২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`
কে কী কেন কিভাবে

য়ুলং জু শান

-


আজ তোমরা জানবে, প্রাচীন সভ্যতার দেশ চীনের একটি পর্বত সম্পর্কে। নাম তার য়ুলং জু শান। লিখেছেন লোপাশ্রী আকন্দ
য়ুলং জু শান। চীনের একটি পর্বত। চীনা ভাষায় পর্বতকে বলে শান। চীনের বাইরে পর্বতটির পরিচিতি জেড ড্রাগন স্নো পর্বত নামে।
প্রকৃতি এখানে অপরূপ, অনিন্দ্য সুন্দর। এখানকার কৃষ্ণ ড্রাগন কু (ব্ল্যাক ড্রাগন পুল), টাইগার লিপিং গিরিসঙ্কট, হিমবাহ অসাধারণ। আনন্দ বা শরীরচর্চার জন্য এখানকার পদযাত্রার পথগুলোও নয়নাভিরাম। এ ছাড়া এখানকার জীববৈচিত্র্যও অনন্য।
চীনের য়ুনান প্রদেশের প্রাচীন নগরী লিজিয়াং থেকে য়ুলং জু শানের দূরত্ব প্রায় ১৫ কিলোমিটার। কয়েক মিনিটেই বাসযোগে পর্বতের পাদদেশে পৌঁছা যায়। কাছের প্রধান বিমানবন্দর কুনমিং। পর্বতের বিভিন্ন ধাপে পৌঁছার জন্য তারপথ (ক্যাবলওয়ে) এবং উঁচু স্থানে উঠে দূরের ভূদৃশ্য দেখার জন্য এখানে উড়াল চেয়ারের (চেয়ারলিফট) ব্যবস্থা আছে। আর পর্যটকদের জন্য গড়ে উঠেছে হোটেল ও রিসোর্ট।
য়ুলং জু শান আসলে একটি ছোট পর্বতমালা বা পর্বত শ্রেণী। এখানে রয়েছে নিবিড় স্তূপপর্বত। এর রয়েছে ১৩টি চূড়া। সর্বোচ্চ চূড়ার নাম শানজিদও। উচ্চতা ৫ হাজার ৫৯৬ মিটার বা ১৮ হাজার ৩৫৯ ফুট। শানজিদও চূড়ায় মাত্র একবার মানুষ উঠেছিল ১৯৮৭ সালের ৮ মার্চ। এক আমেরিকান অভিযাত্রী দল এ পর্বতে অভিযান চালিয়েছিল। চূড়ায় আরোহণকারী দলের সদস্য ছিলেন ফিল পেরাল্টা-র্যামোস ও এরিক পার্লম্যান।
য়ুলং জু শানে তিনটি বিখ্যাত তৃণভূমি রয়েছেÑ ড্রাই সি মেডৌ, ক্লাউড ফার মেডৌ ও ইয়াক মেডৌ। বিশ্বের সর্বোচ্চ গলফ কোর্স রয়েছে ড্রাই সি মেডৌতে।
পর্যটক, পর্বতারোহী, দর্শক আর অভিযাত্রীদের আনাগোনা লেগেই আছে এ পর্বতে।
তথ্যসূত্র : ওয়েবসাইট


আরো সংবাদ



premium cement