২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

দুই গোয়েন্দার অভিযান অভিযান

-

তিন.
ইতিহাস পড়তে পড়তে সময় যে কোথা দিয়ে উড়ে গেল টেরই পেল না দুজনে।
‘বাড়ি যাওয়া দরকার,’ সুজা বলল। ‘পেটের মধ্যে ডাকাডাকি শুরু হয়ে গেছে আমার।’
‘আমারও।’
বাড়ি ফিরে ঘরে ঢুকতেই খবরটা দিলেন মিনাফুপু, ‘জ্যামাইকা থেকে তোমাদের বন্ধু ডোনাল্ড ফোন করেছিল।’
অবাক হয়ে পরস্পরের দিকে তাকাল রেজা-সুজা।
‘কী বলেছে?’ ফুপুকে জিজ্ঞেস করল রেজা।
‘নম্বর দিয়েছে। ফোন করতে বলেছে তোদের।’
একটা মুহূর্ত দেরি না করে ফোন করল রেজা। ‘ডোনাল্ড, কী ব্যাপার?’
চুপচাপ ওপাশের কথা শুনল রেজা। রিসিভার রেখে ফিরে তাকাল সুজার দিকে। শোনার জন্য অস্থির হয়ে আছে সুজা। রেজা জানাল, ‘ডোনাল্ড আমেরিকায় আসছে।’
‘আমেরিকায় আসছে? কেন?’
‘ব্রæকার আর ডনের পিছু নিয়েছিল সে,’ রেজা বলল। ‘জেনেছে, মুখোশটা ওরা কেড়ে নিতে চায় যে কোনো মূল্যেই হোক। আগামীকাল সকালে নিউইয়র্কের উদ্দেশে রওনা হচ্ছে ওরা। তাতে জেদ চেপে গেছে ডোনাল্ডের। সে-ও ওদের মুখোশটা কেড়ে নিতে দেবে না। তার দেশের জিনিস, অর্থাৎ জ্যামাইকার জিনিস সে জ্যামাইকাতেই ফিরিয়ে নিয়ে যাবে, সরকারের হাতে তুলে দেবে। সেজন্য লোকগুলোর পিছু নেবে সে। ওরা আমেরিকায় এলে সে-ও আমেরিকায় আসবে। আমার এখন কী মনে হচ্ছে জানো? ওই মুখোশটাতেই রয়েছে গুপ্তধনের সন্ধান। আর এটা ছিল সেই আফ্রিকানাস রেক্স জাহাজের ক্যাপ্টেনের কেবিনে। ক্যাপ্টেনও নিশ্চয় গুপ্তধনের সন্ধান করছিলেন। আর সে কারণেই তার কেবিনে কেউ ঢুকলে তাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়ে হত্যা করতেন।’
(চলবে)


আরো সংবাদ



premium cement