২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`

দুই গোয়েন্দার অভিযান অভিযান

-

একুশ.
জগন্ময় মুখ খুলেছে কি না জানতে চাইল রেজা।
‘নাহ,’ হতাশ ভঙ্গিতে মাথা নাড়লেন প্রফেসর। ‘বহুভাবে জেরা করেছে পুলিশ। আমিও চেষ্টা করেছি। কোনো কথারই জবাব দেয়নি। চোখের কোণে পানি। একভাবে বিড়বিড় করে কী যে বলতে থাকল, কিছুই বোঝা যায়নি।’
‘আমি শিওর, জানালায় সেদিন জগন্ময়কেই দেখেছিলাম,’ রেজা বলল।
বিষণœ ভঙ্গিতে মাথা নেড়ে প্রফেসর বললেন, ‘মনে হয়। আর তোমার টেপও সে-ই নষ্ট করেছিল। এতদিন কোথায় ছিল কে জানে। কক্সবাজারেই কোনোখানে লুকিয়ে ছিল হয়তো। নিয়মিত যাতায়াত করত এ বাড়িতে। ঢোকার কোনো গোপন পথ নিশ্চয়ই আছে। দরজা-জানালা বন্ধ থাকলেও ঢুকতে পারত। স্পেশাল ইফেক্টের সাহায্যে নানা রকম ভুতুড়ে কাণ্ডকারখানা ঘটাত। সিনেমার লোক। ওসব করা তার কাছে কোনো ব্যাপারই নয়। নানা রকম কাণ্ড করে মানুষকে ভয় দেখাত, যাতে বাড়িটার ধারেকাছে না ঘেঁষে। কিন্তু গ্রামের লোকে ভয় পেলেও তোমরা পাওনি কিংবা পেলেও বাড়ি ছাড়নি। তোমাদেরকে কোনোভাবেই সরাতে না পেরে শেষে পিয়ানো বাজিয়ে ভয় দেখাতে চেয়েছিল। কিন্তু হেদায়েতের বন্দুকটাই সব ভজকট করে দিলো। ওটা না থাকলে ধরা যেত না ওকে। নিশ্চয়ই পালাত।’
সবুজ কুয়াশাও নিশ্চয়ই স্পেশাল ইফেক্টের সাহায্যে সৃষ্টি করেছিল লোকটা। আর ওই সবুজ ভূতটাও সে নিজেই সেজেছিল। বুঝতে পারছে রেজা।
‘কিন্তু এত কিছু কেন করল লোকটা?’ গেদু চাচার প্রশ্ন।
পকেটে হাত ঢুকিয়ে পায়চারি করতে লাগলেন প্রফেসর। ফিরে এসে দাঁড়ালেন গেদু চাচার সামনে। ‘বুঝলে না!’
(চলবে)

 


আরো সংবাদ



premium cement