দুই গোয়েন্দার অভিযান অভিযান
- রকিব হাসান
- ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ০০:০০
বত্রিশ.
গুপ্তধনের ব্যাপারে খুব আগ্রহ দেখালেন দিশাউ দম্পতি। মুখোশ আর ম্যাপটার কথা শুনে মিসেস দিশাউ বললেন, ‘সিইলমাসা? নাম শুনেছি। টিনার বাবার কাছে।’
‘ইতিহাসের ছাত্র ছিলাম,’ ডক্টর দিশাউ বললেন। ‘উত্তর আফ্রিকার ইতিহাসের ওপর প্রচুর পড়াশোনা করেছি। সিইলমাসা অনেক প্রাচীন শহর, এখন মাটির নিচে ডেবে গেছে। একদিন ওটা খুঁড়ে বের করবই আমি।’
‘চলুন না, এক সাথেই খুঁড়ি,’ আগ্রহী হয়ে উঠল নেড।
হাসলেন ডক্টর দিশাউ। ‘আস্ত একটা শহর, খুঁড়ে তোলা এত সহজ নয়। একদিনে সেটা পারাও যাবে না। তবে তোমাদের সাথে ওই এলাকায় যেতে পারি আমি,’ ডক্টর দিশাউ বললেন। ‘একআধ দিন ছুটি নেয়া যাবে।’
ঘণ্টাখানেক কথা বলার পর ছেলেরা বিদায় নিতে চাইলে টিনা বলল, ‘বিকেলে আমার মিউজিক টিচার আসবেন। আজ আর বেরোতে পারব না। কাল সকালে যাবো তোমাদের হোটেলে। তোমাদের নিয়ে শহর দেখাতে বেরোব।’
‘ঠিক আছে,’ রেজা বলল।
দিনের বাকি সময়টা হোটেলের সুইমিং পুলে সাঁতার কেটে আর বাগানে খেজুর ঝাড়ের ছায়ায় বসে কাটাল ছেলেরা। ভয়ানক গরম। চামড়ায় ফোসকা পড়ার অবস্থা। বিকেল বেলা মরুভূমির দিক থেকে ধেয়ে এলো জোরালো শীতল হাওয়া, ঠাণ্ডা করে দিয়ে গেল আবহাওয়া।
সন্ধ্যার শুরুতেই রাতের খাওয়া শেষ করল ওরা। নিজেদের ঘরে ঢুকে বিশাল জানালাটা দিয়ে দূরের পাহাড়গুলোর দিকে তাকিয়ে মুগ্ধকণ্ঠে বলে উঠল ডোনাল্ড, ‘একেবারে আরব্যরজনীর রাত!’
‘ঠিক বলেছ। আদিম এই শহর, লোকজন, খাবার, সব কিছুই যেন সেই হাজার বছর আগেকারÑ’ হাই তুলতে লাগল নেড। (চলবে)
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা