২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

আ র ব দে শে র লো ক কা হি নী গরিব ঘরের বিড়াল রূপান্তর :

-

শেখ আবদুল্লাহ নূর
(গত দিনের পর)
বুড়ি আবার বলেÑ ‘সবার কপালে সুখ সয় নারে। পরিতৃপ্তির এই ছোট্ট কুঁড়েঘরটিই তোমার জন্য ভালো। একে ভুলে যেও না। জেনে রেখো, সুস্বাদু গোশতের থালায় মাঝে মধ্যে কবরের বালুকণাও মিশে থাকে। লোভ কিন্তু দুই চোখকে অন্ধ করে দেয়। গরিরের ভাগ্য! মৃত্যুর সুই-সুতা দিয়ে সেলাই করা থাকেরে মনু। বলি, নিজের ভাগ্য নিয়েই সন্তুষ্ট থাকো। এটাই দুনিয়ার নিয়ম। অতৃপ্তচিত্ত কখনো সুখ এনে দেয় না। উচ্চাভিলাষী মন অতৃপ্তির দাবানলে পুড়ে যায়।’
কিন্তু বুড়ির এত্তসব বাণীর এক কণাও কানে ঢোকে না বিড়ালের। তার মনে ওই একটাই চিন্তা। সুলতানের বাড়ির খাবার। খাবারের নামগুলোর কথা মনে পড়লেই জিবে পানি চলে আসে। জিব দিয়ে কয়েকবার সে নিজের নাকটা চেটে নেয়। লোভাতুর মন, চোখ দুটোকে কুয়াশার মতো করে ঢেকে রেখেছে। তাই, বুড়ির আদরের বাণীগুলো দু’পায়ে ঠেলে দিলো সে। আসলে পৃথিবীর সুন্দর বাণীগুলো হাভাতেদের মনে স্থান পায় না। পাখির খাঁচা কি আর বাতাস ধরে রাখতে পারে? চালুনি কখনো পানিকে আটকে রাখতে পারে? ঠিক তেমনি, সদুপদেশ ক্ষুধার্ত মনের জানালা দিয়ে বেরিয়ে যায়।
(চলবে)

 


আরো সংবাদ



premium cement