২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

দুই গোয়েন্দার অভিযান

-

এক.
পরদিন একটা জরুরি কাজে ইয়েলো বিচের বাইরে চলে গেলেন মুরাদ সাহেব। তিনিও একটা কেসের তদন্ত করছেন। প্লেনের টিকিট জালিয়াতি চলছে সাংঘাতিকভাবে। কোটি কোটি টাকা লোপাট করে দিচ্ছে জালিয়াতেরা। ধরতে পারছে না পুলিশ। শেষে মুরাদ সাহেবের সাহায্য চেয়েছে প্লেন কোম্পানি।
মুখোশটার ব্যাপারে আরো জানার জন্য লাইব্রেরিতে চলল রেজা-সুজা। জানা দরকার, মুখোশের পিছনে আঁকা কম্পাসের কাঁটার মাথায় ‘স্বর্ণ’ আর ‘লবণ’ লিখে কী বোঝাতে চেয়েছে লেখক।
আফ্রিকান ইতিহাসের ওপর গোটা ছয়েক মোটা মোটা বই পাওয়া গেল লাইব্রেরিতে। লাইব্রেরিয়ানের সহযোগিতা চাইল ওরা। তিনি ওদেরকে ‘দা গোল্ডেন ট্রেড অভ দি মুরস’ বইটা পড়তে বললেন।
বইটা বগলে চেপে নিঃশব্দে রিডিং রুমের দিকে হেঁটে গেল রেজা। সঙ্গে সুজা। একটা টেবিলে দুটো চেয়ারে পাশাপাশি বসে বইটা পড়তে লাগল। ১৪ শতকের উত্তর ও পশ্চিম আফ্রিকার ইতিহাস জানতে গিয়ে পেয়ে গেল মানসা মুসার নাম।
‘এই দেখো, মানসা মুসা, মালির সুজা ছিলেন,’ সুজা বলল। ‘তাঁর ওপর ডোনাল্ডের ভক্তিটা অকারণ মনে হচ্ছে না।’
উত্তেজিত কণ্ঠে দু’জনকে কথা বলতে শুনে মুখ ফিরিয়ে তাকালেন একজন অ্যাসিসট্যান্ট লাইব্রেরিয়ান। চোখে চোখ পড়তে আস্তে কথা বলতে ইশারা করলেন। লাইব্রেরিতে জোরে কথা বলা নিষেধ। লজ্জিত হলো ওরা। নীরবে মানসা মুসার ওপর লেখা অধ্যায়টা পড়ে চলল।
জানা গেল, ১৪ শতকে কালোদের সুজা ছিলেন মানসা মুসা। মুসলমান ছিলেন। ১৩২৪ সালে হাজার উটের বিশাল কাফেলা নিয়ে মক্কায় হজ করতে যান। তিনি নিজে যান ঘোড়ায় চড়ে। সঙ্গে ছিল পাঁচশা’ গোলাম। প্রতিটি গোলামকে দিয়ে পাঁচশ’ মিথকুয়াল সোনা বহন করিয়েছেন। (চলবে)

 


আরো সংবাদ



premium cement