দুই গোয়েন্দার অভিযান
- রকিব হাসান
- ১৭ জুন ২০১৯, ০০:০০
সাঁইত্রিশ.
‘ইস, হাসপাতালে থাকতে থাকতেই যদি ঘোর কেটে যেত আমার,’ আফসোস করতে লাগল রেড।
‘একটা ব্যাপার নিশ্চয়ই লক্ষ করেছ,’ রেজা-সুজাকে বললেন রুবাক, ‘তোমাদের সাথে প্রথম সাক্ষাতে খুব একটা উষ্ণ ব্যবহার করিনি আমি। আন্তরিকতা দেখাইনি। মাইক যে কারণে তোমাদের সাথে ভালো আচরণ করেনি, আমিও সেই একই কারণে চেয়েছিলাম, তোমরা চলে যাও। ক্রুগোকে নিয়ে ভয় পাচ্ছিলাম আমি। যদি তোমাদের মেরে ফেলে! প্রাসাদের অন্য প্রান্তে থাকায় তখনো তোমাদের আসার খবর জানতে পারেনি সে। তারপর নেড এসে হাজির হলো। ব্রিজ ভাঙার খবর শুনে বুঝলাম, প্রাসাদে থেকে যাওয়া ছাড়া আর কোনো উপায় নেই তোমাদের। কেয়ারটেকারের কটেজ থেকে তোমরা ফোন সেরে আসার সময় মাইকের সাথে তোমাদেরকে হলঘরে দেখে ফেলে ডিগু। তোমরা চলে গেছ, এ কথা বোঝানোর জন্য মাইককে দিয়ে একটা চালাকি করলাম। অন্ধকার ঘরে তোমাদের আটকে ফেলার বুদ্ধিটা আমিই দিয়েছিলাম ওকে। কিন্তু কোনোমতেই ক্রুগোকে ফাঁকি দিতে পারিনি,’ তিক্তকণ্ঠে বললেন বিজ্ঞানী। ‘কোন ঘরে তোমাদের আটকে রেখেছি, ঠিকই খুঁজে খুঁজে বের করে ফেলল সে।’
‘তাড়াতাড়ি এখন পুলিশ চলে এলে বাঁচি,’ সুজা বলল। মিনা ফুপুর কাছে কিভাবে সাঙ্কেতিক মেসেজ পাঠিয়েছে রেজা, সে-কথা জানাল সবাইকে।
খুশি হতে পারল না নেড। ‘পুলিশ এলেও খুব তাড়াতাড়ি আসতে পারবে না, এ ব্যাপারে শিউর থাকতে পারো। ব্রিজ ভাঙা। নিচের নদীতে এখন ভয়ানক স্রোত। পার হওয়া অসম্ভব।’
(চলবে)
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা