২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

বিশ্বের নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠী হেরেরো

-

আজ তোমরা জানবে হেরেরো সম্পর্কে।
এ নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠী কৃষ্ণাঙ্গ।
লিখেছেন মুহাম্মদ রোকনুদ্দৌলাহ্
আফ্রিকা মহাদেশে অনেক জাতির বাস। এদেরই একটি হেরেরো। এ নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠী কৃষ্ণাঙ্গ। এরা কথা বলে হেরেরো ভাষায়। এটি একটি বান্টু ভাষা, যা নাইজার-কঙ্গো পরিবারের অন্তর্ভুক্ত। কিছু হেরেরো কথা বলে পর্তুগিজ ভাষায়, কিছু বলে ইংরেজি ভাষায়, আর কিছু বলে আফ্রিকানা ভাষায়। এটি আফ্রিকায় ইউরোপীয়দের নিষ্ঠুর শাসনের ফল।
হেরেরোদের বেশির ভাগ পশু পালন করে জীবন ধারণ করে। এটি এদের ঐতিহ্য। অন্যান্য পেশায়ও কিছু হেরেরো কাজ করে। হেরেরোরা, বিশেষ করে নারীরা রঙিন পোশাক পরতে পছন্দ করে। একসময় এরা আফ্রিকান ঘরানার পোশাক পরলেও, বর্তমানে এরা ইউরোপীয় ঘরানার পোশাকেই আগ্রহী। ঔপনিবেশিক আমলেই ঔপনিবেশিক শাসকেরা আফ্রিকায় যে পোশাক পরতেন, তার প্রতি হেরেরোদের ঝোঁক দেখা যায়। বর্তমানে হেরেরো নারীরা লম্বাটে ঢিলা পোশাক পরে এবং মাথায় টুপি পরে বা পট্টি ব্যবহার করে। অনেকে ঐতিহ্যবাহী আফ্রিকান পোশাকও পরে। পুরুষদের প্যান্ট-শার্টের প্রতি ঝোঁক দেখা যায়।
হেরেরোরা আফ্রিকান ও খ্রিষ্ট ধর্ম পালন করে।
১৮৮৩ সালে জার্মানি হেরেরোদের আবাসভূমিতে আধিপত্য বিস্তার করে। অচিরেই হেরেরো পশুপালক ও সাদা অভিবাসীদের মধ্যে বিরোধ দেখা যায়। কারণ জার্মানরা হেরেরোদের ভূমি ও পানিতে দখলদারিত্ব কায়েম করে। একসময় বিরোধের জের ধরে জার্মানরা হত্যাযজ্ঞ চালায়। ১৯০৪-১৯০৭ সাল পর্যন্ত হেরেরো বিদ্রোহ চলে। হত্যাযজ্ঞের পরে পরিস্থিতি ধীরে ধীরে শান্ত হয়ে আসে। হত্যাযজ্ঞের ১০০তম বার্ষিকীতে ২০০৪ সালে জার্মান অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও সহযোগিতা মন্ত্রী এ অপরাধের জন্য জার্মানদের পক্ষে ক্ষমা প্রার্থনা করেন।
বর্তমান হেরেরো জনসংখ্যা প্রায় দুই লাখ ৫০ হাজার। এদের বেশির ভাগ বাস করে নামিবিয়ায়। বাকিদের বসবাস বতসোয়ানা ও অ্যাঙ্গোলায়।
তথ্যসূত্র : ওয়েবসাইট


আরো সংবাদ



premium cement

সকল