২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ঘুরে এসো বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানা

-

চিত্তবিনোদন আর পশুপাখি সম্পর্কে জানার অন্যতম মাধ্যম চিড়িয়াখানা বা পশুপাখি প্রদর্শনকেন্দ্র। দক্ষিণ এশিয়ার বেশ ক’টি চিড়িয়াখানার মধ্যে বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানা, আলীপুর চিড়িয়াখানা (কলকাতা), দিল্লি চিড়িয়াখানা, করাচি চিড়িয়াখানা ও লাহোর চিড়িয়াখানা বিখ্যাত। এগুলোর মধ্যে প্রাণীর সংখ্যা ও দর্শনার্থী আগমনের বিচারে সবচেয়ে বড় হচ্ছে বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানা। ৭৫ হেক্টর (১৮৬ একর) আয়তনের বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানা প্রায় ১৯১ প্রজাতির দুই হাজার ১৫০টি প্রাণী রয়েছে। আলীপুর চিড়িয়াখানার আয়তন ১৮ হেক্টর (৪৫ একর)। এতে রয়েছে ১৩০ প্রজাতির প্রায় এক হাজার ৩০০ প্রাণী। লাহোর চিড়িয়াখানার আয়তন ১০ হেক্টর (২৫ একর), যাতে রয়েছে প্রায় ১৪০ প্রজাতির এক হাজার ৪০০ প্রাণী। করাচি চিড়িয়াখানার আয়তন ১৩ হেক্টরের কিছু বেশি (৩৩ একর)। এ চিড়িয়াখানায় রয়েছে প্রায় ৮০ প্রজাতির ৮৮০টি প্রাণী।
দিল্লি চিড়িয়াখানার আয়তন ৭১ হেক্টর (১৭৬ একর) এবং এ চিড়িয়াখানায় ১২৭ প্রজাতির প্রায় এক হাজার ৩৪৭টি প্রাণী রয়েছে।
বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানায় বার্ষিক দর্শকের সংখ্যা ৩০ লাখের বেশি। লাহোর চিড়িয়াখানার বার্ষিক দর্শকের সংখ্যা প্রায় ৩০ লাখ। আলীপুর, দিল্লি ও করাচি চিড়িয়াখানায় বার্ষিক দর্শকের সংখ্যা এর চেয়ে কম।
ভারতের অন্ধ্র প্রদেশের হায়দরাবাদ চিড়িয়াখানার আয়তন প্রায় ১৫০ হেক্টর (৩৮০ একর)। এতে ১০০ প্রজাতির এক হাজার ১০০ প্রাণী রয়েছে। আয়তনে এটি দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বড় চিড়িয়াখানা হলেও প্রাণীর সংখ্যা এবং দর্শক আগমনের সংখ্যার বিচারে বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানার তুলনায় ছোট। বাংলাদেশ চিড়িয়াখানায় প্রদর্শিত প্রধান প্রাণীগুলো হচ্ছেÑ রয়েল বেঙ্গল টাইগার, কুমির, এমু, ইম্পালা, টাপির, কালো ভালুক, ময়ূর, হরিণ, হাতি, গণ্ডার, জিরাফ প্রভৃতি।
বাংলাদেশ চিড়িয়াখানার সময়সূচি : গ্রীষ্মকালীন (এপ্রিল - অক্টোবর) সোম থেকে শনিবার খোলা থাকে সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। শীতকালীন (নভেম্বর - মার্চ) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। প্রবেশমূল্য : ৩০ টাকা। সাপ্তাহিক বন্ধ: রোববার (তবে রোববার অন্য কোনো সরকারি ছুটি থাকলে খোলা থাকে)। ঠিকানা : মিরপুর-১, ঢাকা।


আরো সংবাদ



premium cement