দুই গোয়েন্দার অভিযান
- রকিব হাসান
- ২৭ মে ২০১৯, ০০:০০
তেইশ.
‘তোমার মাথা,’ বিরক্ত কণ্ঠে বলল নেড। ‘দেখো রেজা, হাসি-ঠাট্টার সময় না এটা। বাড়ির মধ্যে অদ্ভুত সব লোকের বাস। তালা দিয়ে আটকে রেখে গেছে আমাদের। বাইরে প্রচণ্ড ঝড়। এ সময়...’
থেমে গেল নেড। বুঝতে পারল, রেজা তার কথা শুনছে না। ঘুমিয়ে পড়েছে।
পরের একটি ঘণ্টা ভীষণ মানসিক যন্ত্রণার মধ্যে কাটল নেডের। চতুর্দিকে নানা রকম শব্দ কল্পনা করতে থাকল। রক্ত-মাংসের কোনো কিছুকেই পরোয়া করে না সে। কিন্তু এই অন্ধকারে বসে অশরীরী ভূতের আক্রমণের আশঙ্কা যেন মাথা খারাপ করে দেয়ার উপক্রম করল তার। মনকে বোঝাতে চাইল, ভূত বলে কিছু নেই। কিন্তু কথা শুনতে চাইল না মন।
প্রাসাদ-টাওয়ারের পুরনো ঘড়িটা যখন ঘণ্টা বাজানো শুরু করল, এতটাই চমকে গেল, আরেকটু হলে চেয়ার থেকে মেঝেতে পড়ে যাচ্ছিল। ঘণ্টার শব্দে সাথে সাথে জেগে গেল রেজা-সুজা।
‘আলিশা না বলেছিল বহু বছর ধরে বন্ধ হয়ে পড়ে আছে ওই ঘড়ি, বাজে না!’ রেজা বলল।
‘দশ...এগারো...বারো!’ জোরে জোরে গুনতে লাগল নেড। গলা কাঁপছে তার।
‘তেরো!’ চিৎকার করতে গিয়েও থেমে গেল সুজা।
‘তেরোটা বেজেছে!’ নেডের কণ্ঠ শুনে মনে হলো বেহুঁশ হয়ে যাবে। ‘ভূতের মধ্যরাত। ডিনার খেতে যাবে এখন ওরা।’
দরজার তালায় চাবি ঢোকানোর শব্দ। খুলে গেল দরজাটা। হুইল চেয়ার চালিয়ে ঘরে ঢুকলেন রুবাক স্ট্র্যানস্কি। চেহারায় ভয় আর অস্বস্তির ছাপ।
‘এখনি পালাও এখান থেকে!’ হিসহিস করে উঠল তাঁর কণ্ঠ। ‘ভয়ানক বিপদের মধ্যে রয়েছ তোমরা। বলার সময় নেই এখন। মাইক তোমাদের পথ দেখিয়ে দেবে। যেখানে খুশি যাও, কেবল এ বাড়িটা থেকে দূরে থাকবে, যদি বাঁচতে চাও!’
(চলবে)
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা