২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`
কে কী কেন কিভাবে

বিস্ময়কর এভারেস্ট শৃঙ্গ

-

আজ তোমরা জানবে এভারেস্ট শৃঙ্গ সম্পর্কে । বিস্ময়কর এভারেস্ট শৃঙ্গ পৃথিবীর বুকে সবচেয়ে উঁচু জায়গা, পৃথিবীর সর্Ÿোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ। লিখেছেন মৃত্যুঞ্জয় রায়
হিমালয় রাজ এভারেস্ট শৃঙ্গ চিরকালই হয়তো রয়ে যাবে বিস্ময়কর। কেননা, ওটাই পৃথিবীর বুকে সবচেয়ে উঁচু জায়গা, পৃথিবীর সর্Ÿোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ। এভারেস্ট শৃঙ্গের উচ্চতা কত তা অনেকেরই জানা, আট হাজার ৮৪৮ মিটার বা ২৯ হাজার ২৯ ফুট। আর ওই উচ্চতায় উঠে প্রথম বাংলাদেশী হিসেবে এভারেস্ট জয় করেছেন মুসা ইব্রাহীম। তবে এভারেস্টেরও উচ্চতা ধীরে ধীরে বাড়ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতি বছর এর উচ্চতা প্রায় ৬.১ সেন্টিমিটার বাড়ছে। গত ২৬ হাজার বছরে হিমালয়ের উচ্চতা বেড়েছে প্রায় এক মাইল! প্রায় ছয় কোটি বছর আগে হিমালয় পর্বতমালার সৃষ্টি হয়। নেপাল, তিব্বত ও চীন সীমান্তে এভারেস্টের অবস্থান। এভারেস্ট শৃঙ্গের তিনটি নাম আছে। নেপালি ভাষায় একে বলা হয় ‘সাগরমাথা’, তিব্বতি ভাষায় ‘ছোমোলাঙমা’। তবে এভারেস্ট নামেই লোকে একে বেশি চেনেন। ১৮৬৫ সালে তৎকালীন ভারতবর্ষের ব্রিটিশ সার্ভেয়ার-জেনারেল স্যার জর্জ এভারেস্টের নামে এই শৃঙ্গের নামকরণ করা হয়। তিনিই প্রথম এই শৃঙ্গকে হিমালয়ের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ হিসেবে চিহ্নিত করেন। ১৯৫৩ সালে ২৯ মে নিউজিল্যান্ডের পর্বতারোহী স্যার অ্যাডমন্ড হিলারি ও তেনজিং নোরগে প্রথম এভারেস্ট জয় করেন। তবে কোনো দলবল ছাড়া ১৯৮০ সালের ২০ আগস্ট একাই প্রথম এভারেস্টে ওঠেন রেইনহোল্ড মেসনার। এভারেস্টে ওঠা প্রথম মহিলা হলেন জাপানের জুনকো তাবেই। তিনি ১৯৭৫ সালের ১৬ মে এভারেস্ট জয় করেন। এরপর আরো অনেকেই উঠেছেন, কিন্তু নেপালের বাবু শ্রী শেরপার মতো বাহাদুরি এখন পর্যন্ত কেউ দেখাতে সাহস পাননি। তিনি এভারেস্টে শুধু উঠেই ক্ষান্ত হননি, এভারেস্ট চূড়ায় উঠে টানা সাড়ে ২১ ঘণ্টা সেখানে থেকে সবচেয়ে বেশিক্ষণ চূড়ায় থাকার বিশ্ব রেকর্ড করেন।
সবচেয়ে বেশি বয়স্ক ব্যক্তি হিসেবে ৬৪ বছর বয়সী শেরম্যান ২০০১ সালের ২৫ মে এভারেস্টে উঠে আর এক বিস্ময়ের জন্ম দেন। শুধু কি তাই? একই দিনে এভারেস্টে ৪০ জন উঠে আর এক রেকর্ড গড়েন। দিনটি ছিল ১৯৯৩ সালের ১০ মে। এর সবই বিস্ময়কর!

 


আরো সংবাদ



premium cement