২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

দুই গোয়েন্দার অভিযান

-

সাতাশ.

‘উম্!’ মাথা চুলকালেন গেদু চাচা। বিব্রত বোধ করছেন। রেজার প্রশ্নটা মনে হচ্ছে দ্বিধায় ফেলে দিয়েছে তাকে। ‘আসলে... কী বলব... অনেকেই থেকেছে। তবে সবার বেলাতেই শুধু আসা-যাওয়া, কোনো কেয়ায়টেকারই বেশিদিন টিকতে পারেনি...’ থেমে গেলেন তিনি। তারপর প্রসঙ্গ বদল করে বললেন, ‘তোমাদের নিশ্চয়ই খিদে পেয়েছে। যাও, খেয়ে নাও।’
রেজার মনে হলো গেদু চাচা যেন কিছু লুকানোর চেষ্টা করছেন।

একটানা ঘুম দিয়ে বিকেলে জাগল রেজা।
বিকেলটা ভালোই কাটল। নাশতা সেরে মনি চাচীর সাথে প্রাসাদের বাইরে বেড়াতে বেরোল সে আর সুজা। পুরো এলাকা উঁচু পাচিলে ঘেরা। তবে দুর্গের পেছন দিকেও একটা মাঝারি সাইজের গেট রয়েছে। এটাও লোহার তৈরি, কিন্তু তালা দেয়া থাকে না।
‘চাচী, গেটে তো তালা নেই। চোরে উৎপাত করে না?’ সুজা জিজ্ঞেস করল।
‘নাহ্। বাড়িটাকে ভয় পায় এলাকার লোকে। বলে, ভূতের বাড়ি। চোর-ডাকাতরাও সেজন্য ত্রিসীমানায় ঘেঁষে না।’
হিরণ কুমারের বাড়ির আশপাশে বহুদূর পর্যন্ত কোনো বাড়িঘর নেই। দেয়ালের সীমানার বাইরে গভীর জঙ্গল।
গেটের বাইরে এসে দাঁড়াল ওরা। বুনো পায়েচলা পথ ধরে হেঁটে চলল পাহাড়ের দিকে। ঘন জঙ্গলের দিকে তাকিয়ে কেমন ভয়-ভয় করতে লাগল রেজার। আড়চোখে সুজার দিকে তাকাল। সুজাও বোধহয় ভয় পাচ্ছে। (চলবে)


আরো সংবাদ



premium cement