২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

দুই গোয়েন্দার অভিযান

-

তিন.
কফিনের মধ্যে ধীরে ধীরে উঠে বসল একজন মানুষ। টুকটুকে লাল ঠোঁটের কোনা ফাঁক করতেই বেরিয়ে পড়ল দু’পাশে দুটো করে তীক্ষè শ্বদন্ত।
বাদুড়ের ডানার মতো কালো আলখেল্লার কোনা ছড়িয়ে কফিন থেকে নেমে এলো অদ্ভুত মানুষটা। দুই হাত উঁচু করে রেজার দিকে এগোনো শুরু করল। ঠোঁট ফাঁক করে রেখেছে। ধারাল, চোখা দাঁতগুলো স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে। হিসহিস শব্দ বেরোচ্ছে মুখ থেকে।
এতক্ষণে হুঁশ ফিরল যেন রেজার। দৌড় দেয়ার জন্য ঘুরল। দরজাটা মাত্র কয়েক হাত দূরে। বেরোতে সময় লাগবে না।
কিন্তু দরজার কাছে যাওয়ার আগেই লাফ দিয়ে সামনে এসে দাঁড়াল কফিনের ভেতর থেকে উঠে আসা ভ্যাম্পায়ার। পথ আগলে দাঁড়াল।
ধাক্কা দিয়ে সরানোর চেষ্টা করল রেজা।
লাভ হলো না।
ভয়ঙ্কর ভ্যাম্পায়ারের প্রচণ্ড ক্ষমতার বিরুদ্ধে যেন কিছুই করার নেই তার।
হাঁ করল ওটা। শ্বদন্ত বের করে মুখটা এগিয়ে নিয়ে আসতে লাগল রেজার গলার দিকে।
শিরায় দাঁত ফুটিয়ে রক্ত খাবে।

বিমূঢ় হয়ে গেছে যেন রেজা। কী করবে বুঝে উঠতে পারছে না।
আচমকা নড়ে উঠল সে। ঠাস করে চড় মারল ভ্যাম্পায়ারের গালে।
ব্যথা পেয়ে মানুষের কণ্ঠে আর্তনাদ করে উঠল বেচারা ভ্যাম্পায়ার। গালের কাছে উঠে গেল হাত। গাল চেপে ধরল।
(চলবে)


আরো সংবাদ



premium cement