জা হা ঙ্গী র ফি রো জ
০৬ জানুয়ারি ২০১৭,শুক্রবার, ০০:০০
খুব ভোরে শীতপাখিদের অবগাহনের পাশে রাঙাবধূ
কুয়াশার চাদর উঠিয়ে রাত্রির বাসনার ছোঁয়া মুছে ফেলে
হিমঠাণ্ডাজলে, হাঁসের আদলে :
তার ভেজা শাড়ির আঁচলে সবুজ পানার ডিম,
বিগত রাতের চিহ্ন, কামনার
ফুটে আছে অনন্য গ্রীবায়।
তখনো তাহার শাশুড়ি ননদ
নকশি কাঁথায় বোনা উষ্ণতায় ডুবে ছিল;
নববধূ, কুয়োতলা শেষে তপ্ত হেঁশেলে
চিতই পিঠার সাথে মনের শরাটি উঠিয়ে
হৃৎপিণ্ডের মাঝে যার নাম লিখা ছিল
তাকে ভেবে খুন্তিতে পিঠাটি উল্টায়।
এমন শীতের সকালে শেফালি কি জুঁই
পুঁইয়ের মাচান থেকে কাচপোকা
তুলে এনে দুভুরুর মাঝে যতেœ বসাতো :
এই ভাবনার পথ ধরে বধির সকালে
শাড়ির আঁচল বেয়ে বায়ুসখা পাখা মেলে...
তখন একটি চিৎকার
শীতঘুমে যারা ডুবে ছিল তাহারা উঠিল
নববধূটির আঁচলে দেখিল :
শীত পুড়ে যাচ্ছে...