১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ফুটবলের রাজনীতি : ইসরাইল পেল লাল কার্ড

-

বিশ্বকাপ ফুটবলের এবারের আসর শুরু হওয়ার কয়েক দিন আগে ইহুদিরাষ্ট্র ইসরাইল ও আর্জেন্টিনার মাধ্যে একটি ওয়ার্মআপ ম্যাচ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল বিতর্কিত নগরী জেরুসালেমে। শেষ পর্যন্ত নানা বিতর্কের মুখে আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন বিতর্কিত নগরী জেরুসালেমে সেই ম্যাচ বাতিল করে ইসরাইলি ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনকে জানিয়ে দেয়, তারা এই ম্যাচ খেলবে না। আর্জেন্টিনা বলেছেÑ তাদের এই ফ্রেন্ডলি ম্যাচ বাতিল করার কারণ হচ্ছে, এই ম্যাচের মাধ্যমে ইসরাইল রাজনৈতিকভাবে লাভবান হতে চেয়েছে। তারা মনে করে, এই ম্যাচের আয়োজন করার বিষয়টি নিছক একটি ফুটবলের জগতের মধ্যেই সীমিত নয়। এর প্রভাব বিশ্বরাজনীতির সাথে সংশ্লিষ্ট। বিতর্কিত এই জেরুসালেম নগরীতে এই ম্যাচ আয়োজনের মাধ্যমে এ নগরীটি শুধুই ইসরাইলের এবং এটি একমাত্র ইসরাইলের রাজধানী, ফিলিস্তিনের তাতে কোনো অধিকার নেইÑ এমন স্বীকৃতি আন্তর্জাতিক মহল থেকে আদায় করার কাজটিকে এগিয়ে নিতে চায় ইসরাইল।
জেরুসালেম নগরী ঐতিহাসিকভাবে ইসরাইল ও ফিলিস্তিনের বলেই গোটা বিশ্বে ও জাতিসঙ্ঘে স্বীকৃত। কিন্তু চলতি বছরের প্রথম দিকে ডোনাল্ড ট্রাম্প জেরুসালেমকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে এবং যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস তেলআবিব থেকে জেরুসালেমে সরিয়ে নেয়ার মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র এ কথাই জানিয়ে দিলো, জেরুসালেম শুধুই ইসরাইলিদের এবং জেরুসালেম হবে একমাত্র ইসরাইলের রাজধানী। ইসরাইলও এখন সে কথাই জোরালোভাবে প্রচার করছে। ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইসরাইলের এই পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক সমর্থন আদায়ে প্রবল বাধার মুখে পড়ে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু এখন নানা কূটকৌশল প্রয়োগে ব্যস্ত তাদের এই পদক্ষেপের প্রতি আন্তর্জাতিক সমর্থন আদায়ের ব্যাপারে। এরই অংশ হিসেবে জেরুসালেমে আর্জেন্টিনা ও ইসরাইলের মধ্যে উল্লিখিত বিশ্ব ফুটবল কাপের ওয়ার্মআপ ম্যাচটি আয়োজনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ফুটবল অ্যাসোসিয়েশসন ইসরাইলের আসল রাজনৈতিক উদ্দেশ্য অনুধাবন করে আর্জেন্টিনা এ ম্যাচটি বাতিল করে। বিষয়টি আসলে ইসরাইলের প্রতি একটি বড় ধরনের চপেটাঘাত।
বিতর্কিত নগরীতে এই ম্যাচ খেলার বিষয়টি বাতিলের পর ইসরাইল অভিযোগ করেছে, ফিলিস্তিনিরা হচ্ছে ‘ফুটবল টেরর’। তাদের হুমকির কারণেই আর্জেন্টিনার ফরোয়ার্ড লাওনেল মেসি ও তার ফুটবল টিম জেরুসালেমের এই ম্যাচ বাতিল করেছে। আর তা না হলে এটি হতে পারত ইসরাইল ও আর্জেন্টিনার মধ্যে একটি ফ্রেন্ডলি ওয়ার্ল্ডকাপ ওয়ার্মআপ ম্যাচ। ফিলিস্তিনিরা ইসরাইলের এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। ফিলিস্তিনিরা বলেছে, আর্জেন্টিনা যখন বুঝতে পেরেছে জেরুসালেমে তাদের উপস্থিতিকে ইসরাইল রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের জন্য ব্যবহার করতে চায়, তখনই এরা এই ম্যাচ বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
