এমপিকে লাল কার্ড প্রদর্শন

সরাইলের জাপা নেতা ও স্থানীয় সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধার বিগত দিনের কর্মকান্ডের সমালোচনা করে তাকে লাল কার্ড  প্রর্দশন করেন উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতারা।

তারা বলেন, তিনি আওয়ামীলীগের ভোটে এমপি নির্বাচিত হয়েছেন। কিন্তু সরকারি কোন কাজেই স্থানীয় আওয়ামীলীগের সাথে সমন্বয় করছেন না। টিআর কাবিখা দিয়ে দলের মাঠ পর্যায়ের অনেক নেতা-কর্মীকে জাতীয় পার্টিতে নিয়ে যাচ্ছেন। উনি নিজ দলের বাহিরে কোন কিছুই বুঝেন না। এসময় এডভোকেট আব্দুর রাশেদ সংসদ সদস্য জিয়াউল হক মৃধাকে লক্ষ্য করে লাল কার্ড প্রদর্শন করলে উপস্থিত দলীয় নেতা কর্মীরা চিৎকার করে তাকে সমর্থন করেন।

শনিবার বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের ৬৯ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন উপলক্ষে আলোচনা সভায় লাল কার্ড প্রর্দশন করা হয়। উপজেলা আ’লীগের যুগ্ম আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট আব্দুর রাশেদের সভাপতিত্বে ও সদস্য অ্যাডভোকেট জয়নাল উদ্দিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় আরো বক্তব্য রাখেন- আহবায়ক কমিটির সদস্য প্রকৌশলী মো. জাহাঙ্গীর আজাদ, মো. শফিকুর রহমান সাফি ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আশরাফ উদ্দিন মন্তু প্রমূখ।

উপজেলা আওয়ামীলীগ কর্তৃক লাল কার্ড প্রর্দশনের বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২(সরাইল-আশুগঞ্জ) নির্বাচনী এলাকার সংসদ সদস্য এডভোকেট জিয়াউল হক মৃধার সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমার কাছ থেকে আওয়ামীলীগের নেতা-কর্মীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশী সুবিধা নিয়েছেন এডভোকেট আব্দুর রাশেদ। তিনি করতেন জাসদ, পরে করেছে জাতীয়পার্টি, এখন করে আ’লীগ। তিনি দলছূট ও অস্থির চিত্তের মানুষ। কখন যে কি করে বলা যায় না। শেখ হাসিনা যদি আমাকে সবুজ কার্ড দেখায় তার লাল কার্ডে কি হবে।

এর আগে শুক্রবার রাত বারটার পর কালিকচ্ছ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে কেক কেটে দিবসটি পালনের সূচনা করেন উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো. রফিক উদ্দিন ঠাকুর, ইউপি আ’লীগের সহ-সভাপতি মো. আমীর আলী ও সম্পাদক মো. ছলিম উদ্দিন।