১৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৪ বৈশাখ ১৪৩১, ০৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

দুই গোয়েন্দার অভিযান

-

বিশ.
ডিটেক্টিভ কিট থেকে ছোট্ট স্ক্রু-ড্রাইভার নিয়ে কয়েক মিনিট চেষ্টা করে হাল ছেড়ে দিলো সে। মাথা নেড়ে বলল, ‘উঁহু, হবে না, অতিরিক্ত মরচে পড়া।’
‘কিন্তু এখান থেকে বেরোতে তো হবে আমাদের,’ নেড বলল। ঘরের একমাত্র জানালাটার কাছে গিয়ে বাইরে তাকাল সে। ‘এখান দিয়ে বেরোনো গেলেও নামা যাবে না। অনেক নিচে সাগর। কী করা যায়?’
‘আপাতত কিছুই না,’ রেজা বলল। ‘মাথা ঠাণ্ডা রেখে বসে থাকা যাক। সাহায্য আসবেই।’
‘সাহায্য?’ ভরসা করতে পারল না নেড। ‘আমরা যে বিপদে পড়েছি এ কথাটাই তো কেউ জানবে না।’
‘পুলিশকে জানাতে বলেছি মিনা ফুপুকে।’
‘ফোন করছিলে যে, তখন? তোমার সব কথাই শুনেছি। কই, পুলিশের কথা বলতে তো শুলনাম না।’
হেসে উঠল রেজা। ‘একটা কথা ভুলে যাচ্ছ, গোয়েন্দাদের সাথে বাস করছে ফুপু। নিজেও ডিটেক্টিভ বইয়ের পোকা। কেসের তদন্ত করতে দিলে আমার বিশ্বাস আমাদের চেয়ে খারাপ করবে না। তা ছাড়া মোর্স কোড বোঝে।’
তুড়ি বাজাল নেড। চেঁচিয়ে উঠল, ‘পেনসিল!’
‘কিসের কথা বলছো তোমরা?’ জানতে চাইল সুজা।
‘মিনা আন্টির সাথে কথা বলার সময় রিসিভারের গায়ে পেনসিল ঠুকছিল রেজা,’ হাসতে হাসতে বলল নেড। ‘মোর্স কোডে সঙ্কেত দিয়েছে আন্টিকে।’
‘তাই নাকি? ফুপুকে কী বলেছ, ভাইয়া?’
‘আমরা বিপদে আছি। পুলিশকে যেন জানায়।’
(চলবে)


আরো সংবাদ



premium cement