ফিলিস্তিনি ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট জিবরিল রাজোব অবশ্য আর্জেন্টিনার তারকা ফুটবলার লাওনেল মেসির প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন এই খেলার অংশ না নেয়ার জন্য। তা ছাড়া তাদের সমর্থকদের প্রতি তিনি আহ্বান রেখেছেন, যদি মেসি এই খেলায় অংশ নেন তবে তারা যেন তার নাম লেখা শার্ট আগুন দিয়ে পুড়িয়ে এর প্রতিবাদ জানান। অপর দিকে ইসরাইলি ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের রোটেম ক্যামার কোনো সাক্ষ্যপ্রমাণ ছাড়াই অভিযোগ করেছেন, ফিলিস্তিনি ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন ও এর প্রেসিডেন্ট আর্জেন্টিনার খেলোয়াড় ও তাদের পরিবারের সদস্যদের হুমকি প্রদান করছে। আসলে উল্লিখিত ওয়ার্মআপ ম্যাচটি প্রবল বিরোধিতার মুখে পড়ে ফিলিস্তিনিদের। ফিলিস্তিনিরা পূর্ব সালেম অংশকে তাদের ভবিষ্যৎ ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের রাজধানী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চায়। এ ব্যাপারে একটি আন্তর্জাতিক মতৈক্য রয়েছে। কিন্তু আজ ট্রাম্পের যুক্তরাষ্ট্র ও নেতানিয়াহু এর বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে পুরো জেরুসালেমকে ইসরাইলের রাজধানী করার পক্ষ নিয়ে মাঠে নেমেছে। তারই অংশ হিসেবে জেরুসালেমে ইসরাইল ও আর্জেন্টিনার মধ্যে আয়োজন করা হয়েছিল আর্জেন্টিনার বাতিল করা ওয়ার্মআপ ফুটবল ম্যাচটি। উল্লেখ্য, প্রথম দিকে সিদ্ধান্ত ছিল এ ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে উত্তর ইসরাইলের হাইফা শহরে। কিন্তু পরে ইসরাইলের কট্টরপন্থী ক্রীড়ামন্ত্রী মিরি রিগেভের চাপে এর নতুন স্থান নির্ধারণ করা হয় জেরুসালেমে। এমনিতেই গত মে মাসে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস তেলআবিব থেকে জেরুসালেমে স্থানান্তরের ঘটনায় ফিলিস্তিনিরা বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে, এর ওপর রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এই ফুটবল ম্যাচ আয়োজনের ঘটনায় বিক্ষোভ আরো শতভাগ জোরালো হয়। এই বিক্ষোভে এক ডজনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়।
ফিলিস্তিনি ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের জিবরিল রাজোব আর্জেন্টিয়ানদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন এই খেলা বাতিল করার জন্য। তিনি একই সাথে আশা প্রকাশ করেন, আর্জেন্টিনা আসন্ন বিশ্বকাপ ফুটবলে বিজয়ী হবে। এর আগে এই ম্যাচ অনুষ্ঠিত হওয়ার যখন আলোচনা চলছিল, তখন তিনি মেসির প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন এই ম্যাচে অংশ না নিতে। পাশাপাশি তিনি সমর্থকদের বলেছিলেন মেসি যদি তা করে তবে মেসির নাম লেখা শার্ট পুড়িয়ে এর প্রতিবাদ জানাতে।
আসলে আর্জেন্টিনার এই ম্যাচ বাতিলের ঘোষণা ইসরাইলকে একটি ‘লাল কার্ড’ দেখানোরই নামান্তর। এই ম্যাচ বাতিলে আর্জেন্টিনার ঘোষণার পরদিন জিবরিল রাজোব বলেন, ‘আমি মনে করি গতকাল যে ঘটনা ঘটল, তা সবার পক্ষ থেকে ইসরাইলকে একটি লাল কার্ড দেখানোর শামিল। এই সিদ্ধান্ত তাদের জানিয়ে দেয়, ইসরাইল শুধু তাদের আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ভূখণ্ডেই ফুটবল ম্যাচ আয়োজনের অধিকার রাখে। তিনি এও স্মরণ করিয়ে দেন, জেরুসালেমের চূড়ান্ত মর্যাদা নির্ণীত হবে বিবদমান পক্ষগুলোর সমঝোতার মাধ্যমে, কিছুতেই ইসরাইলের একক সিদ্ধান্তে নয়। তিনি এও উল্লেখ করেন, আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন ইসরাইলের সাথে এই ম্যাচের ব্যাপারে চুক্তি করেছিল, তা বাতিল করেছে এ কারণে যেÑ তারা এই ম্যাচকে ধরে নিয়েছে ইসরাইলের একটি অপরাজনৈতিক ম্যাচ হিসেবে।
ইসরাইলি গণমাধ্যমের খবরে জানা যায়, গত ৫ মে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু তার সাথে সুসম্পর্ক থাকা আর্জেন্টাইন প্রেসিডেন্ট মাওরিসিও ম্যাক্রিকে অনুরোধ করেন এ ম্যাচটি বাঁচানোর জন্য। কিন্তু প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রি জানান, তিনি এ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করতে অক্ষম। এর পর নেতানিয়াহু যান ইউরোপ সফরে। কিন্তু এ সফরেও তিনি ইসরাইলের জন্য কোনো ইতিবাচক ফলাফল বয়ে আনতে পারেননি। তবে ইসরাইলি দৈনিক Yisrael Hayomm বলেছে, এই পত্রিকার প্রতিনিধির সাথে নেতানিয়াহু ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন : ‘They surrendered to terrorism : The game against Argentina has been cancelled.’ এ দিকে আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রী জর্জ ফাইরি এই ম্যাচ বাতিল নিশ্চিত করার আগে বলেছেন, তিনি মনে করেনÑ তার দেশের খেলোয়াড়রা এই ম্যাচের জন্য ইসরাইল সফর করতে নারাজ। আমি যদ্দূর জানি, জাতীয় দলের খেলোয়াড়েরা এই ম্যাচ খেলতে চান না।
উল্লেখ্য, ইসরাইল-ফিলিস্তিন দ্বন্দ্বে জেরুসালেমের মর্যাদার প্রশ্নটি বরাবরই ছিল মুখ্য বিবেচ্য। ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে ট্রাম্প জেরুসালেমকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে ঘোষণা করলে এই বিতর্ক আরো জোরদার হয়ে ওঠে। এই বিতর্ক আরো জোরালো হয় গত মে মাসে ইসরাইলের ৭০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর দিনে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস মহাধুমধামে তেলআবিব থেকে জেরুসালেমে স্থানান্তর করলে। তখন গাজা উপত্যকায় ফিলিস্তিনি বিক্ষোভ থামাতে ইসরাইল ভয়ঙ্করভাবে এর বিভিন্ন বাহিনী ব্যবহার করে। এতে নিহত হয় ১২৫ জনের মতো ফিলিস্তিনি। এর মধ্যে একজন নার্সও রয়েছেন।
