাত্রীকে পুত্রবধূ হিসেবে মেনে নিতে বাধ্য হয় জাহিদের পরিবার।

স্থানীয় মাতাব্বরদের উপস্থিতিতে পাঁচ লাখ টাকা দেন মোহরের মাধ্যমে বিয়ের নিকাহ্ রেজিস্ট্রি করা হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কিশোরীটির পরিবারের একজন জানান, নবজাতক কন্যা সন্তানের পিতৃ পরিচয় ও সামাজিক দায়বোধ থেকে তারা ভীষন চিন্তিত ছিলেন! তবে শেষমেষ বিয়ের মধ্য দিয়ে বিষয়টির নিষ্পত্তি হওয়ায় তাদের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে বলেও জানান তিনি।

এ বিষয়ে জাহিদ হাসানের বাবা ওয়াহেদ আলী বলেন, ‘এলাকাবাসীর উপস্থিতিতে এ বিয়ে হয়েছে।’ এ প্রসঙ্গে স্থানীয় দাড়িয়াপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যন আনছার আলী আসিফ বলেন, ‘বিয়েটি স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে সামাজিকভাবে সম্পন্ন হয়েছে।’

আরো পড়ুন :

সুটকেস খুলতেই বের হলো তরুণীর লাশ

আশুলিয়া (ঢাকা) সংবাদদাতা
রাজধানী লাগোয়া আশুলিয়ায় সুটকেসের অভ্যন্তর থেকে অজ্ঞাত (২০) পরিচয়ে এক তরুণীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টায় নবীনগর-কালিয়াকৈর মহাসড়কের পলাশবাড়ি এলাকা থেকে নিহতের লাশটি উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার বেলা ১১টায় আশুলিয়ার পলাশবাড়ি এলাকায় হাবিব সিএনজির পাশে একটি সুটকেস পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা। পরে সুটকেসের কাছে গিয়ে ভেতর থেকে মাথার চুলের কিছু অংশ দেখতে পেয়ে বিষয়টি সন্দেহ হলে তারা থানা পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করে। খবর পেয়ে আশুলিয়া থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে সুটকেসের ভেতর থেকে এক তরুণীর লাশ উদ্ধার করে।

এ ব্যাপারে আশুলিয়া থানার উপ পরিদর্শক (এস আই) অহিদ মিয়া বলেন, নিহতের লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, নিহত ওই তরুণীকে অন্য কোথাও শ্বাসরোধ করে হত্যার পর লাশটি গুম করার জন্য এখানে ফেলে রেখে গেছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এছাড়াও নিহতের পরিচয় সনাক্তের চেষ্টা চলছে বলেও তিনি জানান।


আরো পড়ুন :
গোয়ালন্দে যৌন হয়রানির প্রতিবাদ করায় যুবককে পিটিয়ে হত্যা
বালিয়াকান্দি (রাজবাড়ী) সংবাদদাতা

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে যৌন হয়রানির প্রতিবাদ করায় রুমান (২০) নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সে গোয়ালন্দ উপজেলার ছোটভাকলা ইউনিয়নের চর আন্ধার মানিক গ্রামের আবুল কালাম মহুরীর ছেলে। শনিবার বিকেল ৫টার দিকে স্থানীয় কাটাখালী বাজারে এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় রুমনের বন্ধু সুমন বেপারী (২০), ইমন গাজী (২০) ও আকাশ খান নামে ৩ যুবক আহত হয়েছে। আহত সুমন ও ইমনকে গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বাজারের দুই দোকানদারকে আটক করেছে।

গোয়ালন্দ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত সুমন বেপারী জানান, বরাট ভাকলা স্কুল এন্ড কলেজের অষ্টম শ্রেণিতে পড়ুয়া তার বন্ধুর এক ভাগনিকে কাটাখালী এলাকার রাসেল নামের এক যুবক যৌন হয়রানি করে আসছিল। সম্প্রতি রাসেল ওই স্কুলছাত্রীকে অপহরনের হুমকি দেয়।

এ বিষয়ে সুমন ওই স্কুলছাত্রী তার ভাগনি হয় বলে রাসেলকে ফোনে যৌন হয়রানি করতে নিষেধ করে। এতে রাসেল ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে (সুমন) স্থানীয় কাটাখালী বাজারে এসে স্বাক্ষাতে কথা বলতে বলে। তারা তিন বন্ধু মিলে কাটাখালী আসলে রাসেলের নেতৃত্বে ৭/৮ জন যুবক তাদেরকে এলোপাথারী মারপিট করে আহত করে। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়। এসময় সে (সুমন) ফোনে তার বন্ধু রুমানকে এ ঘটনা জানায়।

রুমান দ্রুত মোটরসাইকেল নিয়ে কাটাখালী বাজারে চলে আসে। রুমানের উপস্থিতি দেখে রাসেল ও তার সহযোগীরা আরো ক্ষিপ্ত হয়ে রুমানের উপর হামলা চালায়। তারা কাঠের চলা দিয়ে রুমানের মাথায় আঘাত করলে সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে গোয়ালন্দ হাসপাতালে পাঠায়। হাসপাতালে জরুরী বিভাগের চিকিৎসক এসময় রুমানকে মৃত ঘোষণা করে।

গোয়ালন্দ জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. নুরুল ইসলাম জানান, হাসপাতালে আনার পূর্বেই রুমানের মৃত্যু হয়। তার মাথার পেছনের দিক গুরুতর আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
এ প্রসঙ্গে গোয়ালন্দ ঘাট থানা ওসি মির্জা একে আজাদ জানান, এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারের জন্য ইতিমধ্যে পুলিশ অভিযান শুরু করেছে।

 


আরো সংবাদ



premium cement