১৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৪ বৈশাখ ১৪৩১, ০৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

দুই গোয়েন্দার অভিযান

-

দশ.

‘বেসেঞ্জি শব্দটা আমার কাছে সোয়াহিলি শব্দের মতো লাগছে,’ সুজা বলল।
“সোয়াহিলিই তো। এর মানে হলো ‘বুনো কিছু’।” হাসল ডোনাল্ড। ‘আসলেই বুনো এই কুকুরগুলো। ডাকে কম, কামড়ায় বেশি।’
মূর্তিটা হাতে নিয়ে দেখল সুজা। দাম কত জিজ্ঞেস করল দোকানদারকে। ডোনাল্ডকে বলল, ‘ডোনাল্ড, এটা আমি কিনে উপহার দেব তোমাকে। আপত্তি আছে?’
‘লকেটের দাম শোধ করতে চাও?’
‘আরে না না, কী যে বলো।’
কুকুরটা সুন্দর করে প্যাক করে দিলো দোকানি। তুলে নিলো ডোনাল্ড।
নেড বলল, ‘কুকুর নিয়ে গবেষণা শেষ হয়েছে তোমাদের? সময় কিন্তু পেরিয়ে যাচ্ছে।’
কিসের সময় পেরিয়ে যাচ্ছে বুঝে হাসল রেজা। ‘কুস-কুস?’
‘কুস-কুস, গুজ-গুজ, মুজ-মুজ, যা পাবো তাই গিলে ফেলব এখন। শহর দেখতে দেখতে নাড়িভুঁড়ি হজম করে ফেলেছি।’ পেটে চাপড় মারল নেড। জোরে মারতে গিয়ে বেল্টের বাকলসে লেগে ব্যথা পেয়ে উহ্ করে উঠল।
হাসল সুজা। ‘কুস-কুস কী জিনিস শিগগিরই জানব। কিন্তু গুজ-গুজ আর মুজ-মুজটা কী?’
‘গুজ মানে হাঁস,’ নেড বলল। ‘গুজ-গুজ মানে হাঁসের রোস্ট। মুজ মানে মুজ হরিণ। মুজ-মুজ মানে হরিণের গোশতের কাবাব।’
‘কোথায় পেলে এ সব নাম!’ রেজা অবাক।
‘পাওয়া লাগে নাকি? আমি বানিয়েছি,’ বুকে চাপড় দিলো নেড।
‘খাবারের নাম দেয়ায় তুমি ওস্তাদ, স্বীকার করতেই হচ্ছে,’ ডোনাল্ড বলল।
(চলবে)


আরো সংবাদ



premium cement