২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

জা পা নি লো ক কা হি নী কুমির ও সাদা খরগোশ রূপান্তর

-

(গত দিনের পর)

লাফিয়ে লাফিয়ে সে কুমিরের কাছে চলে আসে। খরগোশকে দেখে কুমির বলে, কি হে ছোট্ট বন্ধু। রাতটা কেমন কাটল? ঠিকমতো ঘুমাতে পেরেছ তো?
খরগোশ বলে, বড্ড দুঃস্বপ্নে কেটেছে রাত। কিছুতেই ঘুমাতে পারিনি। তা তোমার বন্ধুরা কই? তারা এসেছে তো?
কুমির বলে, অবশ্যই। দূরে সাগর জলের দিকে তাকিয়ে দেখো। চোখ ছানাবড়া হয়ে যাবে তোমার।
এবার নীল জলের ভেতরে তাকায় খরগোশ। তাকিয়েই সে অবাক! হাজার হাজার কুমির জলের ভেতরে ঘুরে বেড়াচ্ছে। সাঁতার কাটছে। কেউ বা জলের ওপরে পিঠ ভাসিয়ে রয়েছে। খরগোশের মনে হলো, কুমির তো নয়, যেন এক একটি গাছের গুঁড়ি। ভেসে আছে জলের ওপর।
এত্ত কুমির দেখে খরগোশের পিলে চমকে যায়। ওরে বাপরে! জীবনেও যে দেখিনি এমন ভয়ঙ্কর প্রাণী। কাঁটা দিয়ে ওঠে তার গা। বড় ভয় পায় সে। কিন্তু ভয় পেলে তো চলবে না। জীবন-পণ করে হলেও ওপাড়ে ইনাবা দ্বীপে যেতে হবে তার। এমন সুযোগ বারবার আসে না।
খরগোশ বলে, কুমির বন্ধু, তোমার বন্ধুরা তো জলের ভেতর এলোমেলো ঘুরে বেড়াচ্ছে। তাদেরকে বলো একটির পর একটি লাইন ধরে ওই ইনাবা দ্বীপ পর্যন্ত লম্বা হতে। আমি তখন গুনে দেখতে পারব, সংখ্যায় তোমরা কতজন। (চলবে)


আরো সংবাদ



premium cement