২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

দুই গোয়েন্দার অভিযান

-

পাঁচ.
মা কিছু বললেন না। তিনি জানেন ছেলেদের ঠেকাতে পারবেন না। বাবার মতো বড় গোয়েন্দা হওয়ার শখ। একবার যখন সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে ওরা, যাবেই। কোনোভাবেই নিরস্ত করা যাবে না।
খাওয়ার পর ডোনাল্ডকে নিজেদের শোবার ঘরে নিয়ে এলো রেজা-সুজা।
ডোনাল্ড বলল, ‘দাঁড়াও, একটা জিনিস দেখাই তোমাদের।’ সুটকেস খুলে অ্যালুমিনিয়ামের একটা তিন ইঞ্চি লম্বা সরু কৌটা বের করল সে। সেটার ক্যাপ খুলে নিয়ে কৌটার মুখটা উপুড় করল হাতের তালুতে। ভিতর থেকে পড়ল একটা তামার চেনে লাগানো সিংহের দাঁত। দাঁতটাতে খুব সরুভাবে খোদাই করা কতগুলো চিহ্ন।
‘কী এটা?’ অবাক হলো সুজা।
‘জু-জু বাবার জিনিস,’ ডোনাল্ড জানাল।
‘জু-জু বাবাটা আবার কে?’
‘আফ্রিকান ওঝা। এই জু-জুরা খুব ক্ষমতাবান হয়।’
‘পেলে কোথায় এটা?’
‘আলি জাবের দিয়েছেন। হাসপাতালে শুয়ে আছেন এখনো। দেখা করতে গিয়েছিলাম। আমি আমেরিকায় আসছি শুনে বললেন, এটা নিয়ে যাও। কাজে লাগবে।’
‘কী কাজে লাগবে?’ রেজার প্রশ্ন।
‘আলি জাবের আন্দাজ করে ফেলেছেন, আফ্রিকাতে যাওয়া লাগতে পারে আমাদের। সে জন্যই জিনিসটা দিয়েছে আমাকে। তার দোকানে ছিল। নিজে তো উঠতে পারেন না। বলে দিয়েছিলেন, দোকানের কোনখানে জিনিসটা পাবে। বের করে নিয়ে এসেছি।’
ডোনাল্ডের কথায় অবাকই হলো রেজা। ‘আমাদের আফ্রিকায় যাওয়া লাগতে পারে, আলি জাবের জানলেন কিভাবে?’
হাসল ডোনাল্ড। ‘মুখোশটা ওকে দেখিয়েছি না আমরা। ওটা দেখেই যা বোঝার বুঝে নিয়েছেন। নানার মতো আলি জাবেরও বিশ্বাস করেন, মুখোশের দাড়িগুলোতেই রয়েছে গুপ্তধনের ঠিকানা।’
(চলবে)

 


আরো সংবাদ



premium cement