২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

দুই গোয়েন্দার অভিযান

-

পঁচিশ.
বাড়িটা আসলেই দেখার মতো। হিরণ কুমারের অভিনয়-জীবনের বহু জিনিসপত্র এখানে সাজানো। দেয়ালে অসংখ্য সাদা-কালো ফটো। বিচিত্র পোশাক পরা হিরণ কুমার। কোথাও ভূত সেজেছেন। কোথাও দানব। চোখ দুটোর দিকে তাকালে ছ্যাঁৎ করে ওঠে বুকের মধ্যে। এ থেকেই বোঝা যায় কত বড় অভিনেতা ছিলেন তিনি।
বারান্দার একটা মোড় ঘুরে এসে থমকে দাঁড়াল রেজা। দেয়ালে বসানো একটা চিতাবাঘের মাথা চিরস্থায়ী ভেংচি কাটার ভঙ্গিতে নীরবে তাকিয়ে রয়েছে ওর দিকে। একপাশে একটা বাঘের মাথা, অন্য পাশে বুনো মোষের। প্রহরীর মতো পাহারা দিচ্ছে যেন চিতার মাথাটাকে। একজোড়া হাতির দাঁত ও কিছু উপজাতীয় মুখোশও রয়েছে। মুখোশগুলো অদ্ভুত। বিদঘুটে চেহারা, যেন শয়তানিতে ভরা। ঘরটা দেখে মনে হচ্ছে প্রেতসাধকের ঘর। সিনেমার সেটের মতো করে সাজানো।
কাঁধে হাত পড়তে চমকে গেল রেজা।
ফিরে তাকাল।
গেদু চাচা দাঁড়িয়ে আছেন। বললেন, ‘ভয় পেলে নাকি?’
‘হিরণ কুমার লোকটার আসলেই বুদ্ধি ছিল,’ স্বীকার না করে পারল না রেজা। ‘মানুষকে ভয় দেখানোর কায়দা জানতেন।’
‘না জানলে কি আর এত বড় অভিনেতা হয়েছিলেন,’ গেদু চাচার পেছন থেকে সুজা বলল। পাশে সরে এসে বাঘের মাথার ছবি তুলতে লাগল সে।
মুচকি হাসলেন গেদু চাচা। ‘পৃথিবীর বহু দেশ ভ্রমণ করেছেন হিরণ কুমার। যেখানে যা উদ্ভট কিছু পেয়েছেন, জোগাড় করে নিয়ে এসেছেন। বড় শিকারিও ছিলেন তিনি।’
(চলবে)


আরো সংবাদ



premium cement