মাত্র ১২-১৩ জন শিক্ষক নিয়ে ছাত্রীদের পাঠদান
মিজানুর রহমান কুটু চাঁপাইনবাবগঞ্জ
২১ মার্চ ২০১৭,মঙ্গলবার, ০০:০০
দীর্ঘ দিন প্রকট শিক্ষক সঙ্কটের মধ্য দিয়ে চলছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজ। এই কলেজের ছয়টি বিভাগে বর্তমানে কোনো শিক্ষকই নেই। ছাত্রীদের জন্য নেই কোনো আবাসন ব্যবস্থা।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের কাঁঠাল বাগিচা এলাকায় ১৯৬৯ সালে এক একর জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত হয় মহিলা কলেজটি। এরপর ১৯৯৭ সালে কলেজটিকে সরকারি করা হয়। কিন্তু দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও নানা সঙ্কটে ব্যাহত হচ্ছে পাঠদান কার্যক্রম। জানা গেছে, বর্তমানে কলেজে উচ্চ মাধ্যমিক, স্নাতক (পাস) ও স্নাতক (সম্মান) বিভাগে মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় দেড় হাজার। একটি বিষয়ে চালু রয়েছে অনার্স কোর্স। কিন্তু শিক্ষক সঙ্কটের কারণে চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে পাঠদান। এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষকের পদ রয়েছে ৩১টি। কিন্তু বর্তমানে কর্মরত আছেন অর্ধেকেরও কম মাত্র ১৩ জন। এ ছাড়া দীর্ঘ দিন গণিত, উদ্ভিদবিদ্যা, অর্থনীতি, দর্শন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি এবং গার্হস্থ্য বিজ্ঞান বিভাগে কোনো শিক্ষক নেই। ফলে পাঠগ্রহণ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে
শিক্ষার্থীরা। কলেজের সহকারী অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বর্তমানে শিক্ষক সঙ্কট প্রকট আকার ধারণ করেছে। মাত্র ১২-১৩ জন শিক্ষক নিয়ে ছাত্রীদের পাঠদান, পরীক্ষা গ্রহণ, দাফতরিক কাজকর্ম করতে তাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে।
স্নাতক (পাস) কোর্সের ছাত্রী ফাহিমা খাতুন জানান, তিনি এই কলেজ থেকেই উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেছেন। তখন থেকেই কলেজে প্রয়োজনীয় শিক্ষক না থাকায় নিয়মিত ক্লাস হয় না। মাঝে মধ্যে কোনো ক্লাস ছাড়াই বাড়ি ফিরে যেতে হয়।
একাদশ শ্রেণীর ছাত্রী বিপাসা নাজনিন জানায়, শিক্ষক সঙ্কটের কারণে নিয়মিত ক্লাস হচ্ছে না। এতে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় ফলাফলে প্রভাব পড়তে পারে।
একাদশ শ্রেণীর আরেক ছাত্রী মরিয়ম খাতুন জানায়, জেলার একমাত্র এই সরকারি মহিলা কলেজে ছাত্রী হোস্টেল নেই। কম্পিউটার ল্যাব ও লাইব্রেরি থাকলেও নেই পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা।
শিক্ষক সঙ্কটের কথা স্বীকার করে কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. নজরুল ইসলাম জানান, এতে করে পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে। তিনি জানান, শিক্ষকদের শূন্যপদের লিখিত বিবরণ প্রতি মাসেই মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা দফতরে পাঠানো হয়। কিন্তু এ পর্যন্ত নতুন কোনো শিক্ষকের পদায়ন হয়নি।