২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

ইরান-ইসরাইল যুদ্ধ কি অনিবার্য?

-

ইসরাইল নিয়ন্ত্রিত সিরিয়ার গোলান উপত্যকায় ইরান ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে বলে দাবি করে ইসরাইল এর পাল্টা আঘাত হিসেবে গত সোমবার সিরিয়ায় ইরানি লক্ষ্যবস্তু লক্ষ্য করে একাধারে কয়েকটি বিমান হামলা চালিয়েছে। এ তথ্য দিয়েছে ইসরাইলের সামরিক বাহিনী। দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দেশে ২৪ ঘণ্টাব্যাপী উত্তেজনাকর পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে গেছে। আরো আঘাত, পাল্টা আঘাতের আশঙ্কাও করা হচ্ছে। ইসরাইলের সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল জোনাথান কনরিকাস বলেছেন, তার দেশের বাহিনী সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের ভেতর ও আশপাশের ইরানি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে। এর মধ্যে শহরের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরও রয়েছে। রাতভর চালানো এই হামলার লক্ষ্য ছিল গোলাবারুদ ডিপো, গোয়েন্দা চৌকি ও প্রশিক্ষণ শিবির।
হামলা চালানোর সময় ইরানের বিমানবিধ্বংসী অস্ত্র থেকে গোলা ছোড়া হলে, সেখানেও ইসরাইল হামলা চালায় বলে দাবি করেছেন কনরিকাস। হামলার আগে ইসরাইল শুধু ইরানি বাহিনীকে টার্গেট করছে মর্মে সিরিয়াকে বার্তা পাঠায়। সিরিয়া ইসরাইলি বিমান লক্ষ্য করে যাতে গুলি না করে, সেজন্য এই বার্তা পাঠানো হয় বলে উল্লেখ করা হয়।
ইসরাইলের এই ব্যাপক হামলার কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, ইসরাইল দখলকৃত গোলান উপত্যকায় রোববার বিকেলে যে মধ্যম পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়, সেটি ইরানের তৈরি। দামেস্কের নিকটবর্তী কোনো এলাকা থেকে এটি নিশ্চয়ই ইরানি বাহিনী ছুড়েছে। তাদের দাবি, এবারই প্রথম এত ভারী কোনো গোলা ইসরাইলে ছুড়েছে ইরান। রাশিয়া এর আগে ইসরাইলকে আশ্বস্ত করেছিল, ইরানি বাহিনী ইসরাইলের এত কাছে আসবে না।
রাশিয়ার রাষ্ট্রচালিত সংবাদ সংস্থা রিয়া-নভোস্তি রাশিয়ার প্রতিরক্ষা নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, ইসরাইলের হামলায় চার সিরিয়ান সৈন্য নিহত ও ছয়জন আহত হয়েছে। লন্ডনভিত্তিক সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস (এসওএইচআর) জানিয়েছে, ইসরাইলের চালানো এই হামলা ছিল ২০১৮ সালের মে মাসের পর থেকে ক্ষয়ক্ষতির দিক দিয়ে সিরিয়ান সরকার ও তার মিত্রদের বিরুদ্ধে চালানো সবচেয়ে সহিংস ও তীব্র হামলা। ২০১৮ সালের মে মাসে ইসরাইলের দিকে কয়েক ডজন রকেট নিক্ষেপের পর সিরিয়ায় ব্যাপক আকারে হামলা চালিয়েছিল ইসরাইল।
সিরিয়ায় ইরানি কৌশলগত অবস্থানগুলোর ওপর এবারের ইসরাইলি বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইরানের অপরিমেয় ক্ষতি সাধিত হয়েছে। এর পাল্টা বড় কোনো পদক্ষেপ এখন পর্যন্ত ইরান থেকে আসেনি। ইরানের পাল্টা সামরিক পদক্ষেপ নেয়ার বিষয় তেহরান ভাবছে কি না আর ভেবে থাকলে সেটির ধরন কী হবে, সেটি একটি বিরাট প্রশ্ন। আর ইরানের সাথে ইসরাইলের যুদ্ধ বেধে গেলে তাতে ইরানের প্রধান মিত্র রাশিয়া এবং ইসরাইলের নিরাপত্তার গ্যারান্টি দাতা যুক্তরাষ্ট্রের কী ভূমিকা হবে, সেটিও একটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু।
নৃতাত্ত্বিকভাবে ঐতিহাসিক কাল থেকে ইরানি আর্য ও ইসরাইলি সেমেটিকদের মধ্যে বিরোধ-সঙ্ঘাত বিদ্যমান ছিল। বেশির ভাগ ইরানি আর্য এবং ধর্মীয়ভাবে শিয়া মতের ইসলামে বিশ্বাসী। আর ইসরাইলি সেমেটিকরা দেশটিকে একটি ইহুদি ধর্মমতের রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলেছে। ইসরাইল প্রতিষ্ঠাকালে ইরানের ক্ষমতায় ছিল রেজা শাহ পাহলভি। ইসরাইলের প্রতিষ্ঠা ও নিরাপত্তার প্রধান গ্যরান্টি দাতা দেশ ছিল যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেন। এ দু’টি দেশই ছিল ইরানি রেজা শাহ পাহলভির রাজতন্ত্রের প্রধান পৃষ্ঠপোষক। ফলে এ সময়টিতে ইরান ও ইসরাইলের সম্পর্ক বেশ ভালো পর্যায় অতিক্রম করে।
১৯৭৯ সালে ইসলামি বিপ্লবের পর দুই দেশের মধ্যে সুসম্পর্কের সেই ধারা বজায় থাকেনি। ইরানের ইসলামি সরকার মসজিদুল আকসা ও ফিলিস্তিন ভূমির জবরদখলকারী হিসেবে চিহ্নিত করে ইসরাইলকে। মধ্যপ্রাচ্যে কৌশলগত মিত্র শক্তি নিরূপণে এক দিকে বিপ্লবের শত্রুদেশ হিসেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি বৈরী শক্তি, অন্য দিকে কার্যকরভাবে ইসরাইল-বৈরী দেশগুলোর সাথে বিশেষ সম্পর্ক তৈরি করে ইরান। এ হিসাব-নিকাশ থেকে সিরিয়া এবং তার প্রতিবেশী দেশ লেবাননের সাথে ইরানের কৌশলগত সম্পর্ক তৈরি হয়।
অন্য দিকে ইসরাইলের নিরাপত্তা মতবাদের একটি প্রধান দিক হলো বৈশ্বিক শক্তিধরদের সাথে এমন ধরনের সমঝোতায় উপনীত হওয়া, যাতে ইসরাইলের নিরাপত্তা বিঘিœত হতে পারে, এমন কোনো দেশকে তারা সহায়তা না করে। বিশ্বশক্তিগুলোর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন ও ফ্রান্সকে ইসরাইল কৌশলগত মিত্র শক্তি মনে করে। এর বাইরে ইসরাইলকে বোঝাপড়া তৈরি করতে হয় সোভিয়েত ইউনিয়ন বা রাশিয়া ও চীনের সাথে।
সামরিক প্রযুক্তির দিক থেকে চীন এখনো মধ্যপ্রাচ্যে ইসরাইলের প্রতি হুমকি হয়ে দাঁড়ানোর মতো পর্যায়ে পৌঁছেনি। আর রাশিয়া এখন মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবের কাছে প্রধান চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। দেশটি সিরিয়ার পতনোন্মুখ বাশার আল আসাদের পক্ষে সামরিকভাবে পাশে দাঁড়ানোর পর মধ্যপ্রাচ্যে বেশ জোরালোভাবে মেরুকরণ হয়েছে। আর এই মেরুকরণে আসাদের আরেক প্রধান সহযোগী দেশ হলো ইরান।
মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের প্রত্যক্ষ ও প্রচ্ছন্ন সামরিক তৎপরতার দুই লক্ষ্যের একটি হলো ইসরাইল, অন্যটি সৌদি আরব। সামরিক দিক থেকে ইসরাইল আর অর্থনৈতিক সক্ষমতার দিক থেকে সৌদি আরব মধ্যপ্রাচ্যের দুই শক্তিধর রাষ্ট্র। এ দু’টি দেশকে চ্যালেঞ্জ করা ইরানের অস্তিত্ব ও অগ্রযাত্রার ক্ষেত্রে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ পদক্ষেপ। সেই পথে এগোতে গিয়ে শক্তিধর ইসরাইল যতটা না সামনে চলে এসেছে, তার চেয়ে বেশি এসেছে সৌদি আরব।
আবার এ দু’টি দেশ ইরানি ‘হুমকি’ মোকাবেলায় প্রকাশ্যে-অপ্রকাশ্যে এক কাতারে এসে দাঁড়িয়েছে। নিজের অস্তিত্ব ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য প্রতিবেশী আরব দেশগুলোকে ইসরাইল নির্ভর করার পুরনো সামরিক মতবাদের বাস্তবায়নে তেলআবিব ইরান হুমকিকে সব সময় সামনে নিয়ে আসে। আর এর মাধ্যমে সৌদি আরব ও তার মিত্রদের সাথে কৌশলগত সমঝোতায় উপনীত হয় ইসরাইল। সৌদি আরবও মনে করে, উত্তর দিকে ইরাকের মধ্য দিয়ে দক্ষিণ দিকে ইয়েমেনের হুতিদের মাধ্যমে সৌদি ভূখণ্ড পর্যন্ত ইরানি উপস্থিতি পৌঁছে গেছে। এতে রাষ্ট্র ও রাজতন্ত্রের নিরাপত্তার জন্য শক্তিধর ইসরাইলের সাথে বোঝাপড়ার বিকল্প নেই বলে মনে করছে রিয়াদ।
এভাবে মধ্যপ্রাচ্যে আঞ্চলিক কৌশলগত নতুন মেরুকরণ সৃষ্টি হয়েছে। এই মেরুকরণে একটি বড় ধরনের সামরিক সঙ্ঘাত মোকাবেলার জন্য দুই পক্ষের যে প্রস্তুতি কম-বেশি রয়েছে তা গভীর পর্যবেক্ষণে স্পষ্ট হয়। তবে এ ক্ষেত্রে বিবদমান শক্তিগুলো সঙ্ঘাত নিজেদের ভূমিতে নিয়ে যাওয়ার পরিবর্তে লড়াই অন্য দেশে সম্পন্ন করার কৌশল গ্রহণ করেছে। গত অর্ধদশকের সিরীয় সঙ্ঘাতে আঞ্চলিক সামরিক শক্তির পরীক্ষা ও প্রস্তুতির কাজটিই হয়েছে লাখ লাখ মানুষের লাশের ওপর দিয়ে। এ ধারার বর্তমান পর্যায়ে যে পরিস্থিতি দাঁড়িয়েছে, তাতে সৌদি আরব একটি সুন্নি সামরিক জোট গঠন করেছে ইরানকে মোকাবেলা করার লক্ষ্যকে সামনে রেখে। আর ইসরাইল প্রতিবেশী আরব দেশগুলোর সাথে গোপন সামরিক ও অন্যান্য সহযোগিতার নেটওয়ার্ক তৈরি করেছে।
ইরান তার নিজস্ব সামরিক শক্তিমত্তা তৈরির পাশাপাশি মধ্যপ্রাচ্যের গুরুত্বপূর্ণ সামরিক দেশগুলোতে ছায়া মিলিশিয়া বাহিনী তৈরি করেছে। এই মিলিশিয়া বাহিনীর দুই প্রধান শক্তি হলো হিজবুল্লাহ ও আনসারুল্লাহ বা হুতিরা। একটির মাধ্যমে ইরান ইসরাইল সীমান্ত পর্যন্ত নিজের উপস্থিতিকে নিয়ে গেছে, অন্যটিকে ব্যবহার করে সৌদি ভূখণ্ডে নিয়মিত ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে ইয়েমেনে তাদের সামরিক তৎপরতার জবাব দিচ্ছে। আর বেশখানিকটা ভঙ্গুর ও যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ ইরাকেও রয়েছে ইরানের ব্যাপক প্রভাব। আইসিসের হাত থেকে মসুল ও তিকরিতসহ অন্যান্য ভূখণ্ড উদ্ধার করতে গিয়ে বাগদাদ আরো ব্যাপক হারে ইরাননির্ভর হয়ে পড়ে।
প্রশ্ন হলোÑ এই বাস্তবতায় ইসরাইল সিরিয়ায় ইরানি সামরিক অবস্থানে বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে কী লক্ষ্য অর্জন করতে চাইছে। এই হামলায় সেখানে উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করা ইরানি উচ্চ পর্যায়ের বেশ ক’জন সামরিক কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। সামরিক অবকাঠামোর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ব্যাপক। এই ক্ষতি নীরবে মেনে নেয়ার অর্থ যে তা তেহরানের জন্য আরো অনেক বড় আঘাত হয়ে আসতে পারে, সে আশঙ্কা ইরানে প্রবলভাবে রয়েছে।
