২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

ঘুরে এসো বলধা গার্ডেন

-

আজ তোমরা জানবে বলধা গার্ডেন সম্পর্কে । রাজধানী ঢাকায় হরেক গাছপালায় ভরা অল্প যে ক’টি সবুজ ভূমি আছে, তার মধ্যে বলধা গার্ডেন একটি। লিখেছেন মৃত্যুঞ্জয় রায়
তোমারা অনেকেই হয়তো বলধা গার্ডেনে গিয়ে থাকবে, কেউ বা যাবে ভবিষ্যতে। তাই এ গার্ডেন সম্পর্কে জেনে নেয়া ভালো। আমাদের রাজধানী ঢাকায় হরেক গাছপালায় ভরা অল্প যে ক’টি সবুজ ভূমি আছে, তার মধ্যে বলধা গার্ডেন একটি। ১০ দশমিক ২ বিঘা (৩ দশমিক ৮ একর) জমির ওপর গড়ে তোলা এ গার্ডেনে প্রায় ৮০০ প্রজাতির ১৮ হাজার গাছ আছে। গার্ডেনটি দু’টি অংশে বিভক্তÑ সাইকি (আত্মা) ও সিবিলি (প্রকৃতির দেবী)। সাইকি অংশে আছে ক্যাকটাস, অর্কিড, এনথুরিয়াম, ভুজুপুত্র ও ক্যান্ডেল গাছ, আমাজান কর্পূর, বিভিন্ন ধরনের বকুল, সোনালি বাঁশ, জবা, স্বর্ণ অশোক, পামগাছ প্রভৃতি। এখানে ‘সেঞ্চুরি প্লান্ট’ নামের এক ধরনের গাছ আছে। এ গাছে এক শ’ বছরে একবার ফুল ফোটে! এ ছাড়া আছে ‘বাওবাব’ নামক একপ্রকার গাছ। এ গাছের কোঠরে আফ্রিকার আদিবাসীরা মমি বানাত বলে জানা যায়। আর তারা এ মমি বানাত মিসরের ফারাওদের অনেক আগে থেকেই। সাইকির দু’টি গ্রিন হাউজের একটিতে আছে বিভিন্ন প্রজাতির অর্কিড। আরেকটিতে আছে ঔষধি ও ইনডোর উদ্ভিদ। সাইকির অন্যতম আকর্ষণ হলুদ, নীল, লাল ও সাদা প্রজাতির শাপলায় ভরা পুকুর। সাইকি অংশে প্রবেশাধিকার সংরক্ষিত। কারণ এখানে এমন কিছু দুর্লভ প্রজাতির গাছ আছে, যা মানুষের যাতায়াতে নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা আছে। বলধা গার্ডেনের সিবিলি অংশে আছে ক্যামেলিয়া, স্বর্ণ অশোক, আফ্রিকান টিউলিপ, জয় হাউজ ও ফার্ন হাউজ। আরো আছে সাদা অপরাজিতা, কণক, পারুল, কদম, চালতা, ঝুমকো লতা, ছায়াতরু, শতমূলী, এলাচি, অর্কিড, এনথুরিয়ামসহ দুর্লভ প্রজাতির অনেক উদ্ভিদ। সিবিলির প্রধান আকর্ষণ শঙ্খনদ পুকুর। এ পুকুরে বিরল প্রজাতির পদ্মফুল আছে, যা নরেন্দ্র নারায়ণ রায় চৌধুরী আফ্রিকা থেকে এনেছিলেন। এখানে নীল শাপলা ও আমাজান লিলিও আছে। প্রকৃতিপ্রেমী তৎকালীন জমিদার নরেন্দ্র নারায়ণ রায় চৌধুরী ১৯০৯ সালে ওয়ারীতে বলধা গার্ডেন প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি ৮ বছর ধরে এটি গড়ে তোলেন। ১৯৪৩ সালে নরেন্দ্র নারায়ণ মারা যাওয়ার পর কলকাতা হাইকোর্টের নিয়ন্ত্রণে ট্রাস্টের মাধ্যমে বলধা গার্ডেনের দেখাশোনা শুরু হয়। ১৯৬২ সালে এর দায়িত্ব অর্পিত হয় বন বিভাগের ওপর।
উদ্যানটি প্রতিদিন খোলা থাকে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা (মার্চ থেকে নভেম্বর);
সকাল ৯টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা (ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি)।

 


আরো সংবাদ



premium cement