দুই গোয়েন্দার অভিযান অভিযান
- রকিব হাসান
- ২২ জুলাই ২০১৯, ০০:০০
ছয়.
‘ভূতের গল্পে সব সম্ভব। বানিয়ে বানিয়ে যা খুশি বলে দেয়া যায়। প্রয়োজনে নাটকের স্ক্রিপ্ট বদলালে অসুবিধেটা কী?’
‘ধ্যাত্তোরি!’ ক্ষেপে গেল সুজা। ‘তোমার সাথে কথা বলাটাই একটা ইয়ে। আরে গাধা, চড় মেরে ভ্যাম্পায়ারের কিছু করা যায়? ভ্যাম্পায়ারকে কাবু করার জন্য রসুন দরকার। রসুনের গন্ধ সহ্য করতে পারে না ওরা। স্ক্রিপ্টে সেজন্যই ভ্যাম্পায়ারের দিকে মুখ তুলে জোরে জোরে নিঃশ্বাস ছাড়ার ভঙ্গি করতে বলা হয়েছে। তোমার মুখ দিয়ে ভুরভুর করে রসুনের গন্ধ বেরোবে। তাতে অজ্ঞান হয়ে যাবে ভ্যাম্পায়ার।’
‘তা তো বুঝলাম,’ রেজা বলল। ‘কিন্তু আমার মুখ দিয়ে রসুনের গন্ধ বেরোচ্ছে যে দর্শককে বোঝাতাম কী করে? তার চেয়ে আমার চড় মারার আইডিয়াটা অনেক বেশি বাস্তব। দেখলে না, ব্যথায় কী রকম কাতরানো শুরু করল ভ্যাম্পায়ার।’
হেসে ফেলল নেড। ‘ভালো বলেছ তো! এই সুজা, হরর বাদ দাও। শুটিং যখন করেই ফেলা হয়েছে, আর সিনটাও খুব ভালো হয়েছে, চলো, এটাকে কমেডি নাটকই বানিয়ে ফেলি। দর্শকদের ভালো লাগবে।’
‘চুপ থাকো! আমি এটাকে হরর নাটকই বানাব,’ সুজা বলল। ‘আমি ডিরেক্টর। আমি যা বলব, তাই হবে। স্ক্রিপ্টে যা লেখা আছে সেটাই করতে হবে।’ রেজার দিকে ফিরল সে। ‘যাও, আবার প্রথম থেকে শুরু করো! জেরি, দাঁত লাগিয়ে আবার কফিনে শুয়ে পড়ো গিয়ে।’
দ্বিধা করছে রেজা।
(চলবে)
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা