২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

দুই গোয়েন্দার অভিযান

-

আটত্রিশ.
‘কিন্তু ঝড় থামলেই বেরিয়ে যাবে বলেছে ক্রুগো,’ মনে করিয়ে দিলো সুজা। ‘সে যাবে কিভাবে? ও বেরোতে পারলে পুলিশ ঢুকতে পারবে না কেন?’
‘ঠিক,’ কথাটা ধরল স্টিভ। ‘ও বেরোবে কিভাবে? এখন যা পরিস্থিতি তাতে গাড়িতে করে বেপোর্ট শহরে কিংবা অন্য কোনোখানেই যেতে পারবে না সে। সাগরের যা অবস্থা, বোটে করে যাওয়াও অসম্ভব।’
‘ক্রুগোকে তোমরা চেনো না। সব ব্যবস্থা করেই এসেছে সে,’ মাসকারো বললেন। ‘এ বাড়ির পশ্চিম প্রান্তে একটা হেলিকপ্টার রেখে এসেছে সে। তেরপল দিয়ে ঢেকে রেখেছে। কী বলে বিড কুনারের মুখ বন্ধ রেখেছে, জানি না। ডিগুর সাথে কথা বলছিল ক্রুগো, শুনে ফেলেছি আমি। বলছিল, হেলিকপ্টার নিয়ে নিউ হ্যাম্পশায়ারের ছোট্ট একটা এয়ারপোর্টে উড়ে যাবে ওরা। ওখান থেকে বড় প্লেনে করে আলাস্কা যাবে।’
‘তার মানে এখন শুধু আমরাই ঠেকাতে পারি ওকে!’ হতাশায় মাটিতে জোরে এক কিল মারল রেড। ‘ইস, যদি খালি কোনো মতে বেরোতে পারতাম এখান থেকে!’
উঠে দাঁড়াল রেজা। গভীর চিন্তায় নিমগ্ন। পরের কয়েকটা মিনিট সারা ঘরে পায়চারি করে বেড়াল সে। আচমকা দাঁড়িয়ে গেল। ফিরে তাকাল সবার দিকে। ‘বেরোনোর একটা বুদ্ধি আমি বের করে ফেলেছি!’

ঘরের একমাত্র জানালাটার পাল্লাগুলো ভেতর দিকে লাগানো। খুলে ফেলল রেজা। ওপাশে লাগানো শিকে চাপ দিয়ে দেখল। সন্তুষ্ট হয়ে বলল, ‘যা ভেবেছিলাম। আলগা হয়ে গেছে।’
নিরাশ ভঙ্গিতে মাথা নেড়ে রেড বলল, ‘ওখান দিয়ে বেরোনোর চিন্তা বাদ দাও, রেজা, পারবে না। আমি আর স্টিভ বহু চেষ্টা করে দেখেছি।’ (চলবে)


আরো সংবাদ



premium cement