দুই গোয়েন্দার অভিযান
- রকিব হাসান
- ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ০০:০০
আটাশ.
প্রথমে অস্বাভাবিক কিছুই নজরে পড়ল না রেজার। তারপর দেখল, রুটির একটা ছোট টুকরো নিয়ে আনমনে বল বানাচ্ছে লোকটা।
ফিসফিস করে টিনা বলল, ‘পরনে আরবীয় পোশাক হলেও লোকটা আরব নয়, ফরাসি। এখানে এদের এ রকম অদ্ভুত স্বভাব প্রচুর দেখবে। বিশেষ করে মারাকেশের গুয়েলিজে যেসব ফরাসি বাস করে, তাদের। হাতে রুটি কিংবা আটা পেলে এ রকম করে ওরা।’
‘কেন করে?’
‘জানি না। মানবজাতি নিয়ে যারা গবেষণা করেন তারাই বলতে পারবেন।’
‘আরবীয় পোশাক পরে লোকটা ছদ্মবেশ নিয়েছে। তার মানে আমাদের ওপর চোখ রাখতে এসেছে?’
‘আসতে পারে।’
মিনিট দুয়েকের জন্য উঠে চলে গেল লোকটা, বোধহয় বাথরুমে। এই সুযোগে বন্ধুদের সাবধান করে দিলো রেজাÑ ওরা কোথায় যাচ্ছে, কী উদ্দেশ্যে, কোনো কথাই যাতে লোকটার সামনে না বলে। এরপর থেকে লোকটার ওপর কড়া নজর রাখতে লাগল ওরা। মুখ দেখার চেষ্টা করল। কিন্তু কাপড় দিয়ে এমনভাবে ঢেকে রেখেছে লোকটা, চেনার জো নেই। বাইরে একসময় খেজুর গাছের সংখ্যা বাড়তে লাগল। সবুজ চোখে পড়ল। এসে গেছে মারাকেশ। স্টেশনে গাড়ি থামতে না থামতেই লাফ দিয়ে নেমে গেল ছদ্মবেশী লোকটা। তার ওপর যে নজর রাখা হচ্ছে, বোধহয় বুঝে গেছে।
‘এই, মুখ দেখেছ কেউ?’ টিনা জিজ্ঞেস করল। ‘চিনতে পেরেছ?’
‘উঁহুঁ,’ ডোনাল্ড জবাব দিলো। ‘তবে সেই ট্যাক্সি ড্রাইভার লোকটা হতে পারে।’
(চলবে)
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা