২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`
কে কী-------কেন কিভাবে

তোতামাছ

-

আজ তোমরা জানবে তোতামাছ সম্পর্কে । এর সৌন্দর্য তোতা পাখির চেয়ে কোনো দিক দিয়েই কম নয়। সেজন্যই সম্ভবত এর নাম তোতামাছ বা প্যারোটফিশ হয়েছে। লিখেছেন মুহাম্মদ মাসুম বিল্লাহ
তোমরা কি জানো, সৌন্দর্যের সাথে সাথে তোতামাছের কিছু মজাদার বৈশিষ্ট্য রয়েছে? এর প্রধান খাবার শৈবাল। এ শৈবাল এরা প্রবাল থেকে টেনে বের করে। অনেক সময় এরা শৈবালসমৃদ্ধ পলিপ (প্রবালের অংশ) সংগ্রহ করার জন্য প্রবাল চূর্ণ করে। এ কাজে এরা এদের পেষণ দাঁত ব্যবহার করে। দাঁত দিয়ে এরা অনেক ছোট ছোট উদ্ভিদও উপড়ে ফেলতে পারে।
কারো সৌন্দর্যকে মাছের সাথে তুলনা করলে চিত্রটা কেমন হবে? নিশ্চয়ই সে মুখ ফুলিয়ে বসে থাকবে। মাছের আবার সৌন্দর্য! কিন্তু এমনও মাছ আছে যার সৌন্দর্য দেখলে এ ফোলানো মুখ চুপসে যাবে। তার চোখ হয়তো বিশ্বাস করতে পারবে না, মাছ এত সুন্দর হয়! এমনই একটি অনন্য সুন্দর মাছÑ তোতামাছ। ইংরেজিতে প্যারোটফিশ। মাছটি দেখলে মনে হবে কোনো চিত্রশিল্পী হয়তো একে ধরে ইচ্ছেমতো রঙ মেখে দিয়েছেন। এর এ সৌন্দর্য তোতা পাখির চেয়ে কোনো দিক দিয়েই কম নয়। সেজন্যই সম্ভবত এর নাম তোতামাছ বা প্যারোটফিশ হয়েছে।
পুরুষ তোতামাছ একটি বাসা গঠন করে। বাসায় কয়েকটি স্ত্রী মাছ থাকে। অবাক করা বিষয় হলো, পুরুষটি মারা গেলে যেকোনো একটি স্ত্রী মাছ তার লিঙ্গ পরিবর্তন করে, রঙ পরিবর্তন করে এবং এটি প্রভাব বিস্তারকারী পুরুষে পরিণত হয়।
তোতামাছের আরেকটি মজার বিষয় হলো, এরা নিজেদেরকে অভিনব কায়দায় লুকিয়ে রাখে। প্রতি রাতে এরা এদের মাথার একটি অঙ্গ থেকে নিঃসৃত মিউকাস দিয়ে দেহকে আবৃত করে রাখে। এটা অনেকটা রেশমগুঁটির মতোই। বিজ্ঞানীরা মনে করেন, এরা এভাবে এদের দেহের ঘ্রাণকে আড়াল করে রাখে। যাতে নিশাচর শিকারি প্রাণী আক্রমণ করতে না পারে।
তোতামাছ এক থেকে চার ফুট পর্যন্ত লম্বা হয়। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এদের সুখাদ্য হিসেবে গ্রহণ করা হয়। পলিনেশিয়ায় এদেরকে কাঁচা খাওয়া হয়। একসময় এ দেশে তোতামাছকে রাজকীয় খাবার হিসেবে বিবেচনা করা হতো। শুধু রাজাই খেত এ মাছ।

 


আরো সংবাদ



premium cement