রাশিয়ার সাইবেরিয়ান নগরী কেমেরোভে একটি শপিং সেন্টারে রোববারের ভয়াবহ আগুনে অন্তত ৩৭ জন নিহত হয়েছে। এছাড়া বহু লোক এখনো নিখোঁজ রয়েছে। মৃতের সংখ্যা ব্যাপকভাবে বাড়তে পারে।
রুশ মিডিয়ার উদ্ধৃতি দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে, উইন্টার চেরি নামের কমপ্লেক্সটির উপরের তলায় আগুন লাগে। হতাহতরা সবাই সিনেমা হলে ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করা ভিডিওতে দেখা যায়, লোকজন জানালা দিয়ে লাফিয়ে পড়ছে।
কয়লা উৎপাদনকারী এলাকা হিসেবে পরিচিতি কেমেরোভ নগরীটি মস্কো থেকে প্রায় ৩,৬০০ কিলোমিটার (২,২০০ মাইল) পূর্ব দিকে অবস্থিত।

২০ রুশ কূটনীতিককে বহিষ্কার করছেন ট্রাম্প
ওয়াশিংটন পোস্ট

পক্ষত্যাগকারী রুশ গুপ্তচর সের্গেই স্ক্রিপাল ও তার মেয়ে ইউলিয়ার ওপর নার্ভ গ্যাস হামলা ঘিরে যুক্তরাষ্ট্র এবার তার সবচেয়ে কাছের মিত্র ব্রিটেনের পক্ষে জোরালো অবস্থান নিতে যাচ্ছে। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০ জন রুশ কূটনীতিককে বহিষ্কার করার কথা সক্রিয়ভাবে ভাবছেন।

মার্কিন ও ইউরোপীয় কর্মকর্তারা ওয়াশিংটন পোস্টকে শনিবার জানান, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের কর্মকর্তারা তাকে ব্রিটেনের প্রতি সংহতি প্রকাশ করে রুশ কূটনীতিক বহিষ্কার করার জন্য জোরালো সুপারিশ পেশ করছেন। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নিজেও বিষয়টি সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করছেন। তিনি সের্গেই স্ক্রিপাল ইস্যুতে রাশিয়ার ২০ জন বা তারও বেশি সংখ্যক কূটনীতিক বহিষ্কার করতে পারেন।

এর আগে জানা গিয়েছিল, যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিল সের্গেই স্ক্রিপালের ওপর ‘নার্ভ গ্যাস হামলার’ জন্য কূটনীতিক বহিষ্কার করে রাশিয়াকে শাস্তি দিতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কাছে সুপারিশমালা পেশ করেছেন। এ প্রসঙ্গে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকতা বলেন, ‘আমরা আমাদের ব্রিটিশ মিত্রদের প্রতি দৃঢ় সংহতি জানাই এবং রুশ কূটনীতিক বহিষ্কারে তাদের সিদ্ধান্তকে সমর্থন করি। এর (হামলার) জবাবে আমরা অন্যসব পদক্ষেপ নিতেও প্রস্তুত।’

যুক্তরাষ্ট্র এ বিষয়ে রাশিয়ার বিরুদ্ধে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে। ইউরোপীয় মিত্ররা কী ব্যবস্থা নেয় তা দেখার জন্য ট্রাম্প প্রশাসন এ মুহূর্তে অপেক্ষা করছে। মিত্রদের সঙ্গে এ বিষয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ শলা পরামর্শ চলছে। এরই মধ্যে ১০টি ইউরোপীয় দেশ যুক্তরাজ্যের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে বলে ঘোষণা দিয়েছে।