১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

দেশে বিলুপ্তপ্রায় ময়ূরের বাচ্চা উৎপাদন

ময়ূর। (ইনসেটে) ইনকিউবেটরে জন্ম নেয়া ময়ূরের বাচ্চা। - সংগৃহীত

গাজীপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফরি পার্কে ইনকিউবেটরে পাখির বাচ্চা উৎপাদনে সাফল্য অর্জিত হয়েছে। এপর্যন্ত  যান্ত্রিক উপায়ে ৩ দফায় প্রায় ১৯টি বাচ্চা উৎপাদন করা হয়েছে। কৃত্তিম বংশবৃদ্ধির মাধ্যমে দেশের বিলুপ্ত প্রায় প্রজাতির পাখিগুলোর সংখ্যা বৃদ্ধি করার উদ্দেশ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফরি পার্কের পক্ষ থেকে এই উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।

পার্ক সূত্র জানিয়েছে, গাজীপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফরি পার্কের ‘সাফারি কিংডম’-এ রয়েছে ৯টি পাখিশালা। তার মধ্যে নীল-সোনালী ম্যাকাউ, গ্রীন ম্যাকাউ, আফ্রিকান গ্রে প্যারট, টিয়া প্যালিকেন, লুটিনো রিংনেক প্যারট ও ময়ূরসহ প্রায় ৩০ প্রজাতির পাখি রয়েছে। সেখানে তারা স্বাচ্ছন্দে বিচরণ করছে, পার্ক কর্তৃপক্ষের দেয়া খাবার খাচ্ছে, প্রজনন করছে। বিভিন্ন সময়ে ভিন্ন ভিন্ন প্রজাতির পাখি গুলো ডিম দিলেও নানা কারণে তা থেকে বাচ্চা হচ্ছিল না।

পার্কের জুনিয়র ওয়াইল্ড লাইফ স্কাউট সমীর সুর চৌধুরী বলেন, পার্কের প্রকল্প পরিচালক সামসুল আজম স্যারের ঐকান্তিক ইচ্ছায় পার্কে ডিম থেকে বাচ্চা ফোটানোর যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জামাদি কেনা হয়। বর্তমানে এসব যন্ত্রপাতির মাধ্যমে ময়ূরের ডিম থেকে তিন ধাপে এদের মধ্যে প্রথম ধাপে ১০টি এবং দ্বিতীয় ধাপে ৭টি ও ৩য় ধাপে ২টি বাচ্চা জন্ম নেয়। বর্তমানে বাচ্চাগুলোকে পার্কের ইনকিউবেটর রুমে প্রতিপালন করা হচ্ছে।

পার্কের সাফারি কিংডমে কর্মরত ওয়াইল্ড লাইফ সুপারভাইজার মো. আনিসুর রহমান জানান, আমাদের ময়ূর বেস্টনীতে প্রাপ্ত বয়স্ক ৮০ টির মত ভারতীয় রঙ্গিন ও সাদা ময়ূর রয়েছে। প্রাকৃতিকভাবে ময়ূর নিজেরাও ডিমে তা দিয়ে বাচ্চা ফোটায়। ময়ূর সাধারণত ফেব্রুয়ারি-মে পর্যন্ত ডিম দেয়। প্রতিবারে ৮-১০টি করে ডিম দেয়। এদের ডিম থেকে ২৮ থেকে ৩০ দিনে বাচ্চা ফোটে বের হয়। এবছর প্রাকৃতিকভাবে ডিম ফুটে ৪ টা বাচ্চা হয়েছে। ইতোপূর্বে এখানে অসংখ্য বাচ্চা হয়েছে। তবে প্রকৃতিতে অতি বৃষ্টিপাত, তাপমাত্রার উঠা-নামাসহ নানা প্রতিকূলতায় ডিম নষ্ট হয়ে যায়। কিছু ময়ূর আবদ্ধ পরিবেশে রাখা হয়েছে। তারাও ডিম দিচ্ছে। এদের ডিম ইনকিউবেটরে তা দিয়ে বাচ্চা উৎপাদন করা হচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশে ময়ূর হলো বিলুপ্তপ্রায় প্রাণি। প্রকৃতিতে এদের সংখ্যা বাড়ানোর জন্য পার্ক কর্তৃপক্ষ চিন্তা-ভাবনা করছে। এখানে ইনকিউবেটরে ময়ূরের বাচ্চা ফোটানো ব্যবস্থাকরণ তারই একটি প্রাথমিক পদক্ষেপ। তবে এক্ষেত্রে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুত প্রয়োজন। বর্ষার দিনে দীর্ঘ সময় পার্কে বিদ্যুতহীন হয়ে পড়ে। এসময় এখানে থাকা সোলার সিস্টেমও পর্যাপ্ত সূর্যালোকের অভাব দেখা দেয়ায় প্রয়োজনীয় বিদ্যুত প্রাপ্তিতে সমস্যা হয়। এতে ডিম ও বাচ্চা নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দেয়। এরজন্য নিরবিচ্ছন্ন বিদ্যুতের বিকল্প ব্যবস্থা করা জরুরী। এখানে ময়ূর ছাড়াও অন্য পাখির ডিম ফোটানোর চেষ্টা চলছে।

পার্কের প্রকল্প পরিচালক সামসুল আজম জানান, চীন থেকে আনা  ইনকিউবেটরটি তিন মাস আগে চালু করা হয়েছে। আমার জানা মতে দেশে এমন ইনকিউবেটর আর কোথাও নেই। এখানে বিলুপ্ত পাখি ময়ূর ছাড়াও উটপাখিসহ অন্যান্য পাখির ডিম থেকে বাচ্চা ফোটানোর জন্যই এ যন্ত্রটি পার্কে স্থাপন করা হয়েছে। এখানে জলবায়ুর প্রভাবে প্রাকৃতিক পরিবেশে অনেক পাখির ডিম অনেকোংশে নষ্ট হয়ে যায়। ডিম থেকে শতভাগ বাচ্চা ফোটানোর জন্যই আয়বর্ধক এ প্রকল্প হতে নেয়া হয়েছে। বর্তমানে উট পাখির ডিম ইনকিউবেটরে দেয়া হয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement
তীব্র তাপপ্রবাহে বাড়ছে ডায়রিয়া হিটস্ট্রোক মাছ-ডাল-ভাতের অভাব নেই, মানুষের চাহিদা এখন মাংস : প্রধানমন্ত্রী মৌসুমের শুরুতেই আলু নিয়ে হুলস্থূল মধ্যস্বত্বভোগীদের কারণে মূল্যস্ফীতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না এত শক্তি প্রয়োগের বিষয়টি বুঝতে পারেনি ইসরাইল রাখাইনে তুমুল যুদ্ধ : মর্টার শেলে প্রকম্পিত সীমান্ত বিএনপির কৌশল বুঝতে চায় ব্রিটেন ভারতের ১৮তম লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোট আজ নিষেধাজ্ঞার কারণে মিয়ানমারের সাথে সম্পৃক্ততায় ঝুঁকি রয়েছে : সেনাপ্রধান নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার পাঁয়তারা চালাচ্ছে বিএনপি : কাদের রৌমারীতে বড়াইবাড়ী সীমান্তযুদ্ধ দিবস পালিত

সকল