২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

দুই গোয়েন্দার অভিযান অভিযান

-

চৌত্রিশ.
দেয়ালের ওপাশে ঘন বন, তারপর পাহাড়। অন্ধকারে এই দুর্যোগের মধ্যে ভয়ঙ্কর লাগছে বনটাকে। দেখে মনে হচ্ছে এ মুহূর্তে গাছপালার আড়ালে ওখানেও ঘাপটি মেরে রয়েছে অসংখ্য দানব। রক্তচক্ষু মেলে তাকিয়ে আছে ওদের দিকে। বাগে পাওয়ার অপেক্ষা করছে।
কিন্তু ওই ভীষণ-দর্শন বনভূমিই এখন ওদের একমাত্র সহায়। পেছনের মূর্তিমান মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচতে হলে ওখানেই গিয়ে লুকাতে হবে।
ফিরে তাকাল আবার রেজা। এগিয়ে আসছে হিরণ কুমার। বুঝতে পারল, এই বিদ্যুৎ-ঝড়ের মধ্যে এমন কিছু রয়েছে, যেটা ক্রমাগত শক্তি সরবরাহ করে যাচ্ছে তার শরীরে। ক্রমেই দুর্বলতা কেটে যাচ্ছে ওর। গতি বাড়ছে। জড়তা কমে আসছে। ও আর মানুষ নেই এখন। বহু বছর ধরেই ছিল না।
বজ্রপাতে চিরে যাওয়া গাছটার পাশ কাটিয়ে বনে ঢুকে পড়ল দু’জনে। ঘাস শেষ। আঠালো মাটি ঘাসের চেয়ে অনেক খারাপ। সাবানের মতো পিচ্ছিল। দৌড়ানো দূরের কথা, পা রাখাই কঠিন। তার ওপর ভেজা জুতো সমস্যা আরো বাড়িয়ে তুলছে। ওরাও যেন আর মানুষ নেই। বারবার পিছলে পড়তে পড়তে ছুটে চলেছে, কাদাপানিতে মাখামাখি, বিচিত্র দুটো অদ্ভুত প্রাণী।
ধড়াস করে আছাড় খেল সুজা।
ওর হাত ধরে টেনে তুলল রেজা। এ সময় থামলে চলবে না কোনোমতেই।
কিন্তু দুই কদমের বেশি এগোনো সম্ভব হলো না। পাহাড়ে পৌঁছে গেছে। ঢালের মাটি এত পিচ্ছিল, বেয়ে ওঠা অসম্ভব।
রেজা বলল, ‘গাছে উঠি।’
এই ঝড়ের মধ্যে ঘন ঘন যখন বাজ পড়ছে, গাছে ওঠাটা মোটেও বুদ্ধিমানের কাজ নয়। কারণ বড় গাছগুলো বজ্রপাতের লক্ষ্যবস্তু হয়ে ওঠে। কিন্তু আর কোনো উপায়ও নেই। (চলবে)


আরো সংবাদ



premium cement