২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

প্রার্থী ও নেতা কর্মীদের পদচারণায় গাজীপুর মুখরিত

-

গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন (জিসিসি) নির্বাচনের ভোট গ্রহণের আর মাত্র ৩ দিন বাকি। সময় যতই ঘনিয়ে আসছে পাশা পাশি নির্বাচনী উত্তাপ বেড়েই চলছে। সেই সঙ্গে বাড়ছে প্রার্থী, কর্মী ও সমর্থকদের ব্যস্ততা ও অস্থিরতা। নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বি প্রধান দুই রাজনৈতিক দল আওয়ামীলীগ ও বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থীর পক্ষে ১৪ দল ও ২০ দলীয় জোটের অর্ধশতাধিক কেন্দ্রীয় নেতা নির্বাচনী প্রচারণায় মাঠে নেমেছেন। এদিন তারা কর্মী সমর্থকদের নিয়ে ছোট ছোট দলে বিভক্ত হয়ে সকাল হতে রাত পর্যন্ত বিভিন্ন এলাকায় ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে ভোট প্রার্থনা করেছেন।

মেয়র প্রার্থীদের গণসংযোগ
বিএনপি ॥
২০ দলীয় ঐক্যজোট মেয়রপ্রার্থী মুক্তিযোদ্ধা হাসান উদ্দিন সরকার শুক্রবার নগরীর বাসন ও টঙ্গী এলাকায় গণসংযোগ করেছেন। এদিন বিএনপিসহ জোট নেতারা নগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ডে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারদের কাছে তাদের প্রার্থী আলহ্জ¦ হাসান উদ্দিন সরকারের পক্ষে ভোট প্রার্থনা করে কর্মব্যস্ত দিন কাটিয়েছেন।

বিএনপির কেন্দ্রীয় সদস্য ও ধানের শীষের মিডিয়া সেলের প্রধান সমন্বয়কারী ড. মাজহারুল আলম জানান, ধানের শীষের প্রাথী বীর মুক্তিযোদ্ধা হাসান উদ্দিন সরকার সকাল ৯টায় বাসন ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের মোগরখালে পথসভার মাধ্যমে তার শুক্রবারের নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেন। পরে তিনি নগরীর যোগীতলা, চান্দনা মোশারফ স্কুল এলাকায় প্রচার কাজ করেন।

মাঝে জুমার বিরতি নিয়ে তিনি টিএন্ডটি কলোনি জামে মসজিদে জুমার নামায আদায় করেন এবং মুসল্লিদের সাথে কুশল বিনিময় কওেরন। তিনি মুসল্লিদের কাছে দোয়া চান। তিনি পর্যায়ক্রমে বাস অঞ্চলের ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের যোগীতলা নতুন বাজার, চান্দনা মোশারফের স্কুল (দক্ষিণপাড়া), ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাড়ীয়ালী নগপাড়া মন্ডল বাড়ী মসজিদ সংলগ্ন, ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাজীম উদ্দিন মার্কেট, ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের ইটাহাটা রাস্তার মাথা, হক মার্কেট ও কাউন্সিলর ফয়সাল সরকারের অফিস প্রাঙ্গনে পথসভা করেন।

পথসভায় বক্তৃতায় হাসান সরকার বলেন, এটি সরকার পরিবর্তনের নির্বাচন নয়, এটি একটি স্থানীয় সরকার নির্বাচন। তাই জনগণের রায়কে ভয় পাওয়ার কোন কারণ নেই। কাজেই গণগ্রেফতার বন্ধ করে ভোটের পরিবেশ নির্ভিগ্ন করার জন্য তিনি সরকার ও নির্বাচন কমিশনের প্রতি অনুরোধ জানান।

শুক্রবার হাসান উদ্দিন সরকারের সাথে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও গাসিক নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ড. খোন্দকার মোশারফ হোসেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আলহাজ¦ মীর মো. নাসির উদ্দিন, গাজীপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ও নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক একেএম ফজলুল হক মিলন, সদস্য সচিব কেন্দ্রীয় নেতা কাজী সাইয়্যেদুল আলম বাবুল, বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু , জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক সোহরাব উদ্দিন, বিএনপি নেতা সুরুজ্জামান, বশির আহমেদ বাচ্চু, ছাত্রনেতা মনির হোসেন, আতাউর রহমান, জিয়া পরিষদ নেতা আসাদুজ্জামান সোহেল, কাপাসিয়া থানা বিএনপির সভাপতি আব্দুল খলিল, সেক্রেটারী সাখাওয়াত হোসেন সেলিম, সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ গাজীপুর জেলার সভাপতি অধ্যাপক নজরুল ইসলাম সহ নেতা-কর্মীরা নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেন।

এছাড়াও সিটি কর্পোরেশনের ৫৭টি ওয়ার্ডে বিএনপির কেন্দ্রীয় ৫৭টি নির্ধারিত টিম গণসংযোগ অব্যাহত রেখেছে। এদের মধ্যে ৩১ নং ওয়ার্ডে প্রচার কাজ করেন যুবদল সাবেক সভাপতি এরবার্ট পি কস্তা। নগরীর ৯নং ওয়ার্ডে প্রচার কাজ করেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি শওকত মাহমুদ। নগরীর ৪০ ও ৪২নং ওয়ার্ডে প্রচার কাজ করেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও পেশাজীবী নেতা ডা, এজেড এম জাহিদ হোসেন। সাথে ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক বেগম জাহানারা, সহ ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক অর্পণা রায়, জিয়া ব্রিগেড সভাপতি আবুল হোসেন, পেশাজীবী নেতা ইঞ্জিনিয়ার ফখরুল আলম, ইঞ্জিনিয়ার রুহুল আমীন আকন্দ, ইঞ্জিনিয়ার আব্দুর রশিদ, স্থানীয় বিএনপি নেতা আব্দুল বাতেন, সোলায়মান, হাজী রফিক প্রমুখ। ২৩ নং ওয়ার্ডে প্রচার কাজ করেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির গণ শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়া, বাকশিস গাজীপুর জেলার সভাপতি অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম, জাকির হোসেন, অধ্যক্ষ সেলিম মিয়া, মাওলানা দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ। নগরীর ৫নং ওয়ার্ডে প্রচার কাজ করেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা প্রফে. ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার। নগরীর ৩৯নং ওয়ার্ডে প্রচার কাজ করেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক প্রফে. ডা. রফিকুল ইসলাম বাচ্চু। ২৭ নং ওয়ার্ডে প্রচার কাজ করেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান। নগরীর ২৪নং ওয়ার্ডে প্রচার কাজ করছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ২৮ ওয়ার্ডে প্রচার কাজ করেন বিএনপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, কেন্দ্রীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক এড. আব্দুস সালাম, জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক কাজী মাহবুবুল হক গোলাপ, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক এড. মেহেদী হাসান এলিস, এম এইচ রহমান হাফিজ প্রমুখ। নগরীর ১নং ওয়ার্ডে প্রচার কাজ করেন বিএনপির পল্লী উন্নয়ন সম্পাদক গৌতম চক্রবর্তী, তাঁর সাথে ছিলেন বিএনপি নির্বাহী কমিটির সহ ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক অমলেন্দ দাস অপু, নির্বাহী সদস্য দেবাষীশ রায় মধু। ৩২নং ওয়ার্ডে প্রচার কাজ করেন সেলিম রেজা হাবিব, ছাত্রদলের আনিছুর রহমান, তালুকদার খোকন প্রমুখ। নগরীর ৩১ নং ওয়ার্ডে প্রচার কাজ করেন বিএনপি চেয়ারপারসন এর উপদেষ্টা জয়নাল আবেদীন ফারুক, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শ্যামা ওবায়েদ। নগরীর ১৩ নং ওয়ার্ডে প্রচার কাজ করেন বিএনপি কেন্দ্রীয় নেতা এমরান সালেহ প্রিন্স ধানের শীষের পক্ষে ভোট চান।

আওয়ামীলীগ ॥
১৪ দলীয় জোটের আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী (নৌকা) মোঃ জাহাঙ্গীর আলম শুক্রবার নিজ বাসভবনের সামনের উঠানে তাবলীগ জামাতের মুরব্বী এবং শতাধিক সাথীভাইদের সাথে মতবিনিময়ের মাধ্যমে গণসংযোগ শুরু করেন।

মতবিনিময়ে জাহাঙ্গীর আলেম ওলামাদের দোয়া নেন এবং সকল মানুষদের সাথে নিয়ে একটি পরিকল্পিত নগরী গড়ার লক্ষে ২৬ জুন নির্বাচনে সহযোগীতা এবং ভোট চান। তাবলীগের মুরব্বী মোনাজাতে জাহাঙ্গীরের সাফল্য প্রত্যাসা করে মহান আল্লাহর রহমত কামনা করেন।

পরে দিনের কর্মসূচী অনুযায়ী জাহাঙ্গীর আলম মহানগরীর ১৩ নম্বর ওয়ার্ড কলাবাগানে পথসভায় প্রথম বক্তব্য রাখেন। পরে ২০ নম্বর মজলিশপুর, ২২ এ বাংলাবাজার, ২১ এ বিপ্রবর্থা, ২৩ খালপাড়া পথসভায় ভোটারদের সহযোগীতা ও ভোট চান। চান্দণা চৌরাস্তা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে জুমার নামাজ আদায় করেন। বিকেল ৩টায় বঙ্গবন্ধু কৃষি বিশ^বিদ্যালয় ফটকের সামনে পথসভার মাধ্যমে দ্বিতীয় দফা প্রচারণা শুরু করেন। পরে ১৬ এ আক্তার মার্কেট ১৮ তে টি এন্ড টি রোড, শাপলা মেনশন ও অনুপম সুপার মার্কেটে পথসভার মাধ্যমে ভোট প্রার্থনা করেন। মাঝে টঙ্গীতে মহানগর আওয়ামী লীগে যৌথসভায় যোগ দেন।

চান্দণা চৌরাস্তা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে জুমার নামাজ শেষে মসজিদ আঙিনায় মুসল্লিদের উদ্দেশ্যে জাহাঙ্গীর আলম বলেন , মহানগরীর ১৮’শ মসজিদের খতিব, সারে ৪’শ কওমী মাদ্রাসার শিক্ষক এবং তাবলীগ জামাতে মুরব্বীরা নিজ নিজ অবস্থান থেকে আমাকে নৌকা মার্কায় সমর্থন দিয়ে প্রচারণা চালাচ্ছেন। আমাকে ভোট দেন নৌকাকে ভোট দেন। আমি ক্লিন এবং গ্রীন সিটি উপহার দিতে চাই। সবাইকে একটি বাসযোগ্য শহর দিতে চাই।’

এদিকে আওয়ামী লীগ মেয়র প্রার্থী মোঃ জাহাঙ্গীর আলমের পক্ষে আলেম ওলামা, স্কুল কলেজ বিশ^বিদ্যায়ের শিক্ষক, চাকুরীজীবি, শ্রমিক, সাধারন খেটে খাওয়া মানুষ, শ্রমিক, কৃষক, নারী, যুবক সর্বস্তরের মানুষ প্রচারণা চালাচ্ছে বলে মোঃ জাহাঙ্গীর আলমের মিডিয়া সেলের পক্ষ থেকে দাবী করা হয়েছে। এতে আরো বলা হয়, গাজীপুর সিটিতে নৌকার পক্ষে জাহাঙ্গীর আলম সকল শ্রেনীর মানুষকে নিয়ে উৎসবমুখর পরিবেশে প্রচারণা চালাচ্ছেন। একইসাথে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ নিজ নিজ প্রার্থীও পক্ষে প্রচারণায় গিয়ে যখনই মুখোমুখি হচ্ছেন নিজেদের মধ্যে কুশল বিনিময় করতে দ্বিধা করছেন না। এমন সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশ দেখেদেশ বিদেশের নির্বাচন পর্যবেক্ষক এবং ডিপলোমেটগণ নির্বাচনী পরিবেশ নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করছেন। আশার আলো দেখতে পাচ্ছেন ভোটারগণ। সবাই অপেক্ষ করছেন একটি অবাধ, সুষ্ঠু এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের।

