১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

আ র ব দে শে র লো ক কা হি নী   গরিব ঘরের বিড়াল

-

(গত দিনের পর)

আর পোকামাকড় ধরে খায়। এমনকি মাঝে মধ্যে ক্ষুধার তাড়নায় সকালের শিশিরভেজা কচি ঘাসের ডগাও কামড়ে কামড়ে খায় সে। আহারে আকাল!
একদিন এই গরিব বিড়ালটি বুড়ির কুঁড়েঘরের চালায় গিয়ে বসেছিল। আর এদিক-ওদিক তাকিয়ে দেখছিল, পোকামাকড় দেখতে পাওয়া যায় কি না। ক্ষুধা লেগেছে যে! কিছু একটা তো খেতে হবে। হঠাৎ তার চোখ পড়ে দূরের বড় বাড়িটার দিকে। প্রকাণ্ড এক বিড়াল। বাড়িটির দেয়ালের ওপর দিয়ে বাঘের মতো হেঁটে বেড়াচ্ছে। মনে হলোÑ ওটা যেন বিড়াল না। ওটা একটা বাঘের বাচ্চা অথবা একটা বাগডাসা।
পুঁচকে এই গরিব ঘরের বিড়ালটি মনে মনে বলেÑ হায় খোদা! ওটা কি বিড়াল? নাকি অন্য কোনো প্রাণী! দেখে তো আমাদেরই স্বজাতি মনে হয়। এমন নাদুস-নুদুস চেহারা! এমনই ভারিক্কি চলার ভঙ্গি। বাব্বা! গা থেকে যেন চর্বি চুইয়ে চুইয়ে পড়ছে। নিজ প্রজাতিরই কারো চেহারা এমন আজদাহা হতে পারে, এ ধারণাই ছিল না গরিব বিড়ালটির। তাই সে কুঁড়েঘরের চালা থেকে নেমে ছুটে চলে যায় ওই বড় বাড়ির বিড়ালটির কাছে।
(চলবে)


আরো সংবাদ



premium cement