২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

দুই গোয়েন্দার অভিযান

-


ছয়.
গম্ভীর ভঙ্গিতে মাথা দুলিয়ে রেজা বলল, ‘বুদ্ধিমান লোক। কিন্তু আমি ভাবছি, এ সব কথা ব্রুকারকে বলে দেননি তো তিনি?’
‘হ্যাঁ, দিয়েছেন,’ ডোনাল্ড বলল। ‘নির্যাতন সইতে না পেরে সব বলে দিয়েছেন।’
‘তার মানে ব্রুকারদেরও আফ্রিকায় যাওয়ার সম্ভাবনা আছে!’ সুজা বলল।
‘তা তো আছেই,’ রেজা বলল। ‘বলা যায় না, আমাদের ওপর নজর রেখে, ছদ্মবেশেও পিছু নিতে পারে।’
বাইরে একটা গাড়ির সাইলেন্সারের প্রচণ্ড ভটভট শব্দ শোনা গেল।
‘নেডের জেলপি,’ হেসে বলল সুজা।
‘জেলপি গাড়ি এমন শব্দ করে নাকি?’ ডোনাল্ড অবাক।
‘নেডেরটা করে। পুরনো হতে হতে ঝরঝরে হয়ে গেছে।’
‘নেডের খারাপ লাগে না?’
‘না। এ রকম শব্দ করাতে বরং গর্বিত।’
দরজায় দেখা দিলো নেড। ডোনাল্ড যে আসবে, জানে সে। হাসিমুখে জিজ্ঞেস করল, ‘কিসের আলোচনা করছ তোমরা?’
‘আফ্রিকায় যাচ্ছি আমরা,’ রেজা জানাল।
‘আমিও যাবো।’
‘তাই নাকি?’ হাসল সুজা। ‘শুনেছি, আফ্রিকা জায়গাটা নাকি ভূতপ্রেতে ভরা। অকারণে গিয়ে...’
হাত নেড়ে সুজাকে যেন উড়িয়ে দিলো নেড। চেয়ারে বসতে বসতে বলল, ‘বাজে কথা রেখে যাবে কিভাবে সেটা বলো। প্লেনে না জাহাজে? যেভাবেই যাও, আমি যাবোই।’
‘প্লেনে যাবো,’ রেজা জানাল। ‘ভাড়ার টাকা আছে তোমার কাছে?’
‘ব্যাংকে কিছু আছে। টান পড়লে বাকিটা বাবার কাছ থেকে ধার নেবো। পরে কাজ করে শোধ দিয়ে দেবো। আফ্রিকার কোথায় যাচ্ছ তোমরা?’
‘সম্ভবত মরক্কো,’ সুজা বলল। ‘একটা হারানো শহরের খোঁজে।’ (চলবে)


আরো সংবাদ



premium cement