দুই গোয়েন্দার অভিযান অভিযান
- রকিব হাসান
- ১৬ অক্টোবর ২০১৯, ০০:০০
বিশ.
জগন্ময়ের চোখে বিষণœ দৃষ্টি। ধপ করে বসে পড়ল আবার আগের জায়গায়। মাথা নিচু করে ফেলল। আনমনে বিড়বিড় করে কী বলতে লাগল, বোঝা গেল না।
‘আমি পুলিশকে ফোন করছি,’ মনি চাচী বললেন। গলা কাঁপছে। তিনি কখন ঘরে ঢুকেছেন কেউ খেয়াল করেনি।
জগন্ময়ের কাছে গিয়ে দাঁড়াল রেজা। লোকটার দিকে বন্দুক তাক করে রাখলেন গেদু চাচা।
‘আপনি জগন্ময় তো?’ জিজ্ঞেস করল রেজা।
জবাব দিলো না লোকটা।
‘জানালায় সেদিন আপনিই দাঁড়িয়ে ছিলেন, তাই না?’
এবারও সে নিশ্চুপ।
‘ক্যাসেটের ছবি আপনিই মুছেছেন?’
কোনো জবাব নেই। মাথা নিচু করে রেখেছে। যেন পাথরের মূর্তি। কোনো কথাই কানে ঢুকছে না।
সুজা আর গেদু চাচাও তাকে কথা বলানোর চেষ্টা করে করে হাল ছেড়ে দিলেন। কোনো কথারই জবাব দিলো না লোকটা।
‘চাচা,’ সুজা বলল, ‘প্রফেসর আসাদ চৌধুরীকে ফোন করলে কেমন হয়? এসে দেখলে হয়তো চিনতে পারবেন।’
‘এত রাতে আর ফোন করব কি। পুলিশ এসে নিয়ে যাক। চৌধুরীকে পরেও দেখানো যাবে।’
পরিবেশ গম্ভীর। সুনসান নীরবতা। ঘরের কেউই জায়গা থেকে নড়ছে না।
বহু, বহু যুগ পর যেন অবশেষে পুলিশের গাড়ির শব্দ কানে এলো।
পরদিন খবর পেয়ে জগন্ময়ের সাথে কথা বলতে থানায় ছুটলেন প্রফেসর।
সন্ধ্যায় এসে হাজির হলেন তিনি হিরণ কুমারের বাড়িতে। তার কাছে জানা গেল, জগন্ময়কে চিটাগাং নিয়ে গেছে পুলিশ। মানসিক রোগের হাসপাতালে ভর্তি করে দেবে। (চলবে)
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা