২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

কে কী--------------কেন কিভাবে নীল টিট একটি গায়ক পাখি

-

আজ তোমরা জানবে নীল টিট সম্পর্কে । এটি প্যারিডি পরিবারভুক্ত বিদেশী একটি গায়ক পাখি। এদেরকে ইউরোপ ও পশ্চিম এশিয়ায় পাওয়া যায়। লিখেছেন মুহাম্মদ মাসুম বিল্লাহ
নীল টিট প্যারিডি পরিবারভুক্ত বিদেশী একটি গায়ক পাখি। এরা আবাসিক পাখি। ফোঁসফোঁসানি ও কামড় দেয়া স্বভাবের কারণে ইংল্যান্ডের দক্ষিণ-পশ্চিম অংশে এরা কথ্যভাবে লিটল বিলি বাইটার (খরঃঃষব ইরষষু ইরঃবৎ) নামে পরিচিত। এদেরকে ইউরোপ ও পশ্চিম এশিয়ায় পাওয়া যায়। পাখিটির বৈজ্ঞানিক নাম ঈুধহরংঃবং ঈধবৎঁষবঁং. নীল টিট পাখির কথা সর্বপ্রথম লিনিয়াস বর্ণনা করেন।
এ পাখির মাথার রঙ উজ্জ্বল নীল। চোখের পাশ দিয়ে রয়েছে গারো নীল দাগ। ঘাড়, ডানা ও লেজের রঙও নীল পেছনের দিকটা হলুদাভ সবুজ। ঠোঁট কালো। পাগুলো নীলাভ ধূসর। দেহের দৈর্ঘ্য ১০ দশমিক পাঁচ থেকে ১২ সেন্টিমিটার। এরা এক পায়ে লাফিয়ে লাফিয়ে গাছের গুঁড়ি বেয়ে ওপরে উঠতে পারে। অধিকাংশ সময় এরা গাছের পাতার নিচে বিশ্রাম নেয়। তবে আবহাওয়া খারাপ থাকলে গাছের গর্তে আশ্রয় নেয়।
নীল টিট পাখি পতঙ্গ ধ্বংস করে কৃষকের উপকার করে। বিভিন্ন রকম গাছের কোমল পাতা, বিশেষ করে অঙ্কুর খেতে এরা পছন্দ করে। এ ছাড়া এরা মাটি খুঁড়ে কীট, মথ ও বীজও খায়।
নীল টিট সুবিধাজনক স্থানে গাছের গর্তে, দেয়ালের ফোকরে বাসা তৈরি করে। বাসা তৈরির স্থান নিয়ে এরা মাঝে মধ্যে চড়–ই বা বৃহৎ টিটের সাথে প্রতিযোগিতায় নেমে যায়। একই বাসা এরা বছরের পর বছর ব্যবহার করে। এক জোড় মারা গেলে নতুন জোড় এসে আবার সে স্থান দখল করে। শেওলা বা শৈবাল, পশম, চুল ও পালক দিয়ে এরা বাসা তৈরি করে। এপ্রিল অথবা মে মাসে স্ত্রী টিট ডিম পাড়ে। ডিমের সংখ্যা হয় সাধারণত সাত থেকে আটটি। নীল টিট সর্বোচ্চ এক দশমিক পাঁচ বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকে।

 


আরো সংবাদ



premium cement