২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

দুই গোয়েন্দার অভিযান

-

উনিশ.

অনেকক্ষণ একভাবে পড়ে থাকতে থাকতে সবে হালকা ঘুমের ঝুল এসেছে, স্বপ্নের মধ্যেই কানে ঢুকল পিয়ানোর শান্ত করুণ সুর।
মুহূর্তে কেটে গেল তন্দ্রা। লাফ দিয়ে উঠে বসল বিছানায়। স্পষ্ট শুনতে পাচ্ছে এখন পিয়ানোর বাজনা। নিচতলা থেকে আসছে। মনে পড়ল, গেদু চাচা বলেছিলেন, চাবিটা পাননি। খুলতে পারেননি।
এখন খুলল কিভাবে?
সুজার ঘুমও ভেঙে গেছে। ‘শুনছিস?’
নীরবে মাথা ঝাঁকাল রেজা।
‘চল, দেখে আসি।’ রেজার আগেই বিছানা থেকে নেমে পড়ল সুজা।
ছিটকানি খুলে পা টিপে টিপে ঘরের বাইরে এসে দাঁড়াল দু’জনে।
সিঁড়িতে কেবল পা রেখেছে, এমন সময় গেদু চাচাও বেরিয়ে এলেন। হাতে বন্দুক। রেজার আগেই সিঁড়িতে নেমে পড়লেন তিনি। নিঃশব্দে সিঁড়ি বেয়ে নেমে গেলেন।
রেজা আর সুজাও পিছু নিলো।
গেদু চাচার ঠিক পেছনেই রয়েছে রেজা। সিঁড়ির শেষ ধাপে পৌঁছে পাথর বনে গেল।
ওদের দিকে পেছন করে পিয়ানোর সামনে বসে আছে লোকটা। একমনে বাজিয়ে যাচ্ছে। পিয়ানোর সাদা-কালো চাবিগুলোর ওপর পরম যতেœ পড়ছে আর উঠছে তার সরু সরু আঙুল, বেজে উঠছে অদ্ভুত মায়াবী সুর।
অস্ফুট একটা শব্দ বেরিয়ে এলো সুজার মুখ থেকে, ‘হিরণ কুমার!’
মুহূর্তে থেমে গেল পিয়ানোর সুর। ঝটকা দিয়ে ফিরে তাকাল লোকটা। লাফ দিয়ে উঠে দৌড়ে পালাতে যাচ্ছিল, গর্জে উঠলেন গেদু চাচা, ‘খবরদার! খুলি ছাতু করে দেবো!’
বন্দুক দেখে থমকে গেল লোকটা। নড়ার সাহস করল না আর।
‘জগন্ময়!’ চেঁচিয়ে উঠল রেজা।
(চলবে)


আরো সংবাদ



premium cement

সকল