ম তি ন মা হ মু দ
১২ জানুয়ারি ২০১৮,শুক্রবার, ০০:০০
মিসরের সাওয়াইরিস কালচারাল অ্যাওয়ার্ড
মিসরের মর্যাদাপূর্ণ সাওয়াইরিস কালচারাল অ্যাওয়ার্ড ২০১৭ সম্প্রতি প্রদান করা হয়েছে। কায়রোর অপেরা হাউজের মেইন হলে ৮ জানুয়ারি এক অনুষ্ঠানে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেয়া হয়। বিভিন্ন বিষয়ে পুরস্কার দেয়া হয়। এ বছর প্রতিষ্ঠিত লেখকদের সেরা উপন্যাসের প্রথম পুরস্কার পেয়েছেন, লেখক সাংবাদিক ইউসেফ রাখা। তার উপন্যাসের নাম ‘পাউলো’। দ্বিতীয় পুরস্কার পেয়েছেন সাদ আবদেল ফাত্তাহ, আউশব (হার্ব) উপন্যাসের জন্য। নতুন বা উঠতি লেখক বিভাগে প্রথম পুরস্কার পেয়েছেন দু‘জন। ‘অনথা মোয়াজিয়া’ (এ প্যারালাল ফিমেল) উপন্যাসের জন্য আলী সাঈদ ও ‘ফি গোরফাত আল আনকাবুত ( ইন দি স্পাইডার্স রুম) উপন্যাসের জন্য মোহাম্মদ আবদেল নবী। দ্বিতীয় পুরস্কারও পেয়েছেন দু‘জন। ‘হেকায়েত আল হোসনে ওয়াল হোজনে’ (টেলস অব বিউটি অ্যান্ড স্যাডনেস)-এর জন্য আহমেদ শাওকি আলী ও ‘মাকাম গিয়াবেক’ ( দি প্লেস অব ইউর অ্যাবসেন্স) উপন্যাসের জন্য মিনা হানি। প্রতিষ্ঠিত লেখকদের ছোটগল্পের জন্য প্রথম পুরস্কার পেয়েছেন ‘খোশল আল আওয়ারাম’ (দি কিওস্ক অব টিউমার) শীর্ষক ছোটগল্প সঙ্কলনের জন্য সাঈদ নূহ। দ্বিতীয় পুরস্কার পেয়েছেন ‘ফি বায়াত মামাস আল দিমা’ (ইন দি হোম আব দি ভ্যাম্পায়ার) নামক গ্রন্থের লেখিকা সামার নূর। নতুন লেখক বিভাগে প্রথম পুরস্কার পেয়েছেন আমির জাকি (বই- খাত ইনতিহাব) মোহাম্মদ আলাদিন (মাওসেম আল হিজরা লি আরকেডিয়া)। দ্বিতীয় পুরস্কার পেয়েছেন মার্ক আমজাদ (নাশিদ আল জেনারেল) ও লেখিকা শিরিন ফাতহি (আল বাতালা লা ইয়াজেব আন তাকুন বাদিনা)।
নেপালি লেখিকা শান্তার বেস্ট সেলার বই
নেপালে আত্মজৈবনিক ধারার ফিকশন বা কাহিনী বেশ জনপ্রিয়। এগুলোতে মূলত ফুটে ওঠে জীবনের ঘটে যাওয়া সত্য কথন। এই ধারার গ্রন্থ লিখে দেশটিতে জনপ্রিয়তা পেয়েছেন কয়েকজন লেখিকা। তার মধ্যে আছেন ঝমক গিমায়া, রাধা পাউডেল ও তারা রাই। সম্প্রতি যুক্ত হয়েছে আরেকটি নামÑ শান্তা চৌধুরী। তার লেখা বই ‘কামলারি দেখি সভাসদ সাম্মা’
( ফ্রম কামলারি টু সিএ মেম্বার) বেশ নাম করেছে। আমাদের প্রতিবেশী নেপাল এশিয়ার অন্যতম দরিদ্র দেশ। শান্তা সহজ-সরল ভাষায় তার জীবনকাহিনী বর্ণনা করেছেন এই বইয়ে। নেপালে ১০০ বছর আগে দাসপ্রথা বিলুপ্ত হলেও কোনো কোনো প্রত্যন্ত এলাকায় এখনো তা রয়ে গেছে। দরিদ্র পরিবারের মেয়েরা এর শিকার। তাদের মনিবেরা হয় কিনে নেয় অথবা কিছু টাকার বিনিময়ে এক বছরের জন্য লিজ বা ইজারা নেয়। এর পর মনিবের পরিবারে সে থাকে। বইয়ে শান্তা লিখেছেন, শান্তার ছিল ৯ ভাই-বোন। তাকে পালতে না পেরে তার বাবা, মা বার্ষিক সাত হাজার রুপিতে ইজারা দেয় একটি পরিবারে। সেখানে তাকে ১৯ ঘণ্টা কাজ করতে হতো। আর থাকতে দেয়া হতো গোয়ালঘরে। কাজে ভুল করলে মারধর ছিল নিত্যকার ঘটনা। একটু বয়স হওয়ার সাথে সাথে কামলারি মেয়েরা অনৈতিক কাজেরও শিকার হতো। শান্তা বড় হওয়ার পর তার এক বন্ধুকে বিয়ে করে নেয় যৌন নির্যাতন থেকে বাঁচতে। তার দু’টি সন্তান হয়, যার একটি প্রতিবন্ধী। স্থানীয় দুষ্ট লোকেদের তা সহ্য হয় না। তারা তার কুঁড়েঘরে আগুন দেয়। এর পর প্রতিরোধের মনস্থির করে শান্তা রাজনৈতিককর্মী হয়ে ওঠেন, যোগ দেন ইউএমএল পার্টিতে। একসময় তিনি নেত্রী হয়ে ওঠেন এবং দলের হয়ে গণপরিষদ বা সাংবিধানিক পরিষদের সদস্য (সিএ) নির্বাচিত হন। সংবিধান প্রণয়নের পর গণপরিষদ ভেঙে দেয়া হয়। ঝমকের লেখা জনপ্রিয় বই ‘জীবন কাণ্ড কি ফুল’ শান্তাকে অনুপ্রাণিত করে। তিনি নিজেও লিখে ফেলেন ‘কামলারি দেখি সভাসদ সাম্মা’ নামক বই। শান্তা তার লেখালেখি নিয়ে সন্তুষ্ট। সিএ হিসেবে দেশের সেবা করতে পেরেও খুশি। তার এই বইটি প্রথম প্রকাশিত হয় ২০১৩ সালে। বইটি ভালোই বিক্রি হচ্ছে।