পথসভায় জাহাঙ্গীর আলম তার বক্তব্যে বলেন, এখানকার সমাজ ব্যবস্থায় সব শেনী পেশার মানুষের প্রয়োজন আছে। আমি সবার জন্য কাজ করতে চাই। আলেম ওলামা, স্কুল কলেজ বিশ^বিদ্যায়ের শিক্ষক, চাকুরীজীবি, শ্রমিক, সাধারন খেটে খাওয়া মানুষ, শ্রমিক, কৃষক, নারী, যুবক, শিশু সবার উপযোগী একটি প্যাকেজ তৈরী করেছি। আমাকে ভোট দেন। আমি আপনাদের সাথে নিয়ে একটি পরিকল্পিত শহর গড়ে তুলবো।’

মহানগর আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, তাতি লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, মহাজোট শরিক জাতীয় পার্টি, জাসদ, তরিকত ফেডারেশনসহ সকল অংগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ পচারণা চালাচ্ছেন।

প্রচারণায় আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ ঃ
খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক সকাল থেকে প্রার্থীর সাথে পথসভা এবং গণসংযোগ করেন। কেন্দ্রীয় নেতা ডাঃ মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন সকালে টঙ্গীতে এবং চান্দনা চৌরাস্তা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে জুম্মার নামাজের পর প্রচারণা চালান। কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিষ্টার মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মোঃ জাকির হোসেন নগরীর ২৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ দলীয় কার্যালয়ে নেতাকর্মীদের সাথে নির্বাচনী কৌশল নিয়ে আলোচনা করেন। ওলামা লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আখতার হোসেন বোখারী মহানগরীর ৪০, ৪১ নং পুবাইল এলাকায় গণসংযোগ করেন। টাঙ্গাইল কালিহাতি উপজেলা চেয়ারম্যান মাজহুরুল ইসলাম তালুকদার টঙ্গীতে প্রচারণা চালিয়েছেন।

আওয়ামীলীগ-বিএনপি নেতাদের একসঙ্গে প্রচারণা ॥
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিষ্টার মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ জাকির হোসেন বিএনপির কেন্দ্রীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খোন্দকার মোশারফ হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ ফজলুল হক মিলন ও উভয় দলের স্থানীয় নেতৃবৃন্দ একসাথে গাজীপুর জেলা শহরে একই মসজিদে জুমার নামাজ আদায় করেন। নামাজের আগে তারা মুসুল্লীদের সালাম দেন এবং নিজ দলের প্রার্থীদের জন্য দোয়া ও ভোট চান। নামাজ শেষে মসজিদের বাইরে নেতৃবৃন্দ হাতে-হাত ধরে সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করে একসাথে ক্যামেরাবন্দি হন।

নওফেল বলেন, এই সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশ প্রমাণ করে বর্তমান সরকার একটি নিরপেক্ষ, গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহনমূলক পরিবেশে নির্বাচন করতে বদ্ধপরিকর। গাজীপুরে একটি চমৎকার ও উৎসবমুখর পরিবেশ বজায় রয়েছে।

নামাজ শেষে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দদের হাতেহাত ধরে ভোটারদের সাথে কুশল বিনিময়ের ঘটনায় স্থানীয় বিএনপি নেতৃবৃন্দ ও সাধারণ ভোটারগণ নির্বাচনের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিয়ে স্বস্তি প্রকাশ করেন।


ইসলামী আন্দোলন ॥
দুপুরে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মেয়র প্রার্থী মুহা. নাসির উদ্দিনের শুক্রবার সালনা বাজার এবং ২৩ নং ওয়ার্ড সহ বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ করেন। এসময় তিন বলেন, নগরবাসীর দুঃখ দুর্দশা লাঘব করতে চাই। তাদের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা পূরণে কাজ করে যেতে চাই। গাজীপুর সিটিতে বিদ্যমান জন দুর্ভোগ, অপরিচ্ছন্নতা ও যোগাযোগ ব্যবস্থার বেহাল দশা দূর করতে কাজ করতে চাই। গাজীপুর বাসী আমাকে সৎ, আমানতদ্বার সেবক হিসেবে সিটির উন্নয়নে সব সময় তাদের পাশে পাবে।

সালনা বাজার এবং ২৩ নং ওয়ার্ডে গণসংযোগ শেষে তিনি চান্দনা চৌরাস্তা জামে মসজিদে জুমুআর নামাজ আদায় করেন। একই মসজিদে আরেক প্রতিদ্বন্দ্বি মেয়র প্রার্থী আলহাজ্ব জাহাঙ্গীর আলমও নামাজ আদায় করেন। প্রার্থীদ্বয় নামাজের পূর্বে উপস্থিত মুসল্লিদের সামনে নিজেদের অভিব্যক্তি ব্যক্ত করেন।

প্রিন্সিপাল নাসির উদ্দিন বলেন, গাজীপুর সিটির উন্নয়নের জন্যে বরাদ্দকৃত বাজেটের শতভাগ ব্যয় নিশ্চিত করতে হবে। সেই হিসেবে নগরবাসী আমাকে তাদের খাদেম হিসেবে নির্বাচিত করলে বরাদ্দকৃত বাজেটের একটি পয়সাও দূর্নীতি হবে না, এই নিশ্চয়তা দিতে পারি।

এরপর বিকেলে তিনি শহর শাখার বিভিন্ন ওয়ার্ডে নির্বাচনী গণসংযোগ ও পথসভা করেন। এছাড়াও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক মাহাবুবুর রহমান এর নেতৃত্বে একটি টীম জয়দেবপুরে গণসংযোগ করেন এবং ইসলামী যুব আন্দোলনের কেন্দ্রীয় আর্ন্তজাতিক বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আতিকুর রহমান মোজাহিদ-এর নেতৃত্বে যুব আন্দোলনের একটি টীম কাশিমপুর সাংগঠনিক শাখায় নির্বাচনী গণসংযোগ করেন।

জেলা নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, আগামী ২৬ জুন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন। আগামী ২৪ জুন দিবাগত রাতে সব ধরণের প্রচারণা শেষ হচ্ছে। মোট ৫৭টি ওয়ার্ড নিয়ে সিটি করপোরেশন গঠিত। ভোটারের সংখ্যা ১১ লাখ ৩৭ হাজার ৭৩৬ জন। পুরুষ ও নারী ভোটারের সংখ্যা প্রায় সমান সমান। ভোটকেন্দ্র ৪২৫টি। ৩৩৭টি গুরুত্বপূর্ন। বাকী ৮৮টি সাধারণ।

 

 

 


আরো সংবাদ



premium cement
কৃষক যাতে ন্যায্যমূল্য পান, সেভাবেই ধানের দাম নির্ধারণ করা হবে : কৃষিমন্ত্রী চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে সিএনজি ও বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ২, আহত ৪ ভান্ডারিয়ায় ঐতিহ্যবাহী ঘোড়া দৌড় প্রতিযোগিতা দেখতে দর্শনার্থীদের ঢল তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে ৭ দিন স্কুল বন্ধের দাবি চাটমোহরে ঐতিহ্যবাহী ঘোড়া দৌড় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত বিএনপি সাম্প্রদায়িক শক্তি, এদের রুখতে হবে : ওবায়দুল কাদের সাদিক এগ্রোর ব্রাহামা জাতের গরু দেখলেন প্রধানমন্ত্রী ভারতে লোকসভা নির্বাচনে প্রথম ধাপে ভোট পড়েছে ৬০ শতাংশ সারা বিশ্ব আজ জুলুমবাজদের নির্যাতনের শিকার : ডা. শফিকুর রহমান মিয়ানমারের ২৮৫ জন সেনা ফেরত যাবে, ফিরবে ১৫০ জন বাংলাদেশী : পররাষ্ট্রমন্ত্রী চন্দনাইশ, বাঁশখালী ও বোয়ালখালীতে ৩ জনের মৃত্যু

সকল