২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

আ র ব দে শে র লো ক কা হি নী : গরিব ঘরের বিড়াল

-

(গত দিনের পর)
এমনই এক শুকনো হাভাতে বিড়াল সেটি। সেই বিড়ালের সামনে যদি রান্না করা গোশতের রেজালা বা মহিষের দুধের পায়েস এনে রাখা হয়! কী অবস্থা হবে তার? অবস্থা এমন নয় কিÑ ‘যেন কোনো হাভাতের সামনে হঠাৎ বাদশাহী খানা এনে দেয়া হলো?’ অথবা অবস্থা এমন নয় কিÑ ‘যেন কোনো রাখাল বালকের মাথায় পরিয়ে দেয়া হলো রাজমুকুট?’
বিড়ালের অবস্থাও একদিন তেমনটিই হয়েছিল। বাদশাহী খানার গন্ধে মন নেচে উঠেছিল। এত খাবার দেখে খুশিতে গাল দুটো তার গোলাপের পাপড়ির মতো উজ্জ্বল হয়ে উঠেছিল। সে তার গরিবী দশা ভুলে গিয়ে ক্ষণিকের তরে খুশিতে আত্মহারা হয়ে উঠেছিল। মনে মনে বলেছিলÑ ওহ খোদা! আমি কী স্বপ্ন দেখছি। এত এত খাবার! এ সবই কি আমার জন্য?
কিন্তু বুড়ির বিড়ালটির কল্পনাশক্তি এত দূর যায় না। গরিবের মন, স্বপ্ন দেখার স্বপ্নও হারিয়ে ফেলেছে। তার মনে সারাক্ষণ ঘুরঘুর করে একটাই চিন্তা। কী খাই, কী খাই, কোথায় গেলে খাবার পাই ইত্যাদি। এভাবেই তার দিন যায়, মাস যায়, বছরও পার হয়ে যায়। কিন্তু খাবার আর জোটে না কপালে। বুড়ির কুঁড়েঘরের চার পাশে ঘুরে বেড়ায় সে।
(চলবে)


আরো সংবাদ



premium cement