২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

বিশ্বের নৃতাত্তি¡ক গোষ্ঠী চিন জাতি

-

আজ তোমরা জানবে চিন জাতি সম্পর্কে । চিনদের ইতিহাস বেশ প্রাচীন। ৯ থেকে ১০ শতকে এরা চীন দেশ থেকে এসে মিয়ানমারের চিন্দুইন উপত্যকায় বসতি স্থাপন করে। ১৩ ও ১৪ শতকে এরা বর্তমান চিন রাজ্য এলাকায় চলে আসে। লিখেছেন লোপাশ্রী আকন্দ
চিন কী? মিয়ানমারের একমাত্র খ্রিষ্টান প্রধান জনগোষ্ঠী। এরা প্রধানত বাস করে চিন রাজ্যে। এটি মিয়ানমারের একটি উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য। এর পশ্চিমে বাংলাদেশ এবং উত্তরে ভারত। চিন রাজ্যে প্রায় ৫ লাখ চিন বাস করে। ভারতের মিজোরাম, নাগাল্যান্ড, মনিপুর ও আসামেও চিনদের বসবাস রয়েছে। এদের মোট জনসংখ্যা ১০ লাখের বেশি।
চিনরা একটি চীনা-তিব্বতি জনগোষ্ঠী। এরা কথা বলে চিন ভাষায়। এ ভাষার উদ্ভব হয়েছে তিব্বতি-মিয়ানি ভাষাসমূহ থেকে। এ ভাষার রয়েছে কয়েকটি উপভাষা। আবার চিন জাতিও কয়েকটি গোত্রের সমষ্টি। এগুলোর মধ্যে রয়েছে আশু, চো, খুমি, কুকি ইত্যাদি।
চিনদের বেশির ভাগ খ্রিষ্টধর্ম পালন করে। খ্রিষ্টান জনসংখ্যা প্রায় ৮৫ শতাংশ। বাকি ১৫ শতাংশ জনসংখ্যা বৌদ্ধ ও সর্বপ্রাণবাদী। ১৮ ও ১৯ শতকে আমেরিকান ব্যাপ্টিস্ট মিশনারিরা চিন সমাজে ধর্ম প্রচার করে। পর্যায়ক্রমে চিনরা খ্রিষ্টান প্রধান জনগোষ্ঠীতে পরিণত হয়।
রূপকথা, নাচ ও গান চিনরা খুব পছন্দ করে। চিন ভাষায় লিখন পদ্ধতি চালু হওয়ার আগে বংশপরম্পরায় এদের ঐতিহ্য, ইতিহাস এগিয়েছে মৌখিকভাবে, কাহিনীর মাধ্যমে।
চিন পুরুষরা লুঙ্গি ও হতামেইন (জ্যাকেটবিশেষ) পরতে পছন্দ করে এবং মাথায় বাঁধে পট্টি। নারীদের পরতে দেখা যায় ফুলহাতা বøাউজ ও স্কার্র্ট। মেয়েদের পোশাকে উজ্জ্বল রঙের ব্যবহার লÿণীয়।
চিনদের ইতিহাস বেশ প্রাচীন। ৯ থেকে ১০ শতকে এরা চীন দেশ থেকে এসে মিয়ানমারের চিন্দুইন উপত্যকায় বসতি স্থাপন করে। ১৩ ও ১৪ শতকে এরা বর্তমান চিন রাজ্য এলাকায় চলে আসে।
Ñওয়েবসাইট অবলম্বনে

 


আরো সংবাদ



premium cement