২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

দুই গোয়েন্দার অভিযান

-

ছত্রিশ.
‘ক্রুগোকে ঠেকানোর কি কোনো উপায় নেই?’ জিজ্ঞেস করল সুজা।
‘আমাদের শাসিয়ে রেখে গেছে,’ মাইকেল বলল, ‘আমরা পুলিশকে জানালে আলিশাকে মেরে ফেলবে সে। ওর ভয়েই তোমাদের সাথে খারাপ আচরণ করেছি, সুজা। ভেবেছিলাম, এ রকম করলে তোমরা চলে যাবে। বিপদে পড়বে না। আলিশারও বিপদ হবে না।’
‘একবারের জন্যও এসব কথা আমাকে জানাওনি তোমরা,’ আলিশার কণ্ঠে ক্ষোভ। ‘কী নিয়ে গবেষণা করছ উচ্চারণও করনি।’
‘মাইকেলকে দোষ দিয়ো না, মা,’ রুবাক বললেন। ‘আমিই ওকে মানা করেছিলাম। তোমাকে এ সবের বাইরে রাখতে চেয়েছিলাম।’ রেজা-সুজার দিকে তাকালেন। ‘হ্যাঁ, যা বলছিলাম। রেড পালিয়ে যাওয়ায় রেগে আগুন হয়ে গিয়েছিল ক্রুগো। ভয়াবহ মেজাজ। ফিরোজ মুরাদ ওর খোঁজ পেয়ে যাবে ভেবে ও ঘাবড়ে গিয়েছিল। রেড যে কাকতালীয় ভাবে আমাদের পরীক্ষাটা দেখে ফেলেছে, ক্রুগো বুঝতে পারেনি।’
‘সেজন্যই রেডের বাসায় আর আমাদের বাড়িতে গিয়ে ঢুকেছিল, এখন বুঝলাম,’ রেজা বলল। ‘চার-মাথা ড্রাগন কিংবা তার ওপর কোনো ফাইল খোলা হয়েছে কি না দেখার জন্য। বাবার প্লেনে স্যাবোটাজ করে তাকে ঠেকাতে চেয়েছিল, যাতে পাইপলাইন ধ্বংস করায় ক্রুগোকে বাধা দিতে না পারে বাবা। আমাদের নিরস্ত করার জন্য আমাদের বাড়িতে ঢুকে হুমকি দিয়ে আসতে পাঠিয়েছিল তার চ্যালা ডিগুকে।’
মাথা ঝাঁকালেন রুবাক। ‘হ্যাঁ। হাসপাতাল থেকে রেডকেও তুলে নিয়ে এসেছিল, যাতে জ্ঞান ফেরার পর কোনো কথা পুলিশকে জানাতে না পারে।’
(চলবে)


আরো সংবাদ



premium cement