২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

প্রেসিডেন্টের ওপর ড্রোন হামলা

-

রাজধানী কারাকাসে সেনাবাহিনীদের একটি অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন ভেনিজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো। পোডিয়ামে দাঁড়িয়ে সেনাবাহিনীর উদ্দেশে ভাষণ দিচ্ছিলেন। হঠাৎ বিস্ফোরণের আওয়াজে চমকে উঠলেন সবাই। প্রেসিডেন্ট যেখানে দাঁড়িয়ে ভাষণ দিচ্ছিলেন তার ঠিক কয়েক হাত দূরেই বিস্ফোরণটা হয়। বিকট আওয়াজে যে যেদিক পারলেন দৌড়ালেন। সারিবদ্ধ হয়ে দাঁড়ানো সেনাদেরও দেখা গেল এ দিক ও দিক সরে পড়তে। অনুষ্ঠানটির সরাসরি সম্প্রচার চলছিল তখন। বিস্ফোরণের মুহূর্ত আর বিস্ফোরণের সময় প্রেসিডেন্ট মাদুরোর ভয়ার্ত মুখটাও ধরা পড়ে যায় ক্যামেরায়।
সাথে সাথে ভাষণ থামিয়ে দেন প্রেসিডেন্ট। তার যাতে কোনোরকম তি না হয়, ছুটে চলে আসতে দেখা যায় দেহরীদের। গোটা ঘটনাতে স্তম্ভিত মাদুরো। কিভাবে এমনটা সম্ভব হলো? আর কী থেকে বিস্ফোরণটা হলো? পরে জানা যায়, মাদুরো যখন ভাষণ দিচ্ছিলেন সে সময় একটি বিস্ফোরকভর্তি ড্রোন ওই অনুষ্ঠানের মাঝে ঢুকে পড়ে। সেটাই বিস্ফোরণ ঘটায়। সেই বিস্ফোরণে কয়েকজন সেনা আহত হয়েছেন বলে সে দেশের সরকারি সূত্রে খবর।
মাদুরো পরে এক বিবৃতি দিয়ে জানান, ‘আমাকে হত্যা করতেই তারা ষড়যন্ত্র করেছিল।’ এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে যদিও কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কিন্তু তারা বলতে এখানে মাদুরো কাদের বোঝালেন? যদিও পরে সেই ইঙ্গিতও দিয়েছেন তিনি। তার অভিযোগ, কলম্বিয়া, আমেরিকার কিছু অজ্ঞাত ‘বিনিয়োগকারী’ এ কাজে জড়িত। মাদুরো বলেন, ‘কোনো সন্দেহ নেই এই ঘটনার পেছনে কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট হুয়ান ম্যানুয়েল স্যান্টোসের হাত রয়েছে।’ বিরোধী দলের দিকেও আঙুল তুলেছেন মাদুরোর অনুগামীরা।
ভেনিজুয়েলার প্রেসিডেন্ট কলম্বিয়াকে এই ঘটনার জন্য কাঠগড়ায় তুললেও, কলম্বিয়া কিন্তু মাদুরোর অভিযোগকে সম্পূর্ণ খারিজ করে দিয়েছে। সে দেশের এক শীর্ষ কর্মকর্তা সংবাদ সংস্থা এএফপিকে বলেন, মাদুরোর অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।
তেল রফতানিকারক দেশগুলোর মধ্যে ভেনিজুয়েলা অন্যতম। কিন্তু দীর্ঘ রাজনৈতিক টানাপড়েনের জেরে সে দেশের অর্থনীতি একেবারে তলানিতে ঠেকেছে। কিন্তু তার পরেও দেশের মতায় থেকে গিয়েছেন মাদুরো। দেশের ক্রমাবনতির কারণে হাজার হাজার মানুষ দেশান্তর হচ্ছেন। ২০১৩-তে হুগো শ্যাভেজের পর মতায় আসেন মাদুরো। হ

 


আরো সংবাদ



premium cement