২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫
`

দুই গোয়েন্দার অভিযান অভিযান

-

চার.
ওর নির্দেশমতো তাকাল রেজা। প্রথম দিকে ছবি ভীষণ লাফালাফি করতে লাগল। ছবি তোলার সময় ক্যামেরার ফোকাস ঠিক ছিল না। ফোকাস ঠিক হতে ছবি স্পষ্ট হয়ে উঠল। একবার লনের ওপর পড়ছে ক্যামেরার চোখ, পর মুহূর্তে দেয়ালের ওপর, আবার ফিরে আসছে বাড়ির ওপর। তারপর ক্যামেরার চোখ গেল গেদু চাচা-মনি চাচীর দিকে। হাত নাড়লেন দু’জনে। ক্যামেরা রেজার দিকে ঘুরল। হাত মুঠো করে ঘুষি দেখাল রেজা। ক্যামেরার চোখ ঝট করে সরে গেল রেজার ওপর থেকে। বাড়ির ওপর স্থির হলো। নিচতলা থেকে শুরু করে ধীরে ধীরে ওপরে উঠতে থাকল। দোতলায় পৌঁছতেই...
‘ওই তো!’ অস্ফুট স্বরে বলে উঠল রেজা। জানালার সেই অস্পষ্ট ছায়াটা দেখা গেল। মুহূর্তের জন্য। আরো ওপরে উঠে গেল ক্যামেরার চোখ। আবার যখন নিচে নামল, ছায়াটা উধাও।
‘কি, কিছু দেখেছিস? কী দেখেছিস?’ সুজা ক্যামেরা টানাটানি করতে লাগল।
ওর হাতে ক্যামেরাটা দিয়ে রেজা বলল, ‘শুরুতে নিয়ে আয় আবার। যেখানে বাড়ির সামনের দিকটা রেকর্ড করেছিলি, সেখানটায় দেখ। দোতলার জানালায় দেখ কিছু দেখতে পাস কি না।’
গভীর মনোযোগে দেখতে থাকল সুজা। পাশে বসে অপেক্ষা করতে লাগল রেজা।
সুজার ডান হাত আস্তে আস্তে মুঠো হয়ে গেল। চোয়াল শক্ত।
‘এ কী! কার ছায়া?’ গলা কেঁপে উঠল সুজার। ‘হিরণ কুমারের নাকি?’

পরদিন সকালে রেজা, সুজা ও গেদু চাচা তার বন্ধুর কলেজের উদ্দেশে রওনা হলেন। কলেজটা খুব সুন্দর। বেশ শান্ত পরিবেশ। এখন ছুটির সময়। ক্লাস নেই। তবে অফিস খোলা। (চলবে)


আরো সংবাদ



premium cement