নতুন আঘাতের মাধ্যমে ইসরাইল সীমান্তের অদূরে গোলান ও অন্য কয়েকটি সংবেদনশীল অঞ্চল থেকে ইরানকে বিদায় করার বার্তা তেলআবিব সংশ্লিষ্টদের দিতে চাইতে পারে। এর আগের বার একই ধরনের আরেক দফা হামলার পর ইসরাইলি বিমানবাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা রাশিয়া সফরে গিয়ে ক্রেমলিনের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা করেছিলেন। এরপর ইরানের পাল্টা কোনো সামরিক পদক্ষেপের কথা জানা যায়নি।
সর্বশেষ দফা হামলার পরও রুশ গণমাধ্যমে এ ব্যাপারে খবরাখবর গুরুত্বের সাথে প্রকাশ করা হচ্ছে। কিন্তু রাশিয়া সিরিয়ায় ইসরাইলি এই হামলার ব্যাপারে পাল্টা কোনো পদক্ষেপে সক্রিয় সমর্থন দেবে কি না তা স্পষ্ট নয়। রাশিয়ার সাথে ইসরাইলের নিরাপত্তার ব্যাপারে গোপন সমঝোতার যে কথা শোনা যায়, তাতে উচ্চ প্রযুক্তির সংবেদনশীল সহায়তা তেহরান ক্রেমলিনের কাছ থেকে না-ও পেতে পারে।
আর সে ক্ষেত্রে ইরান ইসরাইলের ওপর পাল্টা আঘাত না করে হিজবুল্লাহকে প্রতিশোধমূলক সামরিক তৎপরতার জন্য বেছে নিতে পারে। এটি করে সিরিয়ায় আসাদের কর্তৃত্বকে ফিরিয়ে আনতে পেরেছে ইরান। এখন দেখার বিষয় হলো, ইসরাইলকে মোকাবেলা করতে গিয়ে হিজবুল্লাহকে দিয়ে কতটা কী ব্যবস্থা নিতে সক্ষম হয় ইরান। ইসরাইলের সাথে সামরিক সঙ্ঘাতের মূল্য যে কিছুটা বেশিই হবে, সে হিসাবও ইরানি নেতাদের মধ্যে থাকার কথা। ইসরাইলের জন্যও ইরান অনেক বড় এক প্রতিপক্ষ। দুই পক্ষের এই হিসাব-নিকাশের কারণে উভয়ে উত্তেজনা প্রশমনের জন্য রাশিয়ার দ্বারস্থ হলে এখনই বড় ধরনের যুদ্ধ না বাধতে পারে। যদিও সর্বশেষ খবর অনুসারে জাতিসঙ্ঘে সিরিয়ার স্থায়ী প্রতিনিধি বলেছেন, তেলআবিব বিমানবন্দরে পাল্টা আঘাত হেনে দামেস্ক বিমানবন্দরে ইসরাইলি হামলার জবাব দিতে পারে তার দেশ।


আরো সংবাদ



premium cement
দ্রব্যমূল্য ঊর্ধ্বগতিতে সাধারণ মানুষ দিশেহারা : আমিনুল লিবিয়ায় নিয়ে সালথার যুবককে নির্যাতনের ঘটনায় মামলা, গ্রেফতার ১ মনুষ্য চামড়ায় তৈরি বইয়ের মলাট সরানো হলো হার্ভাড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আওয়ামী লীগকে বর্জন করতে হবে : ডা: ইরান আমরা একটা পরাধীন জাতিতে পরিণত হয়েছি : মেজর হাফিজ তরুণীর লাশ উদ্ধারের পর প্রেমিকসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা ভিয়েনায় মুসলিম বিশ্বের রাষ্ট্রদূতদের ইফতারে ইসলামিক রিলিজিয়াস অথোরিটি আমন্ত্রিত এবার বাজারে এলো শাওমির তৈরি বৈদ্যুতিক গাড়ি সকল কাজের জন্য আল্লাহর কাছে জবাবদিহিতার অনুভূতি থাকতে হবে : মাওলানা হালিম বিএনপি জনগণের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য রাজনীতি করে : ড. মঈন খান সাজেকে পাহাড়ি খাদে পড়ে মাহিন্দ্রচালক নিহত

সকল