আর্জেন্টিনা ও ইসরাইলের গণমাধ্যমের খবরে প্রকাশ, মেসি যদি এই ম্যাচ খেলতেন তবে আর্জেন্টাইন ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন ২০ থেকে ৩০ লাখ ডলার পেত। সে যা-ই হোক, গত ১৪ জুন রাশিয়ায় শুরু হয়েছে বিশ্বকাপ ফুটবল প্রতিযোগিতা। মেসি এখন ব্যস্ত বিশ্বকাপ ফুটবল নিয়ে। তার এখন একমাত্র লক্ষ্য চারবারের ব্যর্থতার পর এবার অন্তত বিশ্বকাপ জয় করা। অপর দিকে ইসরাইল এই খেলার জন্য কোয়ালিফাইড হতে পারেনি। তবে ইসরাইল আলোচ্য জেরুসালেম ম্যাচের মাধ্যমে জেরুসালেমকে ইসরাইলের একক রাজনীতি হিসেবে স্বীকৃত আদায়ের যে কৌশলী পদক্ষেপ নিয়েছিল, এই ম্যাচ বাতিলের মধ্য দিয়ে তা ইসরাইলের জন্য নেতিবাচক ফলই বয়ে আনতে পারে। আর মেসি ও তার দল এ ম্যাচটি বাতিল করে সঠিক সিদ্ধান্তই নিয়েছে। এ জন্য মেসি ও তার দল এবং সর্বোপরি আর্জেন্টিনা মোবারকবাদ পাওয়ার দাবি রাখে।
আর্জেন্টিনার এই পদক্ষেপ তৃণমূলের ইসরাইলবিরোধী আন্দোলন ডিবিএস (Boycott, Divestment Sanctions) আরো জোরদার হতে পারে। এই ডিবিএসের লক্ষ্য শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে ইসরাইলকে গোটা বিশ্বে বিচ্ছিন্ন করে ফেলা, যাতে দেশটি ফিলিস্তিনিদের ন্যায্য অধিকার দিতে বাধ্য হয়। ইসরাইলের বিদেশনীতির অন্যতম একটি বিবেচ্য হচ্ছে, এই আন্দোলনের বিরুদ্ধে কূটনৈতিক তৎপরতা পরিচালনা করা। বিডিএস শুরুতেই এক বিবৃতিতে বলেছিল, আর্জেন্টিনার সাথে ইসরাইলের ফ্রেন্ডলি ম্যাচ বাতিলের বিষয়টি ‘রেড কার্ড ইসরাইল ক্যাম্পেইন’কে আরো উজ্জীবিত করবে। এই আন্দোলনকারীরা ফিফার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ইসরাইলকে ফিফা থেকে বহিষ্কারের জন্য, ঠিক যেভাবে বহিষ্কার করা হয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকাকে বর্ণবাদী নীতি অবলম্বনের কারণে। ইসরাইলকে বহিষ্কার করার কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, দেশটি ফিলিস্তিনি ফুটবলের অধিকার লঙ্ঘন করেছে এবং ফিফার মর্যাদা রক্ষা করেনি।
এই ম্যাচ বাতিল করতে পারা বিডিএসের এ পর্যন্ত সবচেয়ে বড় মাপের সাফল্য। এর আগে বিডিএস মাত্র সামান্য কয়েকজন শিল্পী ও সংগঠনকে এই ইসরাইল বয়কটে শরিক করতে পেরেছে। গত বছর একটি অনলাইন অভিযানের মাধ্যমে নিউজিল্যান্ডের গায়ক ও গীতিকার লর্ডিকে বোঝাতে সক্ষম হয়েছিল ইসরাইলের পরিকল্পিত একটি কনসার্ট বাতিল করার ব্যাপারে। তিনি অনুসরণ করেন অন্য শিল্পীদের, যারা সেখানে পারফরম্যান্স বাতিল করেছিলেন। তাদের মধ্যে ছিলেন এলভিস কস্টেলো, লাউরিন হিল এবং গোরিলাজ। আর্জেন্টিনার এই সাহসী সিদ্ধান্ত ফিলিস্তিন প্রশ্নে ভবিষ্যৎ সিদ্ধান্তের ওপর আন্তর্জাতিক মহলকে প্রভাবিত করতে পারে। এর ফলে বিডিএস আন্দোলনও জোরদার হতে পারে। এই আন্দোলনের পথ ধরেই একদিন পৃথিবীর মানচিত্রে স্থায়ী রূপ নেবে ফিলিস্তিনিদের স্বাধীন স্বদেশ মাতৃভূমি ফিলিস্তিন। আর বন্ধ হবে ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরাইলের পরিকল্পিত জাতিগত নিধন। ইসরাইলি বিরোধীদলীয় নেতা র‌্যাবি গাব্বের টুইট বার্তায় এই ম্যাচ বাতিলের পরিণতির বিষয়টি যথার্থভাবে প্রতিফলিত হয়েছে। তিনি তার টুইট বার্তায় লিখেছেন : “We just absorbed a shot in the face. This is not just sports. This, unfortunately, could start an international tsunami.” ”। তার এ বক্তব্যের সারকথা হচ্ছে, এই ম্যাচ বাতিলের ঘটনায় ইসরাইল তার মুখে আঘাত করা একটি গুলি হজম করল। এটি শুধু একটি খেলাই নয়; দুর্ভাগ্যক্রমে এটি আন্তর্জাতিক এক সুনামির সূচনা করতে পারে।

 


আরো সংবাদ



